ওয়াটারলুর যুদ্ধ
পটভূমি[সম্পাদনা]
নেপোলিয়ানের অবর্তমানে ফ্রান্সের রাজসিংহাসনে বসলেন বুরবোঁ পরিবারের অষ্টাদশ লুই। নতুন করে তিনি রাজতন্ত্র প্রতিষ্টা করে আবার ফ্রান্সকে পুনরুৎজীবীত করতে লাগলেন। কিন্তু ফ্রান্সের জনগন অষ্টাদশ লুই এবং তার এই নতুন শাসনব্যবস্থাকে মোটেই খুশি মনে স্বীকার করে নেয়নি। দেশে এক অরাজকতা শুরু হল। এলবা দ্বীপে অবস্থান কালে নেপোলিয়ান দেশের এই খারাপ অবস্থার কথা শুনে দেড় হাজার সৈন্য নিয়ে প্যারিসে উপস্থিত হলেন। এদিকে রাজা লুই এই খবর পেয়ে তার সৈন্যবাহিনীকে পাঠান নেপোলিয়ানকে বন্দি করার জন্য। কিন্তু ফ্রান্সের সেনাবাহিনী নেপোলিয়ানের ব্যক্তিত্ব, সাহসিকতা এবং আকর্ষনীয় শক্তিতে মুগ্ধ হয়ে লুইয়ের পক্ষ ত্যাগ করে নেপোলিয়ানের পক্ষে যোগ দিল। আবার এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৮১৫ সালে ফ্রান্সের রাজসিংহাসনে আবার প্রত্যাবর্তন ঘটে নেপোলিয়ানের।
কিন্তু ১৮১৫ সালের মার্চ মাসে নেপোলিয়ানের এই প্রত্যাবর্তনের ফলে মোটেই খুশি হল না ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলি। তারা নেপোলিয়ানকে বিতারিত করবার জন্য নানা চক্রান্ত করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা আবারো বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে আক্রমণ করল ফ্রান্স। এই আক্রমণের মূল হোতা ছিলেন ডিউক অব ওয়েলিংটন . তিনি এবং পার্শিয়ার সৈন্যবাহিনী মিলে ওয়াটার লু'র প্রান্তরে পরাজিত করেন নেপোলিয়ানকে। আর এই যুদ্ধই ওয়াটার লু'র যুদ্ধ। এই যুদ্ধের চার দিন পর অর্থাৎ ২২শে জুন নেপোলিয়ান পদত্যাগ করে প্যারিস ত্যাগ করেন এবং এর ৭দিন পর সম্মিলিত বাহিনী প্যারিস প্রবেশ করে।
সৈন্য বাহিনী[সম্পাদনা]
ফরাসি সৈন্য বাহিনীর অধীনে ছিল ৬৯,০০০ সৈন্য। যার মধ্যে ৪৮ হাজার পদাতিক সৈন্য, ১৪ হাজার ছিল অশ্বারোহি সৈন্য. ৭,০০০ গোলা এবং কামান সহিত এবং ২৫০ জন বন্দুক সহ ছিল ।[১][২] ডিউক অব ওয়েলিংটনএর অধীন ছিল প্রায় ৬৭০০০ সেনাবাহিনী। যার মধ্যে ৫০,০০০ ছিল পদাতিক সৈন্য, ১১,০০০ অশ্বারোহি সৈন্য ,৬,০০০ কামান সহিত এবং ১৫০ জন বন্দুক সহিত।[৩]
ওয়াটার লুর যুদ্ধক্ষেত্র[সম্পাদনা]
যুদ্ধ প্রান্তরটি বেলজিয়ামের ওয়াটার লু শহর থেকে ২ কিলোমিটার দুরে এবং বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস থেকে ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। বর্তমানে এই প্রান্তরকে আরো আকর্ষনীয় করে তুলা হয়েছে। এই মাঠের ঠিক মধ্যেখানে রয়েছে একটি ছোট খাট ধরনের টিলা। যার চূড়া আলো করে আছে ২৮টন ওজনের একটি বিশাল ধাতব সিংহ মূর্তি।
যুদ্ধের ফলাফল[সম্পাদনা]
প্রস্তুতি[সম্পাদনা]

যুদ্ধ ক্ষেত্রে প্রবেশ[সম্পাদনা]
ফ্রান্সের পদাতিক বাহিনী কর্তৃক প্রথম আক্রমণ[সম্পাদনা]
ব্রিটিশ অশ্বারোহীবাহিনীর আক্রমণ[সম্পাদনা]
ফ্রান্স দখল হওয়া[সম্পাদনা]
যুদ্ধ পরবর্তী ঘটনা[সম্পাদনা]
ওটারলু -এর যুদ্ধে নেপোলিয়ন পরাজিত হলে বিজয়ী শক্তিবর্গ তাঁকে আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে সেন্টহেলেনা দ্বীপে নির্বাসন দেয় । সেখানে অত্যন্ত অনাদরে ১৮২১ খ্রিস্টাব্দে ৫ মে এই বীর যোদ্ধার মৃত্যু হয়।
সূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Barbero 2005, p. 75.
- ↑ Hofschröer 1999, p. 68 gives 73,000.
- ↑ Barbero 2005, pp. 75–76.