খালিদ মকবুল সিদ্দিকী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
খালিদ মকবুল সিদ্দিকী
তথ্য প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২০ আগস্ট ২০১৮
রাষ্ট্রপতিমামনুন হুসাইন
আরিফ আলভী
প্রধানমন্ত্রীইমরান খান
পূর্বসূরীমুহাম্মদ ইউসুফ শায়খ
ফেডারেল শিল্প ও উৎপাদন মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
জুলাই ১৯৯৭ – আগস্ট ১৯৯৮
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
১৩ আগস্ট ২০১৮
সংখ্যাগরিষ্ঠ৯,৪৫৫ (৫৩.১০%)
ব্যক্তিগত বিবরণ
জাতীয়তাপাকিস্তানি
রাজনৈতিক দলমুত্তাহিদা কওমি আন্দোলন

খালিদ মকবুল সিদ্দিকী (উর্দু: خالد مقبول صدیقی‎‎) একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ, যিনি বর্তমানে (২০ আগস্ট ২০১৮ থেকে) তথ্য প্রযুক্তি এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ও ফেডারেল মন্ত্রী। তিনি আগস্ট ২০১৮ সাল থেকে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ সদস্য এবং মুত্তাহিদা কওমি আন্দোলন পাকিস্তানের নেতা। ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে যোগ দেন তিনি।

এর আগে তিনি ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩, ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ এবং জুন ২০১৩ থেকে মে ২০১৮ পর্যন্ত জাতীয় পরিষদ সদস্য ছিলেন। জাতীয় পরিষদের সদস্য থাকাকালীন তিনি জুলাই ১৯৯৭ থেকে আগস্ট ১৯৯৮ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের মন্ত্রিসভায় ফেডারাল শিল্প ও উৎপাদন মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন[সম্পাদনা]

খালিদ মকবুল সিদ্দিকী ছাত্র হিসাবে তিনি ১৯৮৯ সালে জিন্নাহ সিন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে অল পাকিস্তান মুত্তাহিদ্দা ছাত্র সংগঠনের (এপিএমএসও) চেয়ারম্যান হন।[১][২]

১৯৯০ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি নির্বাচনী এলাকা এনএ -১৬৯ (হায়দরাবাদ-তৃতীয়) থেকে হক প্যারাস্ট গ্রুপের (এইচপিজি) প্রার্থী হিসাবে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১] মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) ১৯৯০ সালের সাধারণ নির্বাচনের জন্য এইচপিজির ব্যানারে প্রার্থী করেছিল।[২] ১৯৯৩ সালে তিনি এমকিউএমের উপ-আহ্বায়ক হিসাবে নিযুক্ত হন।

১৯৯৭ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে তিনি নির্বাচনী এলাকা এনএ -১৬৯ (হায়দরাবাদ-৩) থেকে এইচপিজির প্রার্থী হিসাবে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১] ১৯৯৭ সালের জুলাইয়ে তাকে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ফেডারেল মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং ফেডারেল শিল্প ও উৎপাদন মন্ত্রীর পদে নিয়োগ পান যেখানে তিনি ১৯৯৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।[৩]

২০১৩ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে তিনি নির্বাচনী এলাকা এনএ-২১৯ (হায়দরাবাদ-১) থেকে এমকিউএমের প্রার্থী হিসাবে জাতীয় সংসদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৪][৫][৬][৭] তিনি ১৪,১০৩ ভোট পেয়ে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থী আলী মুহাম্মদ সেহতোকে পরাজিত করেছিলেন।[৮]

ফারুক সাত্তারকে বদলে এমকিউএমের সমন্বয় কমিটি তাকে দলের নতুন আহ্বায়ক হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার পরে ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে তাকে এমকিউএমের উপ-আহ্বায়ক থেকে এমকিউএমের আহ্বায়ক করা হয়। প্রতিশোধ নিতে ফারুক সাত্তার দলটির সমন্বয় কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন করে আন্তঃ-দলীয় নির্বাচনের আহ্বান জানান।[৯] ১৮ ফেব্রুয়ারি ফারুক সাত্তার আন্তঃদলীয় নির্বাচনে দলের আহ্বায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১০] সিদ্দিকের নেতৃত্বাধীন এমকিউএমএর দল নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ জানায় এবং পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনে (ইসিপি) একটি পিটিশন দায়ের করেছিল এবং বলেছিল যে ফারুক সাত্তারকে ১১ ফেব্রুয়ারি আহবায়ক পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে, তাই তার অভ্যন্তরীণ দলীয় নির্বাচন করার কোনও অধিকার ছিল না।[১১] ২৬ মার্চ ২০১৮ সালে ইসি সিদ্দিকীর পক্ষে রায় দিয়েছিল এবং ফারুক সাত্তারকে এমকিউএমের আহ্বায়ক পদ থেকে সরিয়ে দেয়।[১২]

