খেরসন শিল্পকলা জাদুঘর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
খেরসন শিল্পকলা জাদুঘর
Херсонський обласний художній музей імені Олексія Шовкуненка
মানচিত্র
স্থাপিত২৭ মে ১৯৭৮[১]
অবস্থানখেরসন, ইউক্রেন
ধরনশিল্পকলা জাদুঘর
ওয়েবসাইটhttps://artmuseum.ks.ua

খেরসন শিল্পকলা জাদুঘর (ইউক্রেনীয়: Херсонський обласний художній музей імені Олексія Шовкуненка, প্রতিবর্ণীকৃত: খেরসনস্কি ওবলাসনি খুদোজনি মুজেই ইমেনি ওলেক্সিয়া শোভকুনেঙ্কা) হলো দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন শহরে অবস্থিত একটি শিল্পকলা জাদুঘর। এই জাদুঘরটি শোভকুনেঙ্কো খেরসন অঞ্চলিক শিল্পকলা জাদুঘর নামেও পরিচিত।[২] এটি খেরসন শহরের প্রাক্তন সিটি হল ভবনে অবস্থিত।[৩] ১৯৭৮ সালের ২৭ মে এই জাদুঘরটির উদ্বোধন হয়েছিল।[৪]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

খেরসন শিল্পকলা জাদুঘরের আন্তরীক্ষ দৃশ্য

জাদুঘরটি উনিশ শতকের শেষের দিকের দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন শহরের পুরানো টাউন হলে অবস্থিত। এটি একটি বিখ্যাত ভবন। এই ভবনটি ১৮৯৭ সালে নির্মিত হয়। এটি শহরের অন্যতম একটি প্রতীকও বটে।

১৮৯০ সালে প্রত্নতাত্ত্বিক ভিক্টর গোচকেভিচের ইচ্ছায় প্রথম প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছিল। তিনি তার প্রত্নতাত্ত্বিক এবং মুদ্রাসংগ্রহের পাশাপাশি তার শিল্পকলা এবং চিত্রকর্ম এখানে দান করেছিলেন। ১৯২১ সালে নিকোলাই গেড্রয়েটস তার নিজের এবং বন্ধুদের অনুদান দিয়ে জাদুঘরটিকে সমৃদ্ধ করেন। ১৯২২ সালে জাদুঘরটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সাথে একীভূত হয়।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের সময় খেরসন শহরের এই ঐতিহ্যময় জাদুঘরটি রুশ সেনারা লুট করে। ইউক্রেনীয় বাহিনী দ্বারা শহরটি মুক্ত করার কিছু সময় আগে, রুশ সৈন্যরা প্রায় ১৫,০০০ শিল্পকর্ম একেবারে অযত্নে ট্রাক এবং বাসে মধ্যে ভর্তি করে নিয়েছিল।[৫] শিল্পকর্মগুলি রাশিয়ান-অধিকৃত ক্রিমিয়ার সিমফেরোপলের তৌরিদা সেন্ট্রাল মিউজিয়ামে স্থানান্তরিত করা হয়। ক্রিমিয়ার জাদুঘরের পরিচালক আন্দ্রেই মালগিন দাবি করেছিলেন যে শিল্পকর্মগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল যতক্ষণ না সেগুলি সঠিক মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া যায়।[৬] ইউক্রেনের খেরসন পুলিশ যুদ্ধাপরাধ হিসেবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে।[৫] রুশ সৈন্যদের দ্বারা পাঁচশটিরও বেশি ইউক্রেনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থানের ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস ও লুটপাটের ঘটনাকে ইউক্রেনের সংস্কৃতি মন্ত্রী 'সাংস্কৃতিক গণহত্যা' হিসাবে আখ্যা দেন।[৭][৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]