চীন–জাম্বিয়া সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চীন—জাম্বিয়া সম্পর্ক
মানচিত্র China এবং Zambia অবস্থান নির্দেশ করছে

চীন

জাম্বিয়া

গণপ্রজাতন্ত্রী চীন–জাম্বিয়া সম্পর্ক হল গণপ্রজাতন্ত্রী চীন (পিআরসি) এবং জাম্বিয়া রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক

অর্থনৈতিক সম্পর্ক[সম্পাদনা]

জাম্বিয়ার একটি দৈনিক পত্রিকামতে চীনা বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেছে, যে “জাম্বিয়ার সরকারের দেশের বাইরের কর্মীদের উপরের অনমনীয় অবস্থান, নিম্নমানের অবকাঠামো এবং দ্বীপের কাঠামোর কারণে পরিবহন খাতের উচ্চ ব্যয়, বৈষম্যমূলক অবস্থান, শ্রমবিষয়ক কঠিন আইন, কর্মীদের ঘন ঘন কর্মবিরতি এবং স্থানীয় শিল্প-কারখানার খারাপ অবস্থা বিনিয়োগকারীদেরকে মোটেও সহযোগিতা করছে না।”[১]:

চীনে অবস্থির জাম্বিয়ার দূতাবাস

১৯৯৮ সালে চায়না নন-ফেরাস মেটাল কর্পোরেশন (সিএনএমসি) ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে জাম্বিয়ার চাম্বিসি তামার খনির ৮৫ শতাংশ ক্রয় করে।[২] তারা খনির পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে আরো ১৩০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে। ২০০৫ সালের শেষের থেকে পরের দশ বছরের মধ্যে প্রায় ১৬০টি চীনা কোম্পানি জাম্বিয়ায় বিনিয়োগ করেছে।

চীন এবং জাম্বিয়ার মধ্যকার বাণিজ্য ২০১০ সালে প্রায় ২.২ বিলিয়ন ইউএস ডলারে বেড়ে যায়। জাম্বিয়ার বিভিন্ন খাতে চীনা বিনিয়োগ হয়েছে। তার মধ্যে জাম্বিয়ার তামা খনির অঞ্চল থেকে শুরু করে কৃষি, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং পর্যটন রয়েছে। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চীনা মালিকানাধীন প্রায় ২৫টি কারখানা জাম্বিয়ায় পরিচালিত হচ্ছে।[৩]

জাম্বিয়ায় চীনা উন্নয়ন সহায়তা[সম্পাদনা]

বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে ২০০০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে জাম্বিয়াতে প্রায় ৬৪টি চীনা উন্নয়ন সহযোগিতামূলক প্রকল্পের কথা জানা গেছে।[৪] এই প্রকল্পসমূহের মধ্যে কাফ্যু জর্জ লোয়ার পাওয়ার প্রজেক্ট বাস্তবায়নে দেয়া ঋণ,[৫] সিয়াভঙ্গার নিকটে অবস্থিত কারিবা নর্থ ব্যাঙ্ক পাওয়ার স্টেশন সম্প্রসারণে দেওয়া ঋণ,[৬] এবং ২০০৬ সালের ত্রাণমূলক ঋণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[৭]

বিতর্ক[সম্পাদনা]

২০০৫ সালের এপ্রিল মাসে চীনা-মালিকানাধীন বিস্ফোরক উৎপাদন কারখারার এক বিস্ফোরণে ৫১ জন শ্রমিক নিহত হয়। একই বছরে চাম্বিসি খনিতে দাঙ্গা বাঁধে। পরের দিন একজন জাম্বিয়ান কর্মী গুলিতে আহত হন, ফলশ্রুতিতে চীনা আবাসিক স্থলে ঝড় বয়ে যায় এবং এক আতঙ্কিত চীনা ব্যবস্থাপকের হাতে আরো ৫ জন কর্মী গুলিতে আহত হন। ২০০৬ এর জাম্বিয় সাধারণ নির্বাচনে বিস্ফোরক কারখানার বিস্ফোরণ এবং চাম্বিসি খনির ঘটনাগুলোই মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। মাইকেল সাতা পিআরসি-বিরোধী অবস্থান নিয়ে বলেন যে তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করলে জাম্বিয়ার পিআরসি স্বীকৃতি পরিত্যাগ করে তাইওয়ানে প্রজাতন্ত্রী চীনকে স্বীকৃতি দেবেন।[১]:৫–৬ সাতা লেভি মোনাওয়াসার কাছে নির্বাচনে হেরে যান।

২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে চীনের সরকার চাম্বিসিতে বিদ্যমান পিআরসি-বিরোধী অবস্থার অবসান ঘটাতে চান। এজন্য তারা সাইনো-জাম্বিয়ান অর্থনৈতিক অঞ্চল সৃষ্টির মাধ্যমে দেশটির শিল্পায়নের উন্নয়নের স্বার্থে $৮০০ মিলিয়ন বিনিয়োগ করার কথা জানায়।[১]:

কলাম কয়লা খনি[সম্পাদনা]

২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চীনা পরামরশক ঝং তিংসুই ব্যক্তিগত মালিকানাধীন কলাম কয়লা খনিতে খুন হন। ঐ বছরের অক্টোবর মাসে দুইজন চীনা ব্যবস্থাপক খনিতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা চলাকালীন আফ্রিকীয় খনিশ্রমিকদের উপর গুলি চালায় এবং ১১ জনকে আহত করেন। ২০১২ সালের আগস্ট মাসের প্রথমদিকে চীনা খনি ব্যবস্থাপক উ সেংজাই পারিশ্রমিক বিষয়ক বিবাদে নিহত হন।[৮]

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Brautigam, Deborah (২০০৯)। The Dragon's Gift:The Real Story of China in Africa। New York: Oxford University Press। পৃষ্ঠা ৩৯৭। আইএসবিএন 978-0-19-955022-7 
  2. "Measuring Worth"। ২৬ জানুয়ারি ২০১১। 
  3. "If you want to grow as Zambia, work with us, says China"। জাম্বিয়া ওয়াচ। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১। ৯ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৬ 
  4. Austin Strange, Bradley C. Parks, Michael J. Tierney, Andreas Fuchs, Axel Dreher, and Vijaya Ramachandran. 2013. China’s Development Finance to Africa: A Media-Based Approach to Data Collection. CGD Working Paper 323. Washington DC: Center for Global Development.http://china.aiddata.org[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. Strange, Parks, Tierney, Fuchs, Dreher, and Ramachandran, China’s Development Finance to Africa: A Media-Based Approach to Data Collection.http://aiddatachina.org/projects/2244
  6. Strange, Parks, Tierney, Fuchs, Dreher, and Ramachandran, China’s Development Finance to Africa: A Media-Based Approach to Data Collection.http://aiddatachina.org/projects/354
  7. Strange, Parks, Tierney, Fuchs, Dreher, and Ramachandran, China’s Development Finance to Africa: A Media-Based Approach to Data Collection.http://aiddatachina.org/projects/2272
  8. Zhang Boling and He Xin (আগস্ট ২০, ২০১২)। "The Killing of a Miner in Zambia"। Caixin। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২২, ২০১২ 

টেমপ্লেট:চীনের বৈদেশিক সম্পর্ক টেমপ্লেট:জাম্বিয়ার বৈদেশিক সম্পর্ক