এমকিউএমের আহ্বায়ক পদে তাকে বরখাস্ত করার ইসিপির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফারুক সাত্তার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে একটি আবেদন করেছিলেন।[১৩] ১১ জুন, ইসলামাবাদ হাইকোর্ট আবেদনটি খারিজ করে এবং ইসির আদেশ বহাল রাখে।[১৪]

তিনি ২০১৩ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে এনএ-২৫৫ (করাচি কেন্দ্রীয়-৩) আসন থেকে এমকিউমের প্রার্থী হিসাবে জাতীয় পরিষদে পুনরায় নির্বাচিত হন।[১৫]

১৮ আগস্ট ইমরান খান আনুষ্ঠানিকভাবে তার ফেডারেল মন্ত্রিসভা কাঠামো ঘোষণা করেন এবং সিদ্দিকীকে তথ্য প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়।[১৬] ২০ আগস্ট ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ফেডারেল মন্ত্রিসভায় তিনি তথ্য প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।[১৭]

২০ আগস্ট ২০১৮ সালে একটি আদালত লাউডস্পিকার আইন লঙ্ঘন সংক্রান্ত মামলায় সিদ্দিকীকে পলাতক ঘোষণা করে।[১৮]

বিতর্ক[সম্পাদনা]

মার্চ ২০১৮ সালে ইরুম আজিম ফারুক দাবি করেন যে খালিদ মকবুল সিদ্দিকী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন অল্প বয়সী মেয়েদের বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতেন।[১৯]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Khalid Maqbool Siddiqui"DAWN.COM। ১৯ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১৮ 
  2. "The Prime Minister's Cabinet"Newsline। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  3. "Federal cabinet of Prime Minister Sharif" (পিডিএফ)। Cabinet। ১১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১৮ 
  4. "National Assembly seats from Sindh"DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ মে ২০১৩। ৭ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৭ 
  5. "Impressive turnout: Seventy-two National Assembly members-elect bag 20% of total votes - The Express Tribune"The Express Tribune। ১৮ মে ২০১৩। ৫ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৭ 
  6. "The verdict is out: MQM shows it's still number one in Karachi - The Express Tribune"The Express Tribune। ১৩ মে ২০১৩। ৭ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৭ 
  7. "Constituency profile: 10-party alliance set to change Hyderabad's political scenario - The Express Tribune"The Express Tribune। ২৫ এপ্রিল ২০১৩। ৭ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৭ 
  8. "2013 election result" (পিডিএফ)। ECP। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৮ 
  9. "MQM-Pakistan split all the more likely - The Express Tribune"The Express Tribune। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  10. "MQM-P intra-party polls: Farooq Sattar elected party chief"DAWN.COM। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  11. "MQM Bahadurabad group challenges Sattar-led intra-party polls in ECP | The Express Tribune"The Express Tribune। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  12. "ECP removes Sattar as MQM-P convener | The Express Tribune"The Express Tribune। ২৬ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  13. "Farooq Sattar challenges ECP's decision to remove him as MQM-P convener in IHC"DAWN.COM। ২৮ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  14. Asad, Malik (১১ জুন ২০১৮)। "Farooq Sattar removed as MQM-P convener"DAWN.COM। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  15. "Pakistan election 2018 results: National and provincial assemblies"Samaa TV। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১৮ 
  16. "PM Imran Khan finalises names of 21-member cabinet"DAWN.COM। ১৮ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৮ 
  17. "16 ministers from PM Imran Khan's cabinet sworn in"DAWN.COM। ২০ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১৮ 
  18. "Karachi court declares IT Minister Khalid Maqbool Siddiqui absconder"Pakistan Today। ২০ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১৮ 
  19. "Khalid Maqbool Siddiqui used to send marriage proposals to young girls: Irum Azeem Farooque"www.pakistantoday.com.pk। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