গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গুম্বুজ জামে মসজিদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলা সদর হতে ২ কিলো মি. দক্ষিণ ও পশ্চিমে উত্তর গুনাইঘর ইউনিয়নের গুনাইঘর গ্রামে অবস্থিত।[১][২][৩][৪][৫][৬]

নির্মাণ ও উদ্ভোধন[সম্পাদনা]

২০০২ সাল হতে মসজিদটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০০৫ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কুমিল্লা - ৪ আসনের বিএনপি র সাংসদ ইন্জিনিয়ার মন্জুরুল আহসান মুন্সীর আর্থিক সহায়তায় মসজিদটি নির্মাণ করেন। নির্মাণ শেষে মসজিদটি উদ্ভোধন করেন বিএনপি সরকারের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ খন্দকার মোশারফ হোসেন।[১][২][৭][৮]

বিবরণ[সম্পাদনা]

মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৪৮ ফুট, প্রস্থ ৩৬ ফুট। ৭ টি গুম্বুজ, ৪ টি সুউচ্চ মিনার রয়েছে। প্রতিটি মিনারের উচ্চতা ৮০ ফুট। ৭ টি গুম্বুজের মধ্যে ৫ টিতে রয়েছে ঝাড়বাতি। মসজিদটি তে মুসুল্লিদের আরাম আয়েস এর জন্য রয়েছে ৬ টি এসি। মসজিদটির ভিতরে শতাধিক মুসুল্লি একসাথে নামাজ পড়তে পারে। আর বারান্দায় অর্থাৎ সামনের স্টাইলস করা জায়গাটিতে দুইশতাধিক মুসুল্লি নামাজ পড়তে পারে। মসজিদের উপর বিভিন্ন রং এর বৈদ্যুতিক বাতির আলোক সজ্জা রয়েছে। যা অনেক দূর থেকে অনেক সুন্দর দেখা যায়। মসজিদে লেখা আল্লাহ শব্দটি রাতের বেলা জ্বল জ্বল করে জ্বলতে থাকে। মসজিদটির পেছনে ফুল ও ফলের বাগান রয়েছে।মসজিদটির ভিতরে ও বাহির অসংখ্য চাদ ও তারা আকা রয়েছে। মসজিদটি নির্মাণের সময় ইট,বাল,সিমেন্ট এর পাশাপাশি চিনামাটি ও স্টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে।

নির্মাণ শৈলী ও কারুকাজ[সম্পাদনা]

নতুন ও পুরাতন পদ্ধতির সংমিশ্রণে অসংখ্য ক্যালিও গ্রাফিতে আকা ব্যতিক্রমধর্মীর নির্মাণ শৈলির নির্মিত এই মসজিদটি। মসজিদটির বৈশিষ্ট্য হলো ক্যালিওগ্রাফি ও নির্মান কৌশল।নির্মাণ শৈলীর দিক থেকে এ মসজিদটি সারা বাংলাদেশের হাতে গোনা কয়েকটি মসজিদের মধ্যে একটি। অসংখ্য ক্যালিও গ্রাফিতে আকা ব্যতিক্রম ধর্মী নির্মাণ শৈলী। বাংলাতে ৮ টি ক্যালিও গ্রাফি রয়েছে। আর আরবিতে লেখা রয়েছে কোরআনের চার কুল। মসজিদটির কারুকাজ ও ক্যালিও গ্রাফির দিকে তাকালে তার সৌন্দর্য দেখে সবাই অবাক হতে হয়। কারুকাজ করা হয়েছে মোগল,তুর্কী ও পারস্যের সংমিশ্রণে। কারুকাজের সৌন্দর্য বৃদ্ধির ৩ শত ৫০ মন চিনামাটির টুকরো ও ২ শত ৫০ টি গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে।

পর্যটন ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

মসজিদটি অতি সুন্দরের কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গা হতে লোকজন আসে দেখার জন্য। এ মসজিদটি বর্তমানে বাংলাদেশের স্থাপত্য শিল্পের একটি নিদর্শন।

স্থপতি[সম্পাদনা]

মসজিদটির স্থপতি হলেন শাহিন মালিক

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন গুনাইঘর সাত গম্বুজ মসজিদ | daily nayadiganta"The Daily Nayadiganta। ২০১৯-১০-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৫ 
  2. BanglaNews24.com। "দেবীদ্বারে দৃষ্টিনন্দন 'সাত গম্বুজ মসজিদ'"banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৫ 
  3. "কুমিল্লার বায়তুল আজগর জামে মসজিদ"Women's Corner (ইংরেজি ভাষায়)। 1520785698। সংগ্রহের তারিখ 2019-10-15  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  4. Times, The Dhaka। "'গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদ'"The Dhaka Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৫ 
  5. "গুনাইঘর (উত্তর) ইউনিয়ন" |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)http (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "দেবীদ্বার উপজেলা - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৫ 
  7. "কুমিল্লার গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদ"www.ambalanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১০-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৫ 
  8. "গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদ" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১২-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৫