কুমকুম মুন্সী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কুমকুম মুন্সী (১৯৪১-২০০১) ছিলেন কলকাতার রাবার-সলিউশন ভিত্তিক শিল্পের ক্ষেত্রে অন্যতম বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী। তিনি শিল্পী অন্নদা মুন্সী ও জয়তী মুন্সীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। শুধু রাবার-সলিউশন ভিত্তিক পেইন্টিংই নয়, মুন্সী অন্যান্য শিল্পের ফর্ম যেমন বাস্তবসম্মত চিত্রকর্ম, গ্রাফিক আর্ট এবং বিমূর্ত শিল্পেও দক্ষ ছিলেন।[১][২] বিমূর্ত অভিব্যক্তিবাদী আন্দোলনের ক্ষেত্রে অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য কিংবদন্তি আমেরিকান চিত্রশিল্পী পল জ্যাকসন পোলক-এর শৈল্পিক পদ্ধতির দ্বারা মুন্সী অত্যন্ত অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজের ক্লাসে তিনি সবসময় প্রথম হতেন। তিনি তাঁর শিল্প ও জীবনধারায় প্রাচ্য এবং পশ্চিমের সর্বোত্তম অনুশীলনকে একত্রিত করেছিলেন। যদিও তিনি দেশীয় ঐতিহ্যের মধ্যে নিহিত ছিলেন, তবুও তাঁর শৈল্পিক খ্যাতি প্রায়শই ইউরোপে প্রশংসিত হয়। তাঁর শৈল্পিক পদ্ধতি ইউরোপ-এ, বিশেষ করে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দরবারে প্রশংসিত হয়েছিল। ২০০১ সালের ২৭শে আগস্ট কলকাতার টালাপার্ক-এর নিজের বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। [৩] ১৯৭৪ এবং ১৯৭৫ সালে, বিড়লা অ্যাকাডেমিতে তাঁর চিত্রকর্ম প্রদর্শন করা হয়েছিল। এছাড়া সুইডেন ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশে তিনবার তার চিত্রকর্ম প্রদর্শন করা হয়। ২০০২ সালে, টাটা কোম্পানি প্রয়াত কুমকুম মুন্সীর স্মরণে তাঁর পেইন্টিংসমূহ দিয়ে তাদের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. শান্তনু ঘোষ। "মুন্সিয়ানায় চল্লিশ পুরুষ" প্রকাশক: দে'স পাবলিশিং
  2. শান্তনু ঘোষ। "বিনোদনে পাইকপাড়া বেলগাছিয়া" প্রকাশক: দে'স পাবলিশিং[১]
  3. শ্রী কুমকুম মুন্সীর স্মরণে (১৯৪১-২০০১)। "শ্রী কুমকুম মুন্সীর স্মরণে" প্রকাশক: লার্স একলান্ড[২]