গণপতি চক্রবর্তী
Ganapati Chakraborty গণপতি চক্রবর্তী | |
|---|---|
গণপতি চক্রবর্তী তাসের খেলা দেখাচ্ছেন। | |
| জন্ম | ১৮৫৮ |
| মৃত্যু | ২০ নভেম্বর ১৯৩৯ |
| জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারত |
| পেশা | জাদুকর |
| পরিচিতির কারণ | বাংলায় আধুনিক জাদুবিদ্যার পথিকৃৎ |
গণপতি চক্রবর্তী (ইংরেজি: Ganapati Chakraborty) (১৮৫৮ - ২০ নভেম্বর ১৯৩৯) ছিলেন একজন বিখ্যাত জাদুকর। তিনি তার চিত্তাকর্ষক জাদুবিদ্যার কৌশলগুলির জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তাকে বাংলার আধুনিক জাদুবিদ্যার পথিকৃৎ বলে গণ্য করা হয়। [১] তিনি পি সি সরকার এবং কে লালের পরামর্শদাতা ছিলেন।
প্রথম জীবন
[সম্পাদনা]গণপতির জন্ম হয় হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের কাছে ছাতরা গ্রামে একটি জমিদার পরিবারে। তার ছেলেবেলায় তিনি লেখাপড়ায় তেমন একটা উৎসাহী ছিলেন না। তিনি বরং গান-বাজনা প্রতি বেশি উৎসাহী ছিলেন। সতেরো বা আঠারো বছর বয়েসে তিনি গৃহত্যাগ করেন হিন্দু সাধুদের থেকে গুপ্ত মন্ত্রতন্ত্র, ভবিষ্যৎ ও অদৃষ্ট গণনা, ঝাড়ফুঁক এবং নানা রোগের অলৌকিক চিকিৎসাবিদ্যা শেখার জন্য। তিনি দু-একজন যাদুকরের সংস্পর্শেও এসেছিলেন।[১]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]
গণপতি প্রিয়নাথ বসুর গ্রেট বেঙ্গল সার্কাসে যোগ দেন এবং কৌতুক অভিনয় এবং মজাদার খেলা দেখিয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। "ইলিউশন বক্স" এবং "ইলিউশন ট্রি" তার প্রযোজিত বিখ্যাত ও চমকপ্রদ দুটি খেলা ছিল। এই দুটি খেলা দেখানোর সাথে সাথেই তিনি তিনি গ্রেট বেঙ্গল সার্কাসের সেরা শিল্পীর মর্যাদা পান।[১]
১৯০৮ সালে প্রফেসর বোসের সার্কাসের সাথে সিঙ্গাপুর সফরের সময় তার তাসের খেলা এবং তার অদৃশ্য হওয়ার খেলা সফলতা লাভ করে। [২] এরপর তার খেলার তালিকায় যুক্ত হয় "কংস-কারাগার"। তিনি ভৌতিক ক্ষমতা সিদ্ধ এই ধারণা দর্শকদের মনে দৃঢ়মূল হয়েছিল। [১]
তার "ইলিউশন বক্স", "ইলিউশন ট্রি" এবং "কংস কারাগার" এই তিনটি খেলাতেই তিনি অতি কঠিন ও জটিল বন্ধন দশা থেকে অবলীলায় এবং ক্ষিপ্রতার সাথে মুক্ত হয়ে আসতেন এবং আবার সেই পূর্বাবস্থাতে ফিরে যেতেন। এই রকমের পলায়নী খেলাতে তিনি পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাদুকর আমেরিকার হ্যারি হুডিনির (১৮৭৩ - ১৯২৬) সঙ্গে তুলনীয়। [৩]
খুব কড়া মেজাজ এবং রুক্ষ কথাবার্তার জন্য সার্কাসের সহকর্মিরা তাকে "দুর্বাসা মুনি" আখ্যা দিয়েছিল। [১]
তিনি পরে গ্রেট বেঙ্গল সার্কাসের কয়েকজন শিল্পীকে নিয়ে আলাদা দল গড়ে তোলেন। এই দল সারা ভারতের বিভিন্ন জায়গায় খেলা দেখিয়ে সুনাম ও অনেক অর্থ উপার্জন করে।[১]
পরবর্তী জীবন
[সম্পাদনা]শেষ জীবনে কলকাতার কাছে বরাহনগরে বাড়ি ও মন্দির তৈরি করে সাধনভজনে দিন কাটান। [১]
তার রচিত গ্রন্থ ছিল "যাদুবিদ্যা" যা ১৩৩৯ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হয়েছিল।[৩]
অকৃতদার গণপতির অনেক গোপন দান ছিল। তিনি তার সম্পত্তি শ্রী ভূপেন্দ্রনাথ রায় চৌধুরীকে দান করেন। [১]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- 1 2 3 4 5 6 7 8 সেনগুপ্ত, সুবোধ চন্দ্র; বসু, অঞ্জলি, সম্পাদকগণ (জানুয়ারি ২০০২)। "গণপতি চক্রবর্তী" [Ganapati Chakraborty]। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান (Bibliographical Dictionary) (Bengali ভাষায়)। খণ্ড Volume ১ (4th সংস্করণ)। কলকাতা: শিশু সাহিত্য সংসদ। পৃ. ১২৭। আইএসবিএন ৮১-৮৫৬২৬-৬৫-০।
{{বিশ্বকোষ উদ্ধৃতি}}:|খণ্ড=-এ অতিরিক্ত লেখা রয়েছে (সাহায্য)উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক) - ↑ "Bose's Circus"। The Singapore Free Press and Mercantile Advertiser। Singapore। ১৫ অক্টোবর ১৯০৮। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫।
- 1 2 ভারতকোষ - তৃতীয় খণ্ড।