গলবিল প্রদাহ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গলবিল প্রদাহ
প্রতিশব্দতীব্র গলা ব্যথা
ভাইরাসজনিত গলবিল প্রদাহের কারণে সৃষ্ট দৃশ্যমান লালচে ভাব।
বিশেষত্বসংক্রামক ব্যাধি
লক্ষণগলা ব্যথা, জ্বর, নাকে সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা, কর্কশ কণ্ঠ[১][২]
জটিলতাঅস্থিকোটর প্রদাহ, তীব্র মধ্যকর্ণ প্রদাহ[২]
স্থিতিকাল৩–৫ দিন[২]
কারণসাধারণত ভাইরাসজনিত সংক্রমণ[২]
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতিউপসর্গ অনুসারে দ্রুত প্রতি-উদ্দীপক শনাক্তকরণ পরীক্ষা, গলার শ্লেষ্মার নমুনা[২]
পার্থক্যমূলক রোগনির্ণয়আলজিহ্বা প্রদাহ, থাইরয়েড প্রদাহ, গলবিল-পশ্চাদ্দেশীয় ফোঁড়া[২]
চিকিৎসাস্টেরয়েডহীন প্রদাহনাশক ঔষধ (NSAID), লাইডোকেন[২][৩]
সংঘটনের হার~৭.৫% মানুষ, বছরের যেকোন ৩-মাস পর্যায়ে[৪]

গলবিল প্রদাহ বলতে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের দ্বারা রোগ-সংক্রমণের কারণে গলার পেছনের দিকে অর্থাৎ গলবিলে ব্যথা হওয়াকে বোঝায়।[২] গলা ব্যথার পাশাপাশি আরও কিছু উপসর্গ আছে যেমন ঢোক গিলতে কষ্ট হওয়া, কাশি, মাথাব্যথা, কর্কশ কণ্ঠ, সর্দি পড়া, গলবিল লাল হয়ে যাওয়া, লসিকাগ্রন্থিগুলির ফুলে যাওয়া এবং জ্বর হওয়া।[১][২] সাধারণত ৩ থেকে ৫ দিন এই উপসর্গগুলি অব্যাহত থাকে।[২] গলবিল প্রদাহকে এক ধরনের ঊর্ধ্ব শ্বাসনালি সংক্রমণ হিসেবে শ্রেণীকরণ করা হয়েছে।[৫] জটিল অবস্থা ধারণ করলে গলবিল প্রদাহ থেকে অস্থিকোটর প্রদাহ বা সাইনাসের প্রদাহ (Sinusitis) এবং তীব্র মধ্যকর্ণ প্রদাহ (Acute otitis media) হতে পারে।[২]

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গলবিল প্রদাহের জন্য ভাইরাস দায়ী।[২] তবে ২৫% শিশু ও ১০% প্রাপ্তবয়স্কের ক্ষেত্রে স্ট্রেপ্টোকক্কাস জাতীয় ব্যাকটেরিয়ার জন্য সৃষ্ট যে গলবিল প্রদাহ হয় (ইংরেজিতে "স্ট্রেপ থ্রোট" নামে পরিচিত), সেটি বিপদজনক।[২] কারণ এতে বাতজ্বর হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই স্ট্রেপটোকক্কাসের জন্য গলবিল থেকে নেওয়া নমুনা পরীক্ষা করতে হয় ("স্ট্রেপ থ্রোট কালচার") এবং সময়মত ব্যাকটেরিয়ানাশক বা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করতে হয়। অন্যদিকে ভাইরাসজনিত গলবিল প্রদাহের জন্য ব্যাকটেরিয়ানাশক ওষুধ কোনও কাজে আসে না; এক্ষেত্র শুধুমাত্র উপসর্গ প্রশমনের জন্য ওষুধ দেওয়া হয়।

এছাড়া ছত্রাক, অতিসংবেদনশীলতা বা অ্যালার্জি, ধূমপান, অম্ল ঢেকুর, ইত্যাদি কারণেও ক্ষেত্রবিশেষে গলবিল প্রদাহ হতে পারে।[২][৩]

আলজিহ্বা প্রদাহ, থাইরয়েড প্রদাহ, গলবিল-পশ্চাদ্দেশীয় ফোঁড়া ইত্যাদি রোগের ক্ষেত্রেও একই ধরনের উপসর্গ দেখা যেতে পারে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Rutter, Paul Professor; Newby, David (২০১৫)। Community Pharmacy ANZ: Symptoms, Diagnosis and Treatment (ইংরেজি ভাষায়)। Elsevier Health Sciences। পৃষ্ঠা 19। আইএসবিএন 9780729583459। ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. Hildreth, AF; Takhar, S; Clark, MA; Hatten, B (সেপ্টেম্বর ২০১৫)। "Evidence-Based Evaluation And Management Of Patients With Pharyngitis In The Emergency Department."। Emergency medicine practice17 (9): 1–16; quiz 16–7। পিএমআইডি 26276908 
  3. Weber, R (মার্চ ২০১৪)। "Pharyngitis."। Primary care41 (1): 91–8। ডিওআই:10.1016/j.pop.2013.10.010পিএমআইডি 24439883 
  4. Jones, Roger (২০০৪)। Oxford Textbook of Primary Medical Care (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 674। আইএসবিএন 9780198567820। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৬ 
  5. "Pharyngitis"National Library of Medicine। ২০ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৬