জন্মচিহ্ন
জন্মচিহ্ন | |
---|---|
![]() | |
ছয় মাস বয়সী শিশুর গায়ে মঙ্গোলীয় দাগ দৃশ্যমান | |
বিশেষত্ব | চর্মরোগবিদ্যা |
জন্মচিহ্ন হল ত্বকে জন্মগত, সৌম্য অনিয়ম যা জন্মের সময় উপস্থিত থাকে বা জন্মের পরপরই দেখা যায়—সাধারণত প্রথম মাসে। এটি ত্বকের যেকোন স্থানে হতে পারে।[১] এগুলি রক্তবাহ, মেলানোসাইট, মসৃণ পেশী, স্নেহ পদার্থ, কেরাটিনোসাইট বা ফাইব্রোব্লাস্টের অতিরিক্ত বৃদ্ধির কারণে ঘটে।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে জন্মচিহ্ন দুই প্রকার: 'পিগমেন্টেড জন্মচিহ্ন' ও 'ভাস্কুলার জন্মচিহ্ন'। অতিরিক্ত ত্বকের রঙ্গককোষের কারণে পিগমেন্টেড জন্মচিহ্নগুলো: 'মেলানোসাইটিক নেভাস', 'ক্যাফে আউ লাইট স্পট' এবং 'মঙ্গোলীয় দাগ'। ভাস্কুলার বার্থমার্ক, যাকে লাল জন্ম চিহ্নও বলা হয়, রক্তনালী বৃদ্ধির কারণে হয় এবং এর মধ্যে রয়েছে 'ম্যাকুলার স্পট' (স্যামনপ্যাচ), 'হেম্যানজিওমাস' ও 'পোর্ট-ওয়াইন স্পট'। ১০ জনের মধ্যে ২ জনে একটু বেশি শিশুর ১ বছর বয়সের মধ্যে ভাস্কুলার জন্মচিহ্ন থাকে।[২] বেশ কিছু জন্মচিহ্নের ধরন হল ত্বকের ক্ষতগুলির গ্রুপের অংশ যা নেভি বা নাভি নামে পরিচিত, যেটি ল্যাটিন হল "জন্মচিহ্ন"।
ত্বকের কোষগুলির বিকাশ ও স্থানান্তর নিয়ন্ত্রণকারী কারণগুলির স্থানীয় ভারসাম্যহীনতার ফলে জন্মচিহ্নগুলি ঘটে। উপরন্তু, এটা জানা যায় যে ভাস্কুলার জন্মচিহ্ন বংশগত নয়।[২][৩]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ডোরল্যান্ডের চিকিৎসাশাস্ত্র অভিধানে "birthmark"
- ↑ ক খ "Birthmarks"। American Academy of Dermatology। ২০০৯-১১-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৬-২০।
- ↑ "Birthmarks"। Seattle Children's Hospital and Regional Medical Center। ২০১৭-০২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-০২।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
শ্রেণীবিন্যাস |
---|