জবই বিল

স্থানাঙ্ক: ২৫°০৯′০৭.০″ উত্তর ৮৮°৩০′৫৭.০″ পূর্ব / ২৫.১৫১৯৪৪° উত্তর ৮৮.৫১৫৮৩৩° পূর্ব / 25.151944; 88.515833
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জবই বিল
দামুর মাহিল বিল
জবাই বিলের প্রাকৃতিক দৃশ্য
জবই বিল বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
জবই বিল
জবই বিল
অবস্থানসাপাহার, নওগাঁ জেলা
স্থানাঙ্ক২৫°০৯′০৭.০″ উত্তর ৮৮°৩০′৫৭.০″ পূর্ব / ২৫.১৫১৯৪৪° উত্তর ৮৮.৫১৫৮৩৩° পূর্ব / 25.151944; 88.515833
প্রাথমিক অন্তর্প্রবাহপূণর্ভবা
পৃষ্ঠতল অঞ্চল৯৯৭ একর, বর্ষাকালে ৩০০০ একর

জবই বিল বা জবাই বিল বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি বৃহৎ বিল। বিলটি নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলায় অবস্থিত। সরকারি হিসেবে বিলটি ৯৯০ একর বা ৪ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থিত। বিলের পাশেই পূনর্ভবা নদী অবস্থিত।[১][২][৩]

নামকরণ[সম্পাদনা]

এ বিলের আসল নাম হচ্ছে ডমরইল বিল এবং মাহিল বিল যা ৪নং আইহাই ইউনিয়ানের অন্তর্গত পাহাড়ীপুকুর ব্রিজ দুটিকে পৃথক করেছে। পাহাড়ীপুকুর ব্রিজের উত্তর পার্শ্বে ডমরইল বিল এবং দক্ষিণ পার্শ্বে মাহিল বিল। জবই বিল নামে কোন বিলের অস্তিত্ব ছিল না। জবই বিল নামকরণের একটি কারণ হচ্ছে সাপাহার উপজেলার অধিকাংশ লোক জবই গ্রামের পথ বেয়ে এই ডমরইল বিলে যেতে হয় সেই সূত্র ধরে এই বিলের নাম জবই বলে ডাকে।

অবস্থান[সম্পাদনা]

জবই বিল নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী সাপাহার উপজেলায় অবস্থিত। উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে শিরন্টি, গোয়ালা, আইহাই ও পাতাড়ী নামক ৪ টি ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বিলটি প্রবাহিত।[৪][৫] আইহাই ইউনিয়ানের পাহাড়ীপুকুর, মংরইল ও মাইলডাঙ্গা গ্রামের মাঝে জবাই বিলের মূল কেন্দ্রবিন্দু। বিলের দক্ষিণ পার্শ্বে পাহাড়ীপুকুর, পশ্চিমে মংরইল, পূর্ব পার্শ্বে মাইলডাঙ্গা।

মৎস্য সম্পদ[সম্পাদনা]

এই ডমরইল বিলে ৯০ এর দশকে বিপুল পরিমানে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যেত এবং শীতকালে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ভিড় জমাতো যা মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি করত। কিন্তু কিছু অসাধু পাখি শিকারির কারণে আজ সে সকল অতিথি পাখি এখন তেমন ভাবে দেখা যায় না। এবং কিছু প্রজাতীর মাছ ও বিলুপ্ত প্রায়। বর্তমানে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ডমরইল বিলে ২ টি মাছের অভায় আশ্রম স্থাপন করা হয়েছে। সেটিকে আমরা আঞ্চলিক ভাবে বলে থাকি মাছের কাঠা। এটি উপজেলা মৎস্য অফিস নিয়ন্ত্রণ করে থাকে বর্তমানে সরকার মৎস চাষ করছে। এই ডমরইল বিলে ৯০ দশকের পূর্বে যখন বিলে হাটু পানি থাকত তখন দিন তারিখ নির্ধারণ করে বিলে মাছ ধরা (বাহান) হতে।

অতিথি পাখির অভয়ারণ্য[সম্পাদনা]

জবই বিলে অতিথি পাখিদের পর্যাপ্ত খাবার থাকায় প্রতি বছর শীতের মৌসুমে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। রাজহাঁস, শামুকখোল, চাহা, সাদা বক, কক, বালিহাঁস, পাতি সরালীসহ জানা-অজানা বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আসে এই বিলে।[৬] পাখিদের কিচিরমিচির কলতানে সব সময় মুখরিত থাকে বিল। বিল ছাড়াও পার্শ্ববর্তী পূনর্ভবা নদী এলাকাতে অসংখ্য অতিথির আগমন ঘটে।[৭] বিলের ছোট ছোট মাছ, পোকা-মাকড় এবং শামুকই মূলত অতিথি পাখিদের প্রধান খাদ্য। [১][৪][৮] অতিথি পাখি ছাড়াও সারা বছর দেশি প্রজাতির পাখিরা বসবাস করে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সাপাহারের জবাই বিলে অতিথি পাখির কলতান"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১৪ 
  2. "বিলে পানি নেই, সেচ সংকটে দেড় হাজার হেক্টর জমির ধান"বাংলা ট্রিবিউন। ২০২০-০৬-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১৪ 
  3. "দৈনিক বগুড়া সংবাদ ( ৮ মে, ২০১৪)"। ১৯ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  4. বাবুল আখতার রানা (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)। "পাখির কলতানে মুখরিত জবাই বিল"বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০২০ 
  5. "পরিযায়ী পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল জবাই বিল"নওগাঁ দর্পণ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১৪ 
  6. "সাপাহারে ঐতিহ্যবাহী জবাই বিল পাখির কলতানে মুখরিত"দৈনিক সংগ্রাম। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১৪ 
  7. "অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত নওগাঁর জবাই বিল"দৈনিক জাগরণ। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০২০ 
  8. "অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত নওগাঁর জবাই বিল"ইত্তেফাক। ২৭ জানুয়ারী ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০২০