চন্দ্র শমশের জঙ্গবাহাদুর রাণা
ফিল্ড মার্শাল শ্রী ৩ মহারাজ চন্দ্র শমশের জঙ্গবাহাদুর রাণা চন্দ্র শমশের রাণা | |
---|---|
श्री ३ महाराज चन्द्र शमशेर जङ्गबहादुर राणा | |
![]() | |
১৩তম নেপালের প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২৭ জুন ১৯০১ – ২৬ নভেম্বর ১৯২৯ | |
সার্বভৌম শাসক | রাজা ত্রিভুবন |
পূর্বসূরী | দেব শমশের জঙ্গবাহাদুর রাণা |
উত্তরসূরী | ভীম শমশের জঙ্গবাহাদুর রাণা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | কাঠমান্ডু, নেপাল | ৮ জুলাই ১৮৬৩
মৃত্যু | ২৬ নভেম্বর ১৯২৯ কাঠমান্ডু, নেপাল | (বয়স ৬৬)
নেপালের মহারাজ | |
রাজত্ব | ২৭ জুন ১৯০১ – ২৬ নভেম্বর ১৯২৯ |
পূর্বসূরি | দেব শমশের জঙ্গবাহাদুর রাণা |
উত্তরসূরি | ভীম শমশের জঙ্গবাহাদুর রাণা |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
বংশধর |
|
বংশ | রাণা বংশ |
পিতা | ধীর শমশের জঙ্গবাহাদুর রাণা |
মাতা | নন্দকুমারি থাপা (থাপা বংশ) |
ফিল্ড মার্শাল, শ্রী ৩ মহারাজ চন্দ্র শমশের জঙ্গবাহাদুর রাণা (নেপালি: चन्द्र शमशेर जङ्गबहादुर राणा, ৮ জুলাই ১৮৬৩ - ২৬ নভেম্বর ১৯২৯) রাণা শাসনের পঞ্চম মহারাজা এবং নেপালের ১৩তম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।[১] তিনি তার উদারপন্থী ও সংস্কারবাদী বড় ভাই দেব শমশেরকে সফলভাবে পদচ্যুত করার পরে ১৯০১ সালের ২৭ জুন থেকে ১৯২৯ সালে তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই ক্ষমতাটিতে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। নেপালে দাসপ্রথা বিলোপ এবং ১৯২৩ সালের নেপাল-ব্রিটেন চুক্তি প্রতিষ্ঠা সহ বেশ কয়েকটি সংস্কারের জন্য তাকে কৃতিত্ব দেওয়া হয় এবং এই চুক্তির কারণে নেপালকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের মিত্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি নেপালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য বিপুল সংখ্যক নেপালি সৈন্য প্রেরণ করেন।
ক্ষমতায় উত্থান
[সম্পাদনা]তিনি তার ভাই খড্গ শমশের এবং ভীম শমশেরের সাথে নেপালের বংশগত রাণা প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকার সূত্রে উঠার জন্য তাঁর চাচা শ্রী তিন মহারাজ রাণোদীপ সিংক কুঁবরকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। ১৯০১ সালের মার্চ মাসে তার বড় ভাই বীর শমসেরের মৃত্যুর পর তিনি তার ভাই দেব শমসেরের প্রধানমন্ত্রিত্বের অধীনে নেপালি সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হন। দেব শমশের একজন উদারপন্থী ছিলেন এবং তাঁর স্বল্প শাসনের ফলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রীকরণের আশঙ্কায় চন্দ্র শমশের একটি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ১৯০১ সালের জুনে নিজের জন্য ক্ষমতা দখল করেন।[২] যদিও সংস্কার ও জনশিক্ষার বিরোধিতা করেছিলেন, তিনি পরে ইউরোপ সফরের পরে অনিচ্ছাকৃতভাবে অসংখ্য সংস্কার এনেছিলেন এবং এই কারণে তিনি নেপালকে ইউরোপের তুলনায় অনেক বেশি পশ্চাদপদ বলে মনে করেছিলেন।