কেরলে মুসলিমদের মধ্যে বাল্যবিবাহ
কেরলের মুসলমানদের মধ্যে বাল্যবিবাহের বিষয়টি নিয়ে ২০১৩ সালের ১৪ই জুন একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ভারতীয় ইউনিয়ন মুসলিম লীগের সামাজিক কল্যাণ বিভাগ (কেরলের ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ) এর একটি অংশ)। বিজ্ঞপ্তিতে বিবাহ নিবন্ধককে মুসলিম বিবাহ নিবন্ধন করতে নির্দেশ দেয় যদিও দলগুলি শিশু বিবাহ আইন দ্বারা নির্ধারিত বয়স অর্জন না করে। রাজনৈতিক দল ও মুসলিম মহিলা সংগঠনগুলি বলছে যে এটি বাল্যবিবাহকে উৎসাহিত করবে। একটি সংশোধনীর পর, শুধুমাত্র ২০১৩ সালের ২৮ জুনের পূর্বে কম বয়সী বিবাহ নিবন্ধিত হতে পারে।[১][২] কেরালায় নয়টি বিশিষ্ট মুসলিম সংগঠন সম্প্রদায় বিয়ে-বয়সের বিধিনিষেধ থেকে মুক্তির জন্য আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে,[৩][৪] তারা বলছে যে মহিলাদের জন্য ন্যূনতম বিবাহের বয়স নির্ধারণ (বাল্যবিবাহ আইন অনুসারে ১৮ বছর নির্ধারিত) এবং তাতে সুপ্রীম কোর্টের অনুমোদন মুসলিম আইনের লঙ্ঘন। [৫]
পটভূমি
[সম্পাদনা]ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ (আইইউএমএল) শিশু বিবাহ আইনের বিরোধিতা করে আসছিল যে এটি মুসলিম ব্যক্তিগত আইনকে লঙ্ঘন করে।[৬][৭] ইন্টিগ্রেটেড চাইল্ড ডেভলপমেন্ট স্কিমের জরিপ মতে ২০১২ সালে কেরালার মালাপুরামে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৩,৪০০ মেয়ের বিয়ে হয়েছে তার মধ্যে ২,৮০০ জন মুসলমান ছিল। ২০০৮ সালে, ৪,৯৫৫টি বাল্যবিবাহিত দম্পতির মধ্যে ৪,২৪৯টি মুসলমান ছিল।[৮] যদিও বেশিরভাগ মুসলিম ধর্মীয় সংগঠন এবং ধর্মীয় নেতারা সরকারি বিজ্ঞপ্তির পক্ষালম্বন করেছেন, তবে মুসলিম নারীরা এটির বিরোধিতা করেছে।[৯]
উদাহরণ
[সম্পাদনা]২০১৩ সালের ১৩ জুন ২8 বছর বয়সী সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিক জসীম মোহাম্মদ আবদুল করিম আব্দুলহাম্মদ ১৭ বছর বয়সী মালাপুরামের একটি অনাথ আশ্রমের এক মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। দুই সপ্তাহ পর তিনি দেশ ছেড়ে চলে যান, পরে তাকে টেলিফোনে তিন তালাক দিয়ে দেয়।[১০][১০] এই ঘটনার দ্বারা শিশু বিবাহের উপর অসম্মান ঘটেছিল এবং পরে কেরল হাইকোর্ট কান্নুরের ১৪ বছর বয়সী মেয়ের বিয়ে বন্ধ করে দেয়।[১১]
চলচ্চিত্র
[সম্পাদনা]আরিয়াদান শওকাথ এই বিষয় নিয়ে চলচ্চিত্র নিমার্ণ করেন, পাদ্দাম অন্নু: অরু ভিলাপাম, যা জাতীয়ভাবে প্রশংসিত হয়।[১২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Underage marriage among Muslims in Kerala ignites debate - Indian Express"। Archive.indianexpress.com। ২০১৩-১০-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-১০।
- ↑ Ananthakrishnan G. (২০১৩-০৬-২৪)। "Child marriage row in Kerala"। Telegraphindia.com। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-১০।
- ↑ "Keralite Muslim group wants Supreme Court to legalise child marriage"। daily.bhaskar.com। ২০১৩-০৯-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-১২।
- ↑ "Muslim groups want minimum marital age scrapped : Featured, News - India Today"। Indiatoday.intoday.in। ২০১৩-০৯-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-১২।
- ↑ "Marriage Age Row: CPI(M) Says IUML Behind Move"। Outlookindia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-১২।
- ↑ Special Correspondent (২০১৩-০৯-২২)। "Muslim groups oppose ban on child marriage"। The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-১০।
- ↑ "Muslim organizations in Kerala root for under-18 marriage - The Times of India"। Timesofindia.indiatimes.com। ২০১৩-০৯-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-১২।
- ↑ C A, Sindhu (22/01/2014)। "Abandoned Muslim wives Victims of early marriage"। shodhganga.inflibnet.ac.in/। সংগ্রহের তারিখ 15th February 2019। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "Legalising underage marriage is Indian Union Muslim League's new ploy to gain political mileage in Kerala : NATION - India Today"। Indiatoday.intoday.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-১০।
- ↑ ক খ Special Correspondent (২০১৩-১১-২৩)। "Child marriage: plea to extradite Arab national"। The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-১০।
- ↑ "Court stops a 14-year-old girl from married off - The Times of India"। Timesofindia.indiatimes.com। ২০১৩-০৮-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-১২।
- ↑ R Gopakumar, THIRUVANANTHAPURAM, June 19, DHNS:। "Child marriages high in Kerala"। Deccanherald.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-১০।