কিলো অ্যাম্পিয়ার লিনিয়ার ইনজেক্টর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কালি (কিলো অ্যাম্পিয়ার লিনিয়ার ইনজেক্টর) একটি লিনিয়ার ইলেকট্রন এক্সিলারেটর, যা ভারতের ডিআরডিও বা "ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন" এবং "বারক" বা "ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র " মিলিত ভাবে তৈরি করেছে। এটি সাধারণত একটি লেজারের অস্ত্র নয়, এটি এমনভাবে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যে, যদি ভারতীয় অভিমুখে একটি শত্রু ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপন করা হয় তবে "কালি" দ্রুত প্রত্যক্ষ শক্তিশালী ইলেক্ট্রন বিম বা রশ্মীর (আরআরবি) দ্বারা ক্ষেপণাস্ত্রকে নির্মূল করে এবং লক্ষ্য বস্তুকে ধ্বংস করে। লেজারের রশ্মীর বিপরীতে, এটি লক্ষ্য বস্তুতে কোন গর্ত বা ছিদ্র সৃষ্টি করে না, কিন্তু ক্ষেপণাস্ত্রের ইলেকট্রনিক ব্যবস্থাগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন যে এটি সম্ভাব্য একটি রশ্মী অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই যন্ত্র দ্বারা উৎপাদিত গিগাওয়াট বিদ্যুতের সাথে মাইক্রোওয়েভগুলি যখন বোমা, শত্রু ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমানের লক্ষ্যবস্তুতে তাদের ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা এবং কম্পিউটার চিপগুলিকে নষ্ট করে তখন সেগুলি নষ্ট অবস্থায় আকাশ থেকে সরাসরি নিচের দিকে নেমে আসবে।

সংক্ষিপ্ত বিবরণ[সম্পাদনা]

কালি একটি কণা বেগবর্ধক। এটি ইলেকট্রনের শক্তিশালী রশ্মী (রিলেটিভিস্টিক ইলেক্ট্রন বিমস- আরআরবি) নির্গত করে। যন্ত্রের অন্যান্য উপাদানগুলি ইলেকট্রন শক্তিকে ইএম রেডিয়েশন রূপান্তর করে, যা এক্স-রে (ফ্ল্যাশ এক্স-রে) হিসাবে বা মাইক্রোওয়েভ (হাই পাওয়ার মাইক্রোওয়েভ) কম্পাঙ্কে সামঞ্জস্যযুক্ত করা যেতে পারে। [উদ্ধৃতি প্রয়োজন]

আশা আছে যে, একদিন "কালি"কে উচ্চ-ক্ষমতার মাইক্রোওয়েভ বন্দুক হিসাবে ব্যবহার করা যাবে, যা ক্ষেপণাস্ত ও বিমানকে (ক্ষেপণাস্ত্রের ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে) ধ্বংস করতে পারে। তবে, এই ধরনের অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবহার করার অনেক বাধা রয়েছে। [উদ্ধৃতি প্রয়োজন]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

কালি প্রকল্পের প্রথম প্রতিষ্ঠাতা ড. পি. এইচ. রন এবং ১৯৮৫ সালে ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের তৎকালীন পরিচালক ড. আর. চিদাম্বরম দ্বারা আলোচিত হয়। ১৯৮৯ সালের শুরুতে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়, ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের এক্সিলারেটর ও পালস পাওয়ার ডিভিশনে। (ড. চিদাম্বরম প্রধানমন্ত্রীর বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা এবং পারমাণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন)। ডিআরডিও এই প্রকল্পের সাথে জড়িত। এটি প্রাথমিকভাবে শিল্পে ব্যবহারের জন্য উন্নত হয়েছিল, যদিও পরে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম হিসাবে কালির ব্যবহার পরে সকলের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়।[১]

প্রথম কালির অ্যাক্সিলারেটরের ~ ০.৪ গিগাওয়াট শক্তি ছিল, যা পরবর্তী সংস্করণগুলিতে উন্নত হয়েছিল। এগুলি ছিল কালি ৮০, কালি ২০০, কালি ১০০০, কালি ৫,০০০ এবং কালি ১০,০০০।

২০০৪ সালের শেষের দিকে কলি-৫,০০০ ব্যবহারের জন্য কমিশন করা হয়েছিল। [২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "India to test beam weapon"Competition Science Journal। Mahendra Jain। October 1999 (20): 980–981। ১৯৯৯। 
  2. BARC Director's speech on October 29 2004 celebrating Dr. Homi Bhabha's 95th Birth Anniversary

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]