কোটা সেতু, ক্লাং

স্থানাঙ্ক: ৩°০২′৪৫″ উত্তর ১০১°২৬′৪৮″ পূর্ব / ৩.০৪৫৮৯২৪° উত্তর ১০১.৪৪৬৭২০২° পূর্ব / 3.0458924; 101.4467202
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ক্লাং সেতু

Jambatan Kota, Klang
স্থানাঙ্ক ৩°০২′৪৫″ উত্তর ১০১°২৬′৪৮″ পূর্ব / ৩.০৪৫৮৯২৪° উত্তর ১০১.৪৪৬৭২০২° পূর্ব / 3.0458924; 101.4467202
বহন করেমোটর গাড়ি, পথচারী
অতিক্রম করেক্লাং নদী
স্থান জালান জামবাতান কোটা
দাপ্তরিক নামকোটা সেতু, ক্লাং
রক্ষণাবেক্ষকমালয়েশিয়া গণপূর্ত বিভাগ
বৈশিষ্ট্য
নকশাদ্বিতল সেতু ট্রস গার্ডার
প্রস্থ২২ ফুট (৬.৭ মি)
দীর্ঘতম স্প্যান১,৪৩৮ ফুট (৪৩৮ মি)
ইতিহাস
নকশাকারমালয়েশিয়া সরকার
মালয়েশিয়া গণপূর্ত বিভাগ
নির্মাণকারীমালয়েশিয়া গণপূর্ত বিভাগ
চালু1961
অবস্থান
মানচিত্র
ছবিতে কোটা সেতু

কোটা সেতু, ক্লাং বা জামবাতান কোটা, ক্লাং মালয়েশিয়ার প্রথম দ্বিতল সেতু। এটি সেলাঙ্গোরের ক্লাং শহরের ক্লাং নদীর উপর অবস্থিত। উপরের দীর্ঘ তলাটি চলাচলের জন্য নির্মিত হয়েছিল, যেখানে নিচের ছোট তলা শুধুমাত্র পথচারী এবং সাইকেলের জন্য ব্যবহার করা হত। সেতুটি মূলত ১,৪৩৮ ফুট (৪৩৮ মিটার) বিস্তৃত ছিল, কিন্তু এর পাশাপাশি একটি নতুন সেতু নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার কারণে সেতুর কিছু অংশ অপসারণ করা হয়েছে। উপরের তলাটি একটি সর্বসাধারণের চলাচলের স্থান হিসাবে রূপান্তরিত করা হয়েছে এবং এতে আর মোটরচালিত যান চলাচলের অনুমতি নেই, কিন্তু নিচের তলাটি এখনো পথচারী, সাইকেল এবং মোটরসাইকেলের জন্য উন্মুক্ত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বেলফিল্ড সেতু, মূলত ক্লাং শহরের সেতুগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল, কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানি আগ্রাসনের সময় সেতুটিতে বোমা বর্ষণ করা হয়। যুদ্ধের পর, তিনটি সেতু সাময়িকভাবে নদী পার হওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল কারণ বেলফিল্ড সেতু মেরামত করা যায়নি। ১৯৫১ সালে, ক্লাং নদীর উপর একটি নতুন স্থায়ী সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন করতে লন্ডন থেকে ক্রাউন এজেন্টদের পাঠানো হয়, যেখান থেকে একটি দ্বিতল সেতুর ধারণা আবির্ভূত হয়।[১] সেতুটি ১৯৫৮ এবং ১৯৬০ এর মধ্যে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি একটি শক্তিশালী ইস্পাত ট্রাস গির্ডার সেতু ছিল। এটি ডরম্যান লং ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড দ্বারা নির্মিত, যে কোম্পানি গ্যামন মেসার্স (মালয়া) লিমিটেড দ্বারা পিলিংয়ের কাজের সঙ্গে ১৯৩২ সালে সিডনি হারবার সেতু নির্মাণের দায়িত্বে ছিল।[২] এর খরচ ১৯৫৬ সালে ৮২০,০০০ পাউন্ড ছিল। ২৮২ ফুট (৮৬ মিটার) দৈর্ঘ্যের একটি কেন্দ্রীয় স্প্যান সহ সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ছিল ১,৪৩৮ ফুট (৪৩৮ মিটার)। ১৯৫৯ সালে সেলাঙ্গোরের প্রয়াত সুলতান, সুলতান হিসামুদ্দিন আলম শাহ প্রথম সেতুটি চালু করেন। এটি মূলত সুলতানের নামে আলম শাহ সেতু নামকরণ করার কথা ছিল, কিন্তু সুলতান হিসামুদ্দিন সেতুটি চালু করার দুই সপ্তাহ আগে সিদ্ধান্ত নেন যে, এটিকে বুকিত কোটা প্রাসাদের নামে "কোটা সেতু" ("কোটা" মানে "শহর") বলা হবে।[১]

১৯৬০ সালে সেতুটির কাজ সম্পন্ন হয় এবং ১৯৬১ সালে আলমারুম সুলতান সালাহউদ্দিন আব্দুল আজিজ শাহ আনুষ্ঠানিকভাবে সেলাঙ্গোরের নবম সুলতান হিসেবে তার রাজ্যাভিষেকে সেতুটি উদ্বোধন করেন।[৩] ১৯৯০ সালে, উচ্চ ট্রাফিকের কারণে ফেডারেল হাইওয়ে রুটকে (ক্লাং - কুয়ালালামপুর) ছয় লেনের ক্যারেজওয়ে টোল হাইওয়েতে পরিণত করা হয়। দ্বিতল সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য বন্ধ করা হয় এবং ছয় লেনের ক্যারেজওয়ের সঙ্গে নতুন কংক্রিট সেতু মূল দ্বিতল সেতুর পাশে নির্মিত হয়। নতুন সেতু নির্মাণের জন্য কোটা সেতুর উত্তর প্রান্ত অপসারণ করা হয়, কিন্তু সেতুটির প্রায় ৩০০ মিটার অবশিষ্ট ছিল।

ব্যবহার[সম্পাদনা]

নীচের তলা একটি পথচারী চলাচলের সেতু যেখানে উপরের তলা মূলত একটি মোটরযান চলাচলের সেতু হিসাবে ব্যবহৃত হত। উপরের তলাটি ট্রাফিকের জন্য বন্ধ করা হয় যখন এর পাশে একটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হয়, আর নিচের তলাটি পথচারী, সাইকেল এবং মোটরসাইকেলের জন্য একটি সেতু হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ১৯৯০ সালে, সেতুর উপরের তলা ডাটারান জাম্বাতান কোটা (কোটা সেতু স্কোয়ার) নামে সর্বসাধারণের চলাচলের স্থান হিসাবে সংস্কার করা হয়।

সেতুটি মালয়েশিয়ান প্রযোজনা চলচ্চিত্র সাংকার এর জন্য এবং বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের জন্য বিশেষ স্থান হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৯ সালে জাতীয় ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে সেতুটিকে গেজেটেড করার একটি প্রচেষ্টা শুরু হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Chan, Dawn (২০১৯-১১-২২)। "Klang's priceless Kota Bridge | New Straits Times"NST Online (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৪ 
  2. Chan, Dawn (২০১৯-১১-১৪)। "'Kota Bridge can be a heritage site' | New Straits Times"NST Online (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৪ 
  3. "Kota Bridge declared structurally deficient | The Star"www.thestar.com.my। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৪