কোচবিহার সরকারি প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়

স্থানাঙ্ক: ২৬°১৭′৩৬″ উত্তর ৮৯°২৭′২৭″ পূর্ব / ২৬.২৯৩২৬৩৬° উত্তর ৮৯.৪৫৭৬২৪৫° পূর্ব / 26.2932636; 89.4576245
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কোচবিহার সরকারি প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়
অন্যান্য নাম
কোচবিহার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
ধরনসরকারী প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়
স্থাপিত২০১৬; ৮ বছর আগে (2016)
প্রতিষ্ঠাতাপশ্চিমবঙ্গ সরকার
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পশ্চিমবঙ্গ
অধ্যক্ষডাঃ প্রবাল দেব
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
৪০ (২০২১)
অবস্থান,
২৬°১৭′৩৬″ উত্তর ৮৯°২৭′২৭″ পূর্ব / ২৬.২৯৩২৬৩৬° উত্তর ৮৯.৪৫৭৬২৪৫° পূর্ব / 26.2932636; 89.4576245
শিক্ষাঙ্গনশহুরে, ২০ একর (৮.১ হেক্টর)
মানচিত্র

কোচবিহার সরকারি প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় হল পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার শহরের একটি সরকারি প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়। এটি ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা কোচবিহার জেলার প্রথম প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়।[১] প্রতিষ্ঠানটি পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, পরিচালিত ও প্রশাসিত হয়।

প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়টি চার বছরের মেয়াদী স্নাতক কর্মসূচিমূলক একটি প্রতিষ্ঠান, যা প্রতিবছর ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে নথিভুক্ত করে।[১] এটি মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পশ্চিমবঙ্গ) সঙ্গে অধিভুক্ত ৫ টি প্রকৌশল পাঠ্যধারায় স্নাতক (বি.টেক.) উপাধি (বিশ্ববিদ্যালয়) প্রদান করে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

কোচবিহার সরকারি প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় একটি প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান হিসাবে ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১২ খ্রিস্টাব্দে কোচবিহার জেলা সফরকালে কোচবিহারের জন্য একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপনের ঘোষণা করেছিলেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন বিভাগকে মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষাপ্রাঙ্গণে প্রাথমিক অবকাঠামোর নির্মাণের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছিল।[১] প্রাথমিক অবকাঠামোর নির্মাণকাজ ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয়েছিল,[১] এবং ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে সম্পন্ন হয়েছিল। শিক্ষাপ্রাঙ্গণ স্থাপনের জন্য ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের হিসাবে মোট ৪৫ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছিল।[১] নির্মাণ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল রাজ্য পরিকল্পনা ও রাষ্ট্রীয় উচ্চ শিক্ষা অভিযান কর্মসূচি থেকে প্রদান করা হয়েছিল। মহাবিদ্যালয়টি ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন থেকে অনুমোদন লাভ করেছিল। মহাবিদ্যালয়ে ২০১৬–১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে পঠন-পাঠন শুরু হয়েছিল।[২]

শিক্ষাপ্রাঙ্গণ[সম্পাদনা]

কোচবিহারের ২০ একর (৮.১ হেক্টর)[৩] জুড়ে বিস্তৃত শিক্ষাপ্রাঙ্গণটি কোচবিহারে শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার (২.৫ মা) দক্ষিণে হরিণচওড়াতে অবস্থিত। এটি তোর্ষা নদীর উত্তর তীরে ও ১৫ নং রাজ্য সড়কের পূর্ব পার্শ্ব থেকে অনতিদূরে অবস্থিত।

শিক্ষাপ্রাঙ্গণের বেশিরভাগই প্রশাসনিক ভবন, একটি একাডেমিক এবং ছাত্রাবাস নিয়ে গঠিত। শিক্ষাপ্রাঙ্গণে একটি প্রশাসনিক ভবন, একটি একাডেমিক ভবন এবং ছেলেদের জন্য দুটি ও মেয়েদের জন্য একটি ছাত্রাবাস সহ তিনটি ছাত্রাবাস ভবন রয়েছে। এছাড়াও শিক্ষাপ্রাঙ্গনের মধ্যে দুটি যান্ত্রিক কর্মশালা (মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ) ভবন, একটি ব্যায়ামাগার, কেন্দ্রীয় সুবিধা ভবন ও একটি ভোজনালয় রয়েছে। প্রশাসনিক ভবনটি মূল শিক্ষাপ্রাঙ্গণের প্রবেশদ্বারের নিকট অবস্থিত। একাডেমিক ভবনটি প্রশাসনিক ভবন ও যান্ত্রিক কর্মশালা ভবনের মধ্যবর্তী স্থানে রয়েছে। ছাত্রদের ছত্রাবাসটি শিক্ষাপ্রাঙ্গণের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে এবং ছাত্রীদের সিস্টার নিবেদিতা ছাত্রাবাসটি শিক্ষাপ্রাঙ্গণের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে অবস্থিত।

একাডেমিক ও কর্মসূচি[সম্পাদনা]

ভর্তি[সম্পাদনা]

পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত মেধাতালিকার ভিত্তিতে প্রার্থীদের ভর্তি নেওয়া হয়। এআইসিআইই অনুমোদিত পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠানের ডিপ্লোমাধারীরা প্রকৌশল শাখায় মোট ৪৫% নম্বর সহ পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা পর্ষদ দ্বারা পরিচালিত রাজ্য স্তরের সাধারণ প্রবেশিকা পরীক্ষার (জেইএলইটি) মাধ্যমে বিটেক পাঠ্যধারার দ্বিতীয় বর্ষ-স্তরে ২০% পার্শ্বীয় প্রবেশের বিধান রয়েছে।[৪]

পাঠ্যধারা[সম্পাদনা]

কোচবিহার সরকারি প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়ে প্রকৌশল ও ব্যবস্থাপনা শাখায় পঠন-পাঠন ও ব্যাচেলর অব টেকনোলজি উপাধি (বিশ্ববিদ্যালয়) প্রদান করে। মহাবিদ্যালয়টি ৫ টি প্রকৌশল পাঠ্যধারায় স্নাতক (বি.টেক.) উপাধি (বিশ্ববিদ্যালয়) প্রদান করে, পাঠ্যধারাগুলি হল কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, ইলেকট্রনিক্স ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশল, তড়িৎ প্রকৌশল, যন্ত্র প্রকৌশল এবং পুরকৌশল

গ্রন্থাগার[সম্পাদনা]

শিক্ষাপ্রাঙ্গনের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয়েছিল। এটি ৪০৮ বর্গমিটার আয়তন বিশিষ্ট, এবং কম্পিউটার দ্বারা পরিচালিত হয়। গ্রন্থাগারে ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের হিসাবে ৯২৭৫ টি বইয়ের সংগ্রহ রয়েছে।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Classes begin with 300 students"www.telegraphindia.com (ইংরেজি ভাষায়)। কোচবিহার: দ্য টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া। ১৬ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০২৩ 
  2. "20 years on, two more govt-run engineering colleges"timesofindia.indiatimes.com (ইংরেজি ভাষায়)। কলকাতা: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। ২২ নভেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০২৩ 
  3. "CGEC Brochure 2021" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০২৩ 
  4. "LATERAL ENTRY SCHEME"। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০২৩ 
  5. "CGEC Prospectus 2019-20" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০২৩