ক্রেমারের নিয়ম
ক্রেমারের নিয়ম হলো দুই বা ততোধিক চলরাশি বিশিষ্ট একঘাত সহসমীকরণ সমাধানের একটি বিশেষ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে নির্ণায়ক বা ডিটারমিন্যান্টকে কাজে লাগিয়ে সহসমীকরণগুলির সমাধান করা হয়।[১] গণিতবিদ গাব্রিয়েল ক্রেমার এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেন, তাই তার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে। যদিও গণিতজ্ঞ ম্যাকলরিন এই পদ্ধতির একটি হালকা আভাস ইতিপূর্বেই দিয়েছিলেন।
বর্ণনা
[সম্পাদনা]দুই বা ততোধিক চলকবিশিষ্ট রৈখিক সহসমীকরণ সমাধানের জন্য এই পদ্ধতি কার্যকরী।[২]
ধরি,তিনটি পৃথক চলক x , y ও z দ্বারা গঠিত নিচের সহসমীকরণ তিনটিকে সমাধান করতে হবে:
এর জন্য প্রথমে তিনটি সমীকরণে উপস্থিত x, y ও z চলকের সহগ দ্বারা গঠিত নির্ণায়ক সমাধান করতে হবে।
অতঃপর x-এর সহগ দ্বারা গঠিত স্তম্ভ-টিকে d, d', d" দ্বারা প্রতিস্থাপিত করে পাওয়া যায়,
এবার একইভাবে,
এখন,চলরাশি তিনটির নির্ণেয় সমাধান হয়,
এইভাবেই ক্রেমারের নিয়মকে কাজে লাগিয়ে দুই , চার বা তার বেশি সংখ্যক চলরাশিযুক্ত সহসমীকরণের সমাধান করা সম্ভব।
সমাধান
[সম্পাদনা]- যদি Δ≠0 হয় তবে Δ1,Δ2,Δ3-এর মধ্য থেকে এক বা একাধিক শূণ্য হলেও তিনটি চলের একটি নির্দিষ্ট বাস্তব মান পাওয়া যাবে; একে সংজ্ঞাত আকারের সমীকরণ বলা হয়ে থাকে।
- যদি Δ=Δ1=Δ2=Δ3=0 হয় তবে তিনটি চলেরই অসংখ্য সমাধান পাওয়া যাবে।
- যদি Δ=0 হয় এবং Δ1,Δ2,Δ3-এর মধ্যে কমপক্ষে একটির মান অশূণ্য হয়, সেক্ষেত্রে চলগুলির কোনো সমাধান পাওয়া যাবে না।
শেষ দুটি ক্ষেত্রের সমীকরণকে অসংজ্ঞাত আকারের সমীকরণ বলা হয়।[৩]
সীমাবদ্ধতা
[সম্পাদনা]- এই সূত্র কেবলমাত্র নন-সিঙ্গুলার ম্যাট্রিক্স-এর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
- বর্গ ম্যাট্রিক্স ছাড়া এই সূত্র প্রযোজ্য হবে না।
- এই পদ্ধতিতে কেবলমাত্র একঘাত সমীকরণ সমাধান করা যায়।
সমসত্ত্ব ও অসমসত্ত্ব সহসমীকরণ
[সম্পাদনা]যখন Δ1=Δ2=Δ3=0 হবে,তখন সহসমীকরণতিনটিকে সমসত্ত্ব এবং উপরিউক্ত সম্পর্ক সিদ্ধ না হলে সহসমীকরণত্রয়কে অসমসত্ত্ব সহসমীকরণ বলা হয়।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ https://www.purplemath.com/index.htm
- ↑ https://www.ajol.info/index.php/jfas/article/viewFile/165383/154840
- ↑ ছায়া গণিত,দ্বিতীয় খন্ড
- ↑ উচ্চতর গণিত,সাঁতরা পাবলিকেশন [দ্বাদশ শ্রেণী]