চীন–মাইক্রোনেশিয়া যুক্তরাজ্য সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চীন–মাইক্রোনেশিয়া সম্পর্ক
মানচিত্র গণচীন এবং মাইক্রোনেশিয়া যুক্তরাজ্যের অবস্থান নির্দেশ করছে

চীন

মাইক্রোনেশিয়া যুক্তরাজ্য

চীন–মাইক্রোনেশিয়া যুক্তরাজ্য সম্পর্ক হল গণপ্রজাতন্ত্রী চীন এবং মাইক্রোনেশিয়া যুক্তরাজ্য রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। ১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৯ সালে এ দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।[১] চীনা সরকার ১৯৯০ সালে মাইক্রোনেশিয়ার পালিকিরে দূতাবাস স্থাপন করে এবং ১৯৯১ সালে প্রথম রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করে।[১] প্রাথমিকভাবে, জাপানের টোকিওতে অবস্থিত দূতাবাসে নিয়োজিত রাষ্ট্রদূতই চীনে মাইক্রোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করত। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে বেইজিংয়ে মাইক্রোনেশিয়া তাদের দূতাবাস স্থাপন করে।[২] রাষ্ট্রপতি জন হ্যাগেলগাম মাইক্রোনেশিয়ার পক্ষ থেকে চীনে সফর করা প্রথম উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। ১৯৯০ সালে তিনি এ সফর করেন।[১] বর্তমানে মাইক্রোনেশিয়ায় নিয়োজিত চীনের রাষ্ট্রদূত হলেন ঝাং ওয়েইডং,[৩] এবং বেইজিংয়ে নিয়োজিত মাইক্রোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হলেন একিলিনো এইচ. সুশাইয়া।[৪]

সম্পর্ক[সম্পাদনা]

গণপ্রজাতন্ত্রী চীন (পিআরসি) এবং প্রজাতন্ত্রী চীন বা তাইওয়ান (আরওসি) এ দুই দেশের কাছে ওশেনিয়া কূটনৈতিক প্রতিযোগিতার অন্যতম স্থল। ওশেনিয়ার আটটি রাষ্ট্র পিআরসিকে এবং ছয়টি রাষ্ট্র আরওসিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। আটলান্টিক মহাসাগরের তীরবর্তী দেশগুলো তাদের বৈদেশিক নীতির পরিবর্তন করলে এই সংখ্যায় কিছুটা পরিবর্তন আসে এবং তাদের কূটনৈতিক স্বীকৃতি বেইজিং থেকে তাইওয়ানের দিকে, তথা পিআরসি থেকে আরওসির দিকে চলে আসে। এক চীন নীতি অনুযায়ী কোনো রাষ্ট্রের পক্ষেই "দুই চীনের" সাথেই সম্পর্ক রক্ষা করে চলা সম্ভব না। এবং এই "যেকোনো একটিকে বেছে নেওয়া"র পন্থার কারণে ছোট দেশগুলোও এদের সহযোগিতা প্রার্থিতার তালিকায় থাকে।[৫][৬] ২০০৩ সালে পিআরসি এক ঘোষণায় জানায় যে দেশটি প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ফোরামের (পিআইএফ) সাথে কূটনৈতিক বন্ধন আরো দৃঢ় এবং অর্থনৈতিক সাহায্য আরো বৃদ্ধি করার চেষ্টা করবে। একই সাথে পিআরসির প্রতিনিধি ঝউ হোয়েনঝং বলেন, "পিআইএফের উচিত তাইওয়ানের সাথে যেকোনো প্রকার চুক্তি থেকে বিরত থাকে, তা হতে পারে আনুষ্ঠানিক চুক্তি বা মৌখিক।"[৭] ২০০৬ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবো ঘোষণা করেন, যে পিয়ারসি আটলান্টিক দ্বীপরাষ্ট্রসমূহের সাথে তাদের অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে। পিআরসি আরো অর্থনৈতিক সাহায্য দেবে, আটলান্টিকের উন্নয়নশীল রাষ্ট্রসমূহের জন্য শুল্প প্রত্যাহার করে নেবে, ঐ সকল রাষ্ট্রসমূহের বার্ষিক ঋণ দেবে, বিনামূল্যে ম্যালেরিয়া-বিরোধী ঔষধ দেবে এবং দ্বীপরাষ্ট্রসমূহের দুই হাজার সরকারি কর্মকর্তা এবং প্রযুক্তিবিদদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে।[৮] ২০০৬ সালে ওয়েনের মাধ্যমে প্রথমবারের মত কোনো চীনের প্রধানমন্ত্রী আটলান্টিক দ্বীপসমূহে সফরে যায়, যাকে তাইপেই টাইমস "চীন এবং তাইওয়ানের মধ্যে একটি দীর্ঘস্থায়ী কূটনৈতিক যুদ্ধ-ময়দান" হিসেবে অভিহিত করে। একইভাবে সাউথ প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাসিফিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক রন ক্রোকম্বে বলেন, "আটলান্টিকে চীনের সফরসংখ্যা অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি"।[৯]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Micronesia" (ইংরেজি ভাষায়)। Ministry of Foreign Affairs of the People's Republic of China। ৯ ডিসেম্বর ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১০ 
  2. "FSM Government opens embassy in China" (ইংরেজি ভাষায়)। Government of the Federated States of Micronesia। ১০ মে ২০০৭। ২৫ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১০ 
  3. "China and FSM signed the Economic and Technical Cooperation Agreement" (ইংরেজি ভাষায়)। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ৩ জানুয়ারি ২০১০। 
  4. "Department of Foreign Affairs, Overseas Embassies, Consulates, and Missions" (ইংরেজি ভাষায়)। Government of the Federated States of Micronesia। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৪ 
  5. "The Pacific Proxy: China vs Taiwan" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে, Graeme Dobell, ABC Radio Australia, February 7, 2007
  6. Young, Audrey (১৯ অক্টোবর ২০০৭)। "Chequebooks brought out at Pacific forum"দ্য নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১১ 
  7. "China announces initiatives to expand ties with PIF member countries", PRC embassy in Papua New Guinea, November 24, 2003
  8. "China offers aid package to Pacific Islands", China Daily, April 5, 2006
  9. "Chinese Premier Wen to visit the Pacific Islands"তাইপেই টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ এপ্রিল ২০০৬। 

টেমপ্লেট:চীনের বৈদেশিক সম্পর্ক টেমপ্লেট:মাইক্রোনেশিয়া যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক সম্পর্ক