গুজরাতি চলচ্চিত্র
গুজরাতি চলচ্চিত্র | |
---|---|
সিনেমা পর্দার সংখ্যা | ২১০ (গুজরাত) |
নির্মিত কাল্পনিক চলচ্চিত্র (২০১৯) | |
মোট | ৮০ |
গুজরাতি চলচ্চিত্র হল গুজরাতি ভাষার চলচ্চিত্র শিল্প। এটি ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রধান আঞ্চলিক ও স্থানীয় চলচ্চিত্র শিল্পগুলির মধ্যে একটি, এটি সূচনাকাল থেকে আজ পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি চলচ্চিত্র তৈরি করেছে।
নীরব চলচ্চিত্রের যুগে, শিল্পের অনেক ব্যক্তি গুজরাতি ছিলেন। ভাষা-সম্পর্কিত সবাক চলচ্চিত্র শিল্পটি ১৯৩২ সালের দিকে শুরু হয়েছিল, যখন প্রথম গুজরাটি সবাক চলচ্চিত্র নরসিংহ মেহতা মুক্তি লাভ করেছিল। ১৯৪৭ সালে, ভারতের স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত মাত্র বারোটি গুজরাতি চলচ্চিত্র বা ছায়াছবি নির্মিত হয়েছিল। সাধু, সতী[ক] বা ডাকাতের গল্পের পাশাপাশি পৌরাণিক কাহিনী ও লোককাহিনীকে কেন্দ্র করে ১৯৪০-এর দশকে চলচ্চিত্র নির্মাণে একটি উত্থান ঘটেছিল। উত্থানটি ১৯৫০–১৯৬০-এর দশকে সাহিত্যকর্মের উপর চলচ্চিত্র নির্মাণের সঙ্গে অব্যাহত ছিল। গুজরাত সরকার ১৯৭০-এর দশকে কর ছাড় ও ভর্তুকি ঘোষণা করে, যার ফলে চলচ্চিত্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, কিন্তু গুণমান হ্রাস পায়।
১৯৬০-১৯৮০-এর দশকে উন্নতি লাভ করার পর, শিল্পটি ২০০০-এর মধ্যে হ্রাস পেয়েছিল যখন নতুন চলচ্চিত্রের সংখ্যা ২০ টির নিচে নেমে আসে। গুজরাত রাজ্য সরকার ২০০৫ সালে আবার কর ছাড় ঘোষণা করেছিল, যা ২০১৭ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। শিল্পটি প্রথমে গ্রামীণ চাহিদার কারণে এবং পরে চলচ্চিত্রে নতুন প্রযুক্তি ও শহুরে বিষয়ের প্রবাহের কারণে ২০১০-এর দশকে আংশিকভাবে পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। রাজ্য সরকার ২০১৬ সালে প্রণোদনার নীতি ঘোষণা করেছিল।
ব্যুৎপত্তি
[সম্পাদনা]গুজরাতি চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য ঢোলিউড ডাকনামটি মুম্বই (তখন বোম্বে বলা হত) ভিত্তিক হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য ব্যবহৃত বলিউড ডাকনাম থেকে অনুপ্রাণিত। ঢোলিউড শব্দের অন্তর্গত "ঢোল" শব্দাংশটি একটি ধরনের দ্বি-মাথাযুক্ত ড্রামের প্রচুর ব্যবহারের কারণে এসেছে। এটিকে গলিউড হিসেবেও উল্লেখ করা হয়, এটি গুজরাত ও বলিউড থেকে উদ্ভূত একটি কৃত্রিম শব্দ। [৩][৪][৫]
টীকা
[সম্পাদনা]- ↑ The word Sati has a wide range of meanings. Here Sati is used for "a good woman, devoted to her husband" or "a woman who confines her all thoughts about men to her husband." (Hindi sabdasagara dictionary).[১] The English dictionaries define it as the act of a woman who immolates herself on the funeral pyre of her husband. See Sati. This practise is now obsolete. Here it is used for a person, not for the practise.[২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Dasa, Syamasundara (১৯৬৫–১৯৭৫)। Hindi sabdasagara। New Edition (হিন্দি ভাষায়)। কাশী: নাগরী প্রচারিণী সভা। পৃষ্ঠা ৪৯২৭।
- ↑ Hawley, John Stratton (৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪)। Sati, the Blessing and the Curse: The Burning of Wives in India। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১১–১২। আইএসবিএন 978-0-19-536022-6।
- ↑ গঙ্গার, অমৃত; মতি, গোকুলসিং কে.; দিশানায়েক, উইমল (১৭ এপ্রিল ২০১৩)। "Gujarati Cinema: Stories of sant, sati, shethani and sparks so few"। Routledge Handbook of Indian Cinemas। রাউটলেজ। পৃষ্ঠা ৮৮–৯৯। আইএসবিএন 978-1-136-77284-9। ডিওআই:10.4324/9780203556054। ৬ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Gujarati cinema: A battle for relevance"। dna। ১৬ ডিসেম্বর ২০১২। ১৭ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২৩।
- ↑ "Gujarati film industry says no to Dhollywood"। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। ২০ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।