চম্পা (উপন্যাস)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চম্পা
বইয়ের প্রচ্ছদ
প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ
লেখকলক্ষ্মীপ্রসাদ দেবকোটা
মূল শিরোনামचम्पा
কাজের শিরোনামনেপালি সামাজিক উপন্যাস
প্রচ্ছদ শিল্পীতেকবির মুখিয়া
দেশনেপাল
ভাষানেপালি
ধরনকথাসাহিত্য
পটভূমিরাণা শাসনামলের কাঠমান্ডু
প্রকাশকসাঝা প্রকাশন
প্রকাশনার তারিখ
১৯৬৭–৬৮
মিডিয়া ধরনছাপা (শক্তমলাট)
আইএসবিএন৯৭৮৯৯৯৩৩২৬৫২৬
ওসিএলসি৮৬৯৩২০৪৫২

চম্পা (নেপালি: चम्पा) হলো নেপালি কবি লক্ষ্মীপ্রসাদ দেবকোটা রচিত একমাত্র উপন্যাস।[১][২] উপন্যাসটি ১৯৪৭-৪৮ সালের মধ্যে রচিত হলেও বিশ বছর পর মরণোত্তর প্রকাশিত হয়।[১]

কাহিনীসংক্ষেপ[সম্পাদনা]

উপন্যাসে চম্পা নামের একটি বারো বছর বয়সী মেয়ের কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে, যার সাথে রমাকান্ত নামক একজনের বিয়ে হয়। কিন্তু আত্ম-নির্ভরশীল হওয়ার দরুণ সে তার ঘরে থাকতে পছন্দ করে না এবং এ কারণে একদিন ঘর থেকে বের হয়ে যায়। কিছু রোগের কারণে তার স্বামী মেয়েটির সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে না। লোকটি তাকে তার স্ত্রীর মতো কোনোদিন সম্পর্ক স্থাপন করলে তারও জীবন সংশয় হতে পারে ভেবে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসে। এ কারণে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা চম্পাকে দোষারোপ করতে থাকে। চম্পা উপন্যাসের শেষ পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট উপসংহার পাওয়া যায় না।[৩]

বিষয়বস্তু ও সমালোচনা[সম্পাদনা]

উপন্যাসটি এই দিক থেকে অনন্য যে, এটি দেবকোটার একমাত্র সাহিত্যকর্ম, যেখানে সমসাময়িক সামাজিক সমস্যা এবং সমাজে নারীর ভূমিকা ফুটে উঠেছে।[১] রাণা শাসনামলের কাঠমান্ডুর প্রেক্ষাপটে লেখা এই উপন্যাসে নেপালের চিরায়ত বিশ্বাস ও লিঙ্গবৈষম্য সংবলিত পরিবারের চিত্র প্রতীয়মান, যেখানে পরিবারের পুরুষ শিখনকাজ ও ভ্রমণে রত এবং স্ত্রীলোক অশিক্ষিত এবং গৃহস্থালি ও ধর্মকর্মে নিয়োজিত।[১]

সমালোচক বিন্দু শর্মা অসম সম্পর্ক এবং যুগোপযোগী পারিবারিক সংঘাতমূলক উপন্যাসটি ফ্রয়েডীয় মানসিক ব্যাখ্যামূলক তত্ত্ব থেকে লেখা বলে মন্তব্য করেন। এরই সাথে উপন্যাসটির মাধ্যমে দেবকোটাকে নেপালি সাহিত্যের প্রথম মানসিক ঔপন্যাসিক হিসেবে আখ্যায়িত করেন।[১] শর্মা উপন্যাসটিকে নেপালি উপন্যাস উন্নয়নের প্রারম্ভিক সময়কার (১৯৩৬ – ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দ) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাসগুলোর একটি বলেও বিবেচনা করেন।[১]

প্রকাশনার ইতিহাস[সম্পাদনা]

বইয়ের ভূমিকাংশ অনুসারে, উপন্যাসটির পাণ্ডুলিপি "নেপাল ভাষা প্রতিষ্ঠান" কর্তৃক প্রচ্ছদে নেপালি সামাজিক উপন্যাস শিরোনামসহ প্রকাশকদের প্রতি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। নামটি কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক বিবেচনায় দেবকোটার অন্যান্য কর্মের অনুসারে এই উপন্যাসেরও নায়িকার নামে নামকরণ করা হয়। উপন্যাসের প্রথম সংস্করণ ২০২৪ বিক্রম সংবতে (খ্রিষ্টীয় ১৯৬৭–৬৮) প্রকাশিত হয়।[১] পরের বছর সাঝা প্রকাশনী উপন্যাসের দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করে। এরপর ২০২৯ বিক্রম সংবতে তৃতীয় সংস্করণ, ২০৫২ বিক্রম সংবতে চতুর্থ সংস্করণ, ২০৫৫ বিক্রম সংবতে পঞ্চম সংস্করণ এবং ২০৬৪ বিক্রম সংবতে উপন্যাসের পঞ্চম সংস্করণ প্রকাশিত হয়।

উপন্যাস গ্রন্থের প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন তেকবির মুখিয়া।

অনুবাদ[সম্পাদনা]

ধুরবলাল সাহানি চম্পা উপন্যাসটিকে হিন্দিতে অনুবাদ করেন। ২০৬৭ বিক্রম সংবতে (২০১০–১১ খ্রিষ্টাব্দ) নেপাল একাডেমির অনুবাদ বিভাগ প্রতিষ্ঠার কয়েক বছরের মধ্যে অনুবাদটি প্রকাশিত হয়।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Sharma, Bindu (২৬ নভেম্বর ২০১০), "फेमिली थेरापी : 'चम्पा' उपन्यासका सन्दर्भमा", Samakalin Sahitya, সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  2. Subedi, Abhi (১৯৭৮)। Nepali Literature: Background & History (ইংরেজি ভাষায়)। Sajha Prakashan। পৃষ্ঠা 113। 
  3. Pradhan, Paras Mani (১৯৭৮)। Mahakavi Laxmi Prasad Deokota (ইংরেজি ভাষায়)। Bhagya Laxmi Prakashan। 
  4. पाठ, नागरिक २४ फाल्गुन २०७६ २८ मिनेट। "विचार र भावनाको सेतु"nagariknews.nagariknetwork.com (নেপালী ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]