চন্দ্রপ্রভা
চন্দ্রপ্রভা Tecoma stans | |
---|---|
![]() | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
(শ্রেণীবিহীন): | Angiosperms |
(শ্রেণীবিহীন): | Eudicots |
(শ্রেণীবিহীন): | Asterids |
বর্গ: | Lamiales |
পরিবার: | Bignoniaceae |
গোত্র: | Tecomeae |
গণ: | Tecoma |
প্রজাতি: | T. stans |
দ্বিপদী নাম | |
Tecoma stans (L.) Juss. ex Kunth | |
প্রতিশব্দ[১] | |
|
হলদে চন্দ্রপ্রভা বা সোনাপাতি (বৈজ্ঞানিক নাম: Tecoma stans)[২][৩] (ইংরেজি: Yellow bells, Yellow trumpet বা Yellow-Elder)[৪][৫][৬] হচ্ছে বিগ্নোনিয়াসি পরিবারের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ।[৭][৮]
বিবরণ[সম্পাদনা]
হলদে চন্দ্রপ্রভা চিরসবুজ বৃক্ষ। এটি দেখতে ঝোপালো আকৃতির হয়। সাধারণত চন্দ্রপ্রভা গাছ চার মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। তবে আলো-বাতাসের প্রাপ্যতা, মাটির গুণাগুণ ও স্থানভেদে এর কম বা বেশিও হতে পারে। এই বৃক্ষের মাথা কিছুটা ছড়ানো থাকে। পাতা সবুজ ও কিনার খাঁজকাটা থাকে।
ফুল পাতা বীজ[সম্পাদনা]
গাছের ডালের আগাতে থোকায় থোকায় হলুদ রঙের ফুল ফোটে। চন্দ্রপ্রভা ফুল দেখতে ফানেল (চুঙ্গি) বা ঘণ্টা আকৃতির। এটি ৩-৪ সেমি পর্যন্ত চওড়া হয়ে থাকে। এর পাতা যৌগিক, আট থেকে পনেরো সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। ফুল বড় বড় থোকায় ঘনসন্নিবিষ্ট হয়ে থাকে।
হলদে চন্দ্রপ্রভার বীজ ছোট আকৃতির। বীজ বা ডাল থেকে তৈরি কলমের মাধ্যমে এর বংশবৃদ্ধি করা যায়। এর জন্য খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। বড় উঠোন বা পাকা ঘরের ছাদেও বড় আকারের টবে লাগানো যায়।
ফুল ফোটার সময়[সম্পাদনা]
বাংলাদেশে চন্দ্রপ্রভা গ্রীষ্ম-বর্ষা ও শরৎ-হেমন্তে ফুটলেও কিছু কিছু গাছে বছরের অন্যান্য সময়েও হঠাৎ দু'একটি ফুল ফুটতে দেখা যায়। এই ফুলগাছ দ্রুত বাড়ে। এই ফুলের মৌমাছি ও কীটপতঙ্গ আকর্ষণ করার ক্ষমতা প্রচুর।
আলংকারিক গাছ[সম্পাদনা]
বাড়ি, স্কুল-কলেজ বা অফিসের আঙিনা, সদর দরজার পাশে, রাস্তার ধারে বা সড়কদ্বীপে চন্দ্রপ্রভা লাগিয়ে অনায়াসেই জায়গার সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে নেয়া যায়।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ theplantlist.org
- ↑ database, NODC Taxonomic Code, 1996
- ↑ Lamiales of North America Update, 2011
- ↑ "Tecoma stans"। জার্মপ্লাজম রিসোর্স ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক (জিআরআইএন)। কৃষি গবেষণা পরিসেবা (এআরএস), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ database, The PLANTS Database, 2000
- ↑ database, The PLANTS Database, 1996
- ↑ Roskov Y., Kunze T., Orrell T., Abucay L., Paglinawan L., Culham A., Bailly N., Kirk P., Bourgoin T., Baillargeon G., Decock W., De Wever A., Didžiulis V. (ed) (২০১৪)। "Species 2000 & ITIS Catalogue of Life: 2014 Annual Checklist."। Species 2000: Reading, UK.। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৪।
- ↑ "(Canada);http://siit.conabio.gob.mx (Mexico) ITIS Regional: The Integrated Taxonomic Information System"। ২৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০২০।