কলকাতা উচ্চ আদালত

স্থানাঙ্ক: ২২°৩৩′৩৯″ উত্তর ৮৮°২১′০৯″ পূর্ব / ২২.৫৬০৭৭৭° উত্তর ৮৮.৩৫২৪৫৮° পূর্ব / 22.560777; 88.352458
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা আফতাবুজ্জামান (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৮:২১, ১৬ জুন ২০১৯ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (ক্যাট-এ-লট: বিষয়শ্রেণী:ভারতের হাইকোর্ট থেকে বিষয়শ্রেণী:ভারতের উচ্চ আদালত-এ স্থানান্তরিত)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

কলকাতা উচ্চাদালত
কলকাতা হাইকোর্ট
কলকাতা উচ্চাদালত Logo
প্রতিষ্ঠাকাল১ জুলাই ১৮৬২; ১৬১ বছর আগে (1862-07-01)
অধিক্ষেত্র ভারত
অবস্থান৩, এসপ্ল্যানেড রো (ওয়েস্ট), বিনয়-বাদল-দীনেশ বাগ, কলকাতা ৭০০০০১, ভারত
স্থানাঙ্ক২২°৩৩′৩৯″ উত্তর ৮৮°২১′০৯″ পূর্ব / ২২.৫৬০৭৭৭° উত্তর ৮৮.৩৫২৪৫৮° পূর্ব / 22.560777; 88.352458
প্রণয়ন পদ্ধতিরাষ্ট্রপতি দ্বারা নিয়োগ
অনুমোদনকর্তাভারতের সংবিধান
রায় পুনর্বিচারের আবেদন স্থানভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়
বিচারকের মেয়াদ৬২ বছর বয়স পর্যন্ত
পদের সংখ্যা৩২
তথ্যক্ষেত্রcalcuttahighcourt.nic.in
প্রধান বিচারপতি
সম্প্রতিটি বি রাধাকৃষ্ণন [১]
হইতে1লা জানুয়ারি 2019[২]
কলকাতা হাইকোর্টের পুরনো চিত্র

কলকাতা উচ্চাদালত বা কলকাতা হাইকোর্ট (ইংরেজি: Calcutta High Court) ভারতের প্রাচীনতম হাইকোর্ট। ১৮৬১ সালের হাইকোর্ট আইন বলে ১৮৬২ সালের ১ জুলাই কলকাতা হাইকোর্ট স্থাপিত হয়। সেই সময় এই হাইকোর্টের নাম ছিল হাই কোর্ট অফ জুডিকেচার অ্যাট ফোর্ট উইলিয়াম। বর্তমানে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যকেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ কলকাতা হাইকোর্টের অধিকারক্ষেত্রের অন্তর্গত। আন্দামান ও নিকোবরের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ারে কলকাতা হাইকোর্টের একটি সার্কিট বেঞ্চ আছে। কলকাতা শহরের সাম্মানিক নাগরিক শেরিফের ঐতিহ্যশালী দপ্তরটি এই আদালতের ভেতরে অবস্থিত।

স্থাপত্যশৈলী

হাইকোর্ট ভবনটি ইউরোপীয় গঠনশৈলীর গথিক স্থাপত্যবিশিষ্ট বেলজিয়ামের ইপ্রেস ক্লথ হলের আদলে নির্মিত। উল্লেখ্য, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ক্লথ হল ক্ষতিগ্রস্থ হলে সেটি পুনর্নিমাণের জন্য ওই শহরের মেয়র কলকাতা থেকে এক সেট প্ল্যান চেয়ে পাঠিয়েছিলেন।[৩] ১৮৬৪ সালের মার্চ মাসে ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। নির্মাণকার্য শেষ হতে সময় লেগেছিল আট বছর। এই ভবনে একটি ১৮০ ফুট উঁচু টাওয়ার আছে। হাইকোর্ট ভবনের নকশাটি বেশ জটিল। এই প্রসঙ্গে রথীন মিত্র লিখেছেন:[৩]

একটা চতুষ্কোণীর চারধারে অবস্থিত একটি আয়তাকার স্থাপত্য। ভেতরে অনেকগুলি বিচার কক্ষ, অন্যান্য ঘর। ছাদের সঙ্গে লোহার একটি সুন্দর গম্বুজ আছে, যা ভেতরের গরম হাওয়া টেনে বের করে নিয়ে বাহিরে পাঠিয়ে দিতে পারে। বাড়ির ভেতরের বাতাস হয়ে যায় নির্মল ঠান্ডা। চারিদিকে সুন্দর বাগান, ফোয়ারা।

পরবর্তী পর্যায়ে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে উত্তর দিকে নতুন করে এর সংলগ্ন আরও একটি ভবন নির্মাণ করা হয় এবং পরবর্তী ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ দিকে হাইকোর্ট ভবনের বর্তমান স্থাপত্যের সঙ্গে সমতা রেখে আর একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। চতুর্ভুজাকার এই হাইকোর্ট ভবন দৈর্ঘ্যে ৪২০ ফুট এবং প্রস্থে ৩০০ ফুট।

বিচারপতিগণ

১৮৭২ সালে স্যার বার্নেস পিকক কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন। হাইকোর্টের প্রথম ভারতীয় বিচারক ছিলেন শম্ভুনাথ পণ্ডিত। হাইকোর্টের প্রথম ভারতীয় প্রধান বিচারপতি ছিলেন রমেশ চন্দ্র মিত্র এবং প্রথম পূর্ণ মেয়াদের ভারতীয় প্রধান বিচারপতি ছিলেন ফণিভূষণ চক্রবর্তী। হাইকোর্টের দীর্ঘতম মেয়াদের প্রধান বিচারপতি ছিলেন শংকরপ্রসাদ মিত্র। কলকাতা হাইকোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সামাদ্দার ।[৪]

পাদটীকা

  1. "Sitting Judges"। ২৩ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৭ 
  2. "Justice Debasish Kar Gupta to become Acting Chief Justice of Calcutta HC"Live Law 
  3. কলকাতা: একাল ও সেকাল, রথীন মিত্র, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলকাতা, ১৯৯১, পৃ. ৪১
  4. "দেশের ৪ প্রধান হাইকোর্টের শীর্ষে মহিলা"The Times of India। ২৫ ডিসেম্বর ২০০৯। ১১ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০০৯ 

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:ভারতের হাইকোর্ট