ক্ষিতীশচন্দ্র নিওগী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ক্ষিতীশচন্দ্র নিওগী (সংক্ষেপে কেসি নিওগী; ১৮৮৮-১৯৭০) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি রাজনীতিবিদ। তিনি ভারতের গণপরিষদের সদস্য, স্বাধীন ভারতের প্রথম মন্ত্রিসভার সদস্য এবং ভারতের প্রথম অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন।

তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন এবং ১৯২০, ১৯২৩, ১৯২৬, ১৯৩০ সালে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করে কেন্দ্রীয় আইন সভার সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে আইনসভায় ফিরে আসেন। তিনি পরিকল্পনা উপদেষ্টা বোর্ড এবং ভারতীয় রেল তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান সহ ভারত সরকারের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি উড়িষ্যা রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করে গোলটেবিল সম্মেলনে যোগ দেন। তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনেরও সদস্য ছিলেন।[১]

তিনি ভারতের গণপরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং স্বাধীনতার পর জওহরলাল নেহরুর অধীনে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী এবং পরে বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে স্বাধীন ভারতের প্রথম মন্ত্রিসভার সদস্য হন।[২] আর কে শানমুখম চেট্টির পদত্যাগের পরে, নিওগী ১৯৪৮ সালে ভারতের দ্বিতীয় অর্থমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি মাত্র ৩৫ দিন দায়িত্ব পালন করে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সাথে পদত্যাগ করার ফলে বাজেট উপস্থাপনের সুযোগ পাননি।[৩]

১৯৫১ সালের ২২ শে নভেম্বরে ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তিনি দেশটির প্রথম অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত হন।[৪]

নিওগী ও তার স্ত্রী লীলার তিনটি সন্তান ছিল। তার জ্যেষ্ঠ পুত্র পৃথ্বীশ নিওগী (১৯১৮-৯১) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানোয়ায় হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্প ইতিহাসের অধ্যাপক ছিলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Eleanor Roosevelt and the Struggle for Human Rights -- A NeoAristotelian Analysis"। ২০১৩-১১-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-২৯ 
  2. Chaudhary, Valmiki (১৯৮৪)। Dr. Rajendra Prasad: Correspondence and Select Documents। পৃষ্ঠা 326। আইএসবিএন 9788170230021 
  3. "- Liaquat Ali Khan: 1946-1947 (Interim government)" 
  4. "Inauguration of K. C. Neogy Conference Room in Thirteenth Finance Commission" (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। New Delhi: Fourteenth Finance Commission। ২০০৮-০৬-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-২৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]