কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়
কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় | |
---|---|
অবস্থান | |
কাচারী বাজার, কিশোরগঞ্জ | |
তথ্য | |
প্রাক্তন নাম | কিশোরগঞ্জ রামানন্দ ইউনিয়ন হাই স্কুল কিশোরগঞ্জ হাই স্কুল |
ধরন | সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় |
নীতিবাক্য | শৃঙ্খলা বোধ ও চরিত্র গঠনই শিক্ষার লক্ষ্য |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৮৮১[১] |
বিদ্যালয় জেলা | কিশোরগঞ্জ |
ইআইআইএন | ১১০৪৪৭ |
প্রধান শিক্ষক | সেলিনা বেগম |
শিক্ষকমণ্ডলী | ৫২ |
কর্মচারী | ৩ |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ১২৮২ |
ভাষা | বাংলা মাধ্যম |
ক্যাম্পাস | ৩.৫ একর |
রং | সাদা |
ডাকনাম | কিসবাউবি |
ওয়েবসাইট | www |
কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কিশোরগঞ্জ জেলার কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় অবস্থিত বিদ্যালয়টি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বর্তমানে স্কুলটিতে দুই শিফটে প্রায় ১২৮২ শিক্ষার্থী ও ৫২ জন শিক্ষক রয়েছেন।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৮৮১ সনে প্রতিষ্ঠিত শত বৎসরের পুরাতন কিশোরগঞ্জ হাই স্কুল পরবতীতে ১৯৪১ সনে কিশোরগঞ্জ রামানন্দ ইউনিয়ন হাই স্কুল নামকরণ করা হয়। ০১-০১-১৯৬৭ সনে প্রাদেশিকীকরণ করার পর বিদ্যালয়ের নাম কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় রাখা হয় । বিদ্যালয় হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন, যা মূলত শিক্ষাদানের কেন্দ্র, যেখানে শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থী পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে জ্ঞানলাভ করে থাকে। বিদ্যালয় সব সময়ই দালানকোঠায় আবদ্ধ হবে এমন নয়, বরং একজন শিক্ষক, কিছু পরিমাণ শিক্ষার্থী এবং শিক্ষাসহায়ক পরিবেশই বিদ্যালয় হবার জন্য যথেষ্ট। বিদ্যালয় সাধারণত তাত্ত্বিক জ্ঞান বিতরণ করে। বিদ্যালয় নির্দিষ্ট পাঠক্রমের অধীনে পরিচালিত হয় এবং বিদ্যালয়ে পঠনের জন্য পাঠ্যপুস্তক থাকে। বিদ্যালয় সকল পাঠসহায়ক পরিবেশকে বোঝায় বলে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সবকিছুর সাধারণ নামই বিদ্যালয়। কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়টি কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মধ্যে অবস্থিত। বিদ্যালয়টির বর্তমান প্রধান শিক্ষক জনাবা সেলিনা বেগম।
শিক্ষা-সহায়ক কার্যক্রম
[সম্পাদনা]লেখাপড়ার পাশাপাশি কিশোরগঞ্জ সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষা-সহায়ক কার্যক্রমকেও বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়।প্রতি বছর ই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,মিলাদ-মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।তাছাড়া আন্তঃস্কুল ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন,বির্তক প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন খেলা হয়ে থাকে।তাছাড়া প্রতি বছর ই ছাত্ররা বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহন করে সেরা স্থান অর্জন করছে। এ কারণে প্রতিবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফল অর্জনের পাশাপাশি দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় এ কলেজের ছাত্ররা বরাবরই ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করে আসছে।
ছাত্রাবাস
[সম্পাদনা]স্কুল থেকে অদূরে শহরের আলোর মেলায় রয়েছে ছাত্রদের জন্য একটি ছাত্রাবাস। এর পাশেই রয়েছে হোস্টেল সুপারের বাসভবন। যা ২০০৬ সালে ছাত্র-শিক্ষকদের বাহির করে বিয়াম ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ জোরপূর্বক দখল করে।[৩]
ক্রীড়া
[সম্পাদনা]শহরের আলোর মেলায় ছাত্রাবাস সংলগ্ন ৮.১০ একরের একটি সুবিশাল খেলার মাঠ রয়েছে। তবে বর্তমানে মাঠটি বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল কর্তৃক অবৈধ ভাবে দখলীকৃত হয়ে আছে।
এছাড়া অত্র প্রতিষ্ঠানটি বিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকেই স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ক্রীড়া ও খেলাধুলায় বিশেষ সুনাম অর্জন করে আসছে।[৪][৩]
সাংস্কৃতিক
[সম্পাদনা]সাংস্কৃতিক উন্নয়নে অত্র প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত সুপরিচিত। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অসংখ্যবার শ্রেষ্ঠত্বের সুনাম বয়ে এনেছে।
ধর্মচর্চা
[সম্পাদনা]সকল ধর্মাবলম্বী ছাত্রদেরই নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা এই বিদ্যালয়ে রয়েছে। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অডিটোরিয়াম ভবনের দুতলায় সকল ধর্মাবলম্বীদের জন্য প্রার্থনা কক্ষ এবং ওজুখানা রয়েছে । এছাড়া, বিদ্যালয়ে একটি পাঠাগার রয়েছে। সেখানে সকল ধর্মের পুস্তকাদি সংরক্ষিত রয়েছে।
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]- সরযূ বালা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ
- গুরুদয়াল সরকারি কলেজ
- বনগ্রাম আনন্দ কিশোর স্কুল এন্ড কলেজ
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "কিশোরগঞ্জে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস, মাঠ ও পুকুর উদ্ধারে ছাত্র গণজমায়েত"। kishoreganjnews.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৯।
- ↑ "কিশোরগঞ্জ জেলা"। ২০১৯-০৫-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৯।
- ↑ ক খ মোহাম্মদ, নূর (রোববার, ৮ মার্চ, ২০২০, ১০:৪০)। "স্কুল ছাত্রাবাসসহ কোটি টাকার জমি দখল করে বিয়াম স্কুল!"। সময়ের আলো। সংগ্রহের তারিখ ২১ শে ফেব্রুয়ারি , ২০২৩ AD। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "কিশোরগঞ্জে বিয়াম স্কুলের আগ্রাসন রুধিবে কে"। SAMAKAL (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-২১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]