ওয়াহিদ ইনস্টিটিউট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ওয়াহিদ ইনস্টিটিউট
গঠিত৭ সেপ্টেম্বর ২০০৪ (2004-09-07)
সদরদপ্তরজাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া
দাপ্তরিক ভাষা
ইংরেজী, ইন্দোনেশীয়
পরিচালক
ইয়েনি জান্নুবা ওয়াহিদ
ওয়েবসাইটwww.wahidinstitute.org
ইয়েনি জান্নুবা ওয়াহিদ ২০১১ সালে ইস্ট এশিয়া ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিত্ব করছেন

ওয়াহিদ ইনস্টিটিউট ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় অবস্থিত একটি ইসলাম গবেষনা কেন্দ্র। এটি ২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান ওয়াহিদ কতৃর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং বর্তমানে এটি তারই কন্যা ইয়েনি জান্নুবা ওয়াহিদের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে।

এটি "ইন্দোনেশিয়ার পাশাপাশি ইসলামিক সমাজ উন্নয়ন, সমাজের নিম্ন শ্রেণীর কল্যাণ, গণতন্ত্র ও মৌলিক ন্যায়বিচার গড়ে তোলা এবং সারা বিশ্বে শান্তি ও অহিংসা বিস্তৃত করার জন্য নিবেদিত প্রতিষ্ঠান।"[১]

গঠন[সম্পাদনা]

ইনস্টিটিউটটি ২০০৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর জাকার্তার ফোর সিজন হোটেলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। [১] ইয়েনি জান্নুবা ওয়াহিদকে ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি পরে বলেছিলেন যে ইনস্টিটিউটটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কারণ আমাদের "বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি যা সহিংসতায় আচ্ছন্ন এবং সন্ত্রাসবাদের হুমকি, যে কারণেই হোক না কেন, আমাদের আন্তঃধর্মীয়, জাতি এবং জাতিগত সংলাপে সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।" [২]

বালি গণহত্যা সম্মেলন[সম্পাদনা]

২০০৭ সালের ১২ জুন ইন্দোনেশিয়ার জিম্বারানে ওয়াহিদ ইনস্টিটিউটের নেতৃত্বে বালি গণহত্যা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সম্মেলনের লক্ষ্য ছিল ধর্মীয় সহনশীলতা প্রচার করা এবং গণহত্যার বাস্তবতা নিশ্চিত করা। এই সম্মেলনে রব্বি, মুসলিম নেতা, শিক্ষক এবং ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন। এই সম্মেলনটি ইন্দোনেশিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান ওয়াহিদের আহ্বানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওয়াহিদ ইনস্টিটিউট, লস অ্যাঞ্জেলেসের সাইমন উইসেনথাল সেন্টার এবং লিবফোরল ফাউন্ডেশন যৌথভাবে সম্মেলনটি স্পনসর করেছিল। ওই সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদ বলেছিলন যে, যদিও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ তার একজন ভালো বন্ধু, তবে গণহত্যা সম্পর্কে মাহমুদের মতামত ভুল এবং এটি সত্যিই ঘটেছিল।[৩]

ইন্দোনেশিয়ায় ধর্মীয় স্বাধীনতা[সম্পাদনা]

ইনস্টিটিউটটি ইন্দোনেশিয়ায় ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রচারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ বাৎসরিক ভিত্তিতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার মামলা নথিভুক্ত করে। বিশেষ করে বিগত বছরগুলিতে এটি আহ্‌মদীয়া সম্প্রদায়ের উপর ভীতি প্রদর্শন ও সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে।[৪] ২০১২ সালে ইনস্টিটিউট রাষ্ট্রপতি সুসিলো বামবাং ইয়ুধনোকে সহিংসতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য দোষারোপ করে। এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির বক্তব্য হল: "আহ্‌মদীয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রায় প্রতিদিনের ঘটনা, তবুও রাষ্ট্রপতি এটি মোকাবেলার জন্য কিছুই করেন না"।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "About The WAHID Institute"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-১২-২৮ 
  2. "The Wahid Institute"The Pluralism Project at Harvard। ২০০৬। ২০১৪-০১-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-১২-২৮ 
  3. Robin McDowell, "Jewish Holocaust survivor appeals for tolerance at conference in Muslim Indonesia" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ আগস্ট ২০১২ তারিখে,The San Diego Union-Tribune (Associated Press), June 12, 2007.
  4. "Intimidation of Ahmadis escalates in West Java"Jakarta Post। ২০১৪-০৪-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-১২-২৮ 
  5. Balowski, James (এপ্রিল ২০১১)। "Indonesian government blamed for religious violence"Direct Action। ৮ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০২২ 

বহি:সংযোগ[সম্পাদনা]