কাঞ্চনমালা পাণ্ডে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কাঞ্চনমালা পাণ্ডে
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম নামকাঞ্চনমালা পাণ্ডে
জন্ম (1990-12-31) ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯০ (বয়স ৩৩)
অমরাবতী, মহারাষ্ট্র
ক্রীড়া
দেশভারত
ক্রীড়াসাঁতার
মাঠে অবস্থানবিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ২০১৭ আইপিসি প্যারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ মেক্সিকো সিটি
অক্ষমতাদৃষ্টিশক্তিহীন
অক্ষমতার শ্রেণিবিন্যাসএস১১, এসবি১১, এসএম১১
বিভাগব্রেস্টস্ট্রোক, ব্যাকস্ট্রোক, ফ্রিস্টাইল এবং স্বতন্ত্র মেডলি
পদকের তথ্য
 ভারত-এর প্রতিনিধিত্বকারী
মহিলাদের প্যারা-সাঁতার
আইডিএম বার্লিন
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ২০১৭ মেক্সিকো সিটি মহিলাদের ২০০ মিটার স্বতন্ত্র মেডলি

কাঞ্চনমালা ডি পাণ্ডে হলেন একজন অন্ধ আন্তর্জাতিক মহিলা সাঁতারু[১][২] তিনি শৈশব থেকেই আন্তর্জাতিক, জাতীয় এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকটি পদক জিতেছেন। আন্তর্জাতিক, জাতীয় ও রাজ্য পর্যায়ে ১১৫টি স্বর্ণ, ৪টি রৌপ্য এবং ১টি ব্রোঞ্জ সহ তাঁর বর্তমান পদকের সংখ্যা ১২০টি। তিনি সব স্তরের দৃষ্টিসম্পন্ন সাঁতারুদের সাথে সফলভাবে প্রতিযোগিতা করেছেন।[৩]

পাণ্ডে এগারোটি আন্তর্জাতিক পদক জিতেছেন, তার মধ্যে আছে মেক্সিকোতে কমনওয়েলথ গেমসে অংশগ্রহণ ছাড়াও ২০১৭ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ,[৪] ২০০৬ অস্ট্রেলিয়ায়,[৫] মালয়েশিয়ায় ২০০৬ সালের এফইএসপিআইসি গেমস, চীনে ২০১০ প্যারা-এশীয় গেমস এবং অন্যান্য অনেক টুর্নামেন্ট। তিনি সর্বদা একটি[৬] জাতীয় এবং রাজ্য স্তরে স্বর্ণপদক বিজয়ী। তিনি নিজের সন্তান জন্মের পরে, জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে তিনটি স্বর্ণ জিতে একটি অসাধারণ প্রত্যাবর্তন করেছেন এবং এশিয়ান প্যারা গেমস সহ আসন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে চেয়েছেন। তিনি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রথম শ্রেণির অফিসার।

সম্মান ও পুরস্কার[সম্পাদনা]

সম্মাননা এবং পুরস্কার: কাঞ্চনমালাকে অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি হল:

১. এনসিপিইডিপি-মাইন্ডট্রি স্পেশাল জুরি হেলেন কেলার পুরস্কার ২০২১।

২. ২০১৮ সালের ৩রা ডিসেম্বর ভারতের উপরাষ্ট্রপতি শ্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডুর হাত থেকে সেরা ক্রীড়া ব্যক্তি বিভাগে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় পুরস্কার।

৩. শিপ্রা দাসের লেখা "দ্য লাইট উইদিন এ ডিফারেন্ট ভিশন অফ লাইফ" বইতে বিশিষ্ট স্থান পেয়েছেন, আইএসবিএন ৯৭৮৯৩৮১৫২৩৬২৯

৪. আই ওয়ে দ্বারা 'নজর ইয়া নজরিয়া' জাতীয় টেলি-সিরিয়াল এবং স্কোর ফাউন্ডেশনের 'ইয়ে হ্যায় রৌশনি কা কারভান' একটি জাতীয় রেডিও সিরিয়ালে স্থান পেয়েছেন।

৫. ২০১২ সালের ১০ই জানুয়ারি আইবিএসএ (ইন্ডিয়ান ব্লাইন্ড স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন) নতুন দিল্লি কর্তৃক "অসামান্য ক্রীড়াবিদ বিশেষ পুরস্কার" প্রদান করা হয়েছে।

৬. ২০০৯ সালের ২৭শে অগাস্ট "অ্যাস্পায়ার ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০০৯" -এ গুরগাঁওতে (নতুন দিল্লী) তৎকালীন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী কপিল সিবল কর্তৃক পুরস্কৃত করা হয়েছে।

৭. একলব্য ক্রীড়া পুরস্কার ২০০৮, সরকার কর্তৃক পুরস্কৃত। মহারাষ্ট্র রাজ্যের (মহারাষ্ট্রের গভর্নর শ্রী জামিরের হাতে) ২রা আগস্ট ২০০৯।

৮. ২০০৯ সালের ১৯শে জানুয়ারি, " নীলম কাঙ্গা পুরস্কার ২০০৯" , উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ছগান ভুজবল মুম্বাইতে প্রদান করেন।

৯. ২০০৬ সালের ২৯শে মার্চ, ক্রীড়া রত্ন পুরস্কার ২০০৬, অমরাবতী মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার দ্বারা পুরস্কৃত।

১০. আইশা জাগতিক কর্তৃত্বান মহিলা পুরস্কার ২০০৫, অল ইন্ডিয়া স্ত্রী হিত অ্যাসোসিয়েশন, মুম্বাই কর্তৃক পুরস্কৃত।

১১. ২০০৪ সালের মার্চে, 'পরখ সমাজ কল্যাণ সংস্থা, নাগপুর কর্তৃক 'পরখ খেল রত্ন পুরস্কার' প্রদান করা হয়।

১২. ২০০৩ সালের ২৬শে জানুয়ারি, মহারাষ্ট্র রাজ্যের মন্ত্রী এবং পলক মন্ত্রী বিলাসরাও বালকৃষ্ণ পাতিল কর্তৃক পুরস্কৃত।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  • "Kanchanmala Pande"International Paralympic Committee। Paralympic Movement। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৩