গথিক ভাষা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গথিক
অঞ্চলঅইয়াম (Oium), ডাসিয়া (Dacia), প্যেনোনিয়া (Pannonia), ডালমাসিয়া (Dalmatia), ইতালি(Italy), গালিয়া নারবোনেসিয়া (Gallia Narbonensis), গালিয়া অ্যাকুইতানিয়া (Gallia Aquitania), হিসপানিয়া (Hispania), ক্রিমিয়া (Crimea).
বিলুপ্তঅধিকাংশই ৮ম থেকে ৯ম শতাব্দির মধ্যে বিলুপ্ত হয়। অবশিষ্টাংশ ১৮শ শতাব্দির পর্যন্ত নামেমাত্র প্রচলিত ছিল বলে ধারণা করা হয়।
উপভাষা
  • ক্রাইমেন গথিক(Crimean Gothic)
গথিক স্বরলিপি
ভাষা কোডসমূহ
আইএসও ৬৩৯-২got
আইএসও ৬৩৯-৩got
গ্লোটোলগgoth1244[১]
লিঙ্গুয়াস্ফেরা52-ADA
এই নিবন্ধটিতে আধ্বব ধ্বনিমূলক চিহ্ন রয়েছে। সঠিক পরিবেশনার সমর্থন ছাড়া, আপনি ইউনিকোড অক্ষরের পরিবর্তে প্রশ্নবোধক চিহ্ন, বক্স, অথবা অন্যান্য চিহ্ন দেখতে পারেন।

গথিক ভাষা হচ্ছে একটি বিলুপ্ত জার্মানীয় ভাষা। এটি ছিল প্রাক্তন গথ সম্প্রদায়ের প্রধান ভাষা।কোডেক্স আর্জেন্টাস ("সিলভার বুক/কেডেক্স" এর ল্যাটিন), যা ছিল ৪র্থ শতাব্দির বাইবেলের ৬ষ্ঠ শতাব্দীও একটি অনুবাদ, এর ভাষা ছিল এটি। এবং এর জন্যই ভাষাটি বিখ্যাত। গথিক ভাষাই একমাত্র পূর্ব জার্মানীয় ভাষা যার রয়েছে বিপুল পরিমাণ পাঠ্যাংশ।

একটি জার্মান ভাষা হিসেবে গথিক ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা গোত্রের অর্ন্তভূক্ত। এটি সবচেয়ে পুরাতন জার্মান ভাষা যা দীর্ঘ বই-পুস্তকে ব্যবহৃত হয় যদিও আধুনিক কোন ভাষা এর কোন বংশধর নয়। সবচেয়ে পুরাতন গথিক ভাষার প্রামান্য দলিল পাওয়া যায় ৪র্থ শতাব্দির দিকে। ৬ষ্ঠ শতাব্দির মধ্য দিকে গথিক ভাষা বিলুপ্ত হতে থাকে। ফ্রাঙ্কদের নিকট গথ সম্প্রদায়ের পরাজয়ই এই বিলুপ্তির প্রধান প্রভাবক।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

   ৭৫০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দের আগের বসতি
   ৭৫০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ থেকে ১ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত বসতি
   ১০০ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত বসতি
   ১০০ খ্রীষ্টাব্দ পরবর্তী বসতি

একেবারে সামান্য পরিমাণ গথিক ভাষার দলিলাদি এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়েছে। এর থেকে যে পরিমাণ তথ্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে তার মাধ্যমে ভষাটির পুনর্গঠন সম্ভব হয়নি। আর একটি কারণ হল এখন পর্যন্ত যতটুকু গথিক ভাষার দলিলাদি পাওয়াগেছে সেগুলো মূলত অন্য ভাষার (উদাহরনস্বরুপ: 'গ্রীক') অনুবাদলিপি।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। "Gothic"গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট।