ওয়াইজে-৮৩
ওয়াইজে-৮৩ হলো গণচীনে তৈরি একটি জাহাজ বিদ্ধংসী ক্ষেপণাস্ত্র।এটি ভূমি ও আকাশ থেকে ক্ষেপণ করা সম্ভব।[১]
ওয়াইজে-৮৩ | |
---|---|
ওয়াইজে-৮৩ ক্ষেপণাস্ত্র | |
প্রকার | জাহাজ বিদ্ধংসী ক্ষেপণাস্ত্র |
উদ্ভাবনকারী | গণচীন |
ব্যবহার ইতিহাস | |
ব্যবহারকাল | ১৯৯৮ |
ব্যবহারকারী | দেখুন |
উৎপাদন ইতিহাস | |
উৎপাদনকারী | চীন মহাকাশ,বিজ্ঞান ও শিল্প কর্পোরেশন |
তথ্যাবলি | |
ওয়ারহেড | ১৯০ কেজি উচ্চ বিস্ফোরক খণ্ড (ওয়াইজে-৮৩) ১৬৫ কেজি উচ্চ বিস্ফোরক খণ্ড (ওয়াইজে-৮৩কে) |
ইঞ্জিন | সিটিজে-২ টার্বোজেট |
অপারেশনাল রেঞ্জ |
১৮০ কিমি (ওয়ইজে-৮৩, ওয়াইজে-৮৩কে) ২৩০ কিমি (ওয়াইজে-৮৩কেএইচ) ১২০ কিমি (সি-৮০২) |
গতিবেগ | ম্যাক ০.৯ |
নির্দেশনা পদ্ধতি |
ইনারশিয়াল নেভিগেশন/স্বক্রিয় রাডার টার্মিনাল গাইডেন্স |
লঞ্চ প্লাটফর্ম |
ভূমি এবং আকাশ |
বর্ণনা
[সম্পাদনা]ওয়াইজে-৮৩ মাইক্রোপ্রসেসর এবং একটি স্ট্র্যাপডাউন ইনারশিয়াল রেফারেন্স ইউনিট ব্যবহার করে যা ওয়াইজে-৮ এবং রফতান সি-৮০২ এর তুলনায় আরও কমপ্যাক্ট রয়েছে, যার ফলে ওয়াইজে-৮৩ এর ব্যাপ্তি হলো ১৮০ কিলোমিটার এবং গতি ম্যাক ০.৯। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি চাইনিজ সিটিজে-২ টার্বোজেট চালিত করেছে এবং এতে ১৯০ কেজি উচ্চ বিস্ফোরক খন্ড রয়েছে। টার্মিনাল গাইডেন্স একটি সক্রিয় রাডার দ্বারা হয়।[১]
ওয়াইজে-৮৩কে এর ব্যাপ্তি হলো ১৮০ কিমি এর গতি ম্যাক ০.৯।এটি ১৬৫ কেজি উচ্চ বিস্ফোরক খণ্ড বহন করে।[১] এটিই হল পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভাল এয়ার ফোর্সের স্ট্যান্ডার্ড জাহাজ বিদ্ধংসী ক্ষেপণাস্ত্র।[২] উন্নতওয়াইজে-৮৩কেএইচ ইমেজিং-ইনফ্রারেড সন্ধানকারী ব্যবহার করে এবং এর পরিসর ২৩০ কিমি।[৩]
সি-৮০২
[সম্পাদনা]সি-৮০২ হলো ওয়াইজে-৮৩ এর রফতানি সংস্করণ।[৪] এটিতে ব্যবহারকরা হয়েছে ফরাসি টিআরআই ৬০-২ টার্বোজেট।[১] এর ব্যাপ্তি হলো ১২০ কিলোমিটার (৬৫ নটিক্যাল মাইল).[৪]
সি-৮০২এ হলো সি-৮০২ এর উন্নত সংস্করণ।এর ব্যাপ্তি হলো ১৯০ কিলোমিটার (১০০ নটিক্যাল মাইল) সি-৮০২একে হলো ওয়াইজে-৮৩কে এর রফতানি সংস্করণ।এর ব্যাপ্তি হলো১৯০ কিলোমিটার (১০০ নটিক্যাল মাইল)[৪]
ব্যবহারকারী
[সম্পাদনা]- আলজেরিয়া
- আলজেরিয়ান জাতীয় নৌবাহিনী : সি-৮০২এ[৫]
- বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ নৌবাহিনী : সি-৮০২এ[৬]
- ইরান
- মিয়ানমার
- পাকিস্তান
- গণচীন
- ইয়েমেন
- ইয়েমেন নৌবাহিনী : সি-৮০২[১৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ Gromley et al: page 101
- ↑ ক খ গ Rupprecht, Andreas (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "Images show PLAAF J-16 armed with YJ-83K anti-ship missile"। Janes। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ United States Office of the Secretary of Defense (জুন ২০১৪)। Annual Report To Congress: Military and Security Developments Involving the People’s Republic of China 2014 (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। পৃষ্ঠা ৪০। ৯ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৫।
- ↑ ক খ গ United States Office of Naval Intelligence: page 16
- ↑ Rahmat, Ridzwan (১৬ মার্চ ২০১৬)। "Algeria commissions second Chinese-built C28A corvette"। IHS Jane's 360। ২০ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০১৬।
- ↑ "Bangladesh Navy successfully test fires long range missile"। দ্য ডেইলি স্টার। ১৭ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৬।
- ↑ "C-802 / YJ-2 / Ying Ji-802 / CSS-C-8 / SACCADE / C-8xx / YJ-22 / YJ-82"। GlobalSecurity.org। ১৮ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ Mazumdar, Mrityunjoy (২৯ ডিসেম্বর ২০১৫)। "Myanmar commissions second frigate with reduced RCS, hospital ship"। IHS Jane's 360। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০১৬।
- ↑ "SIPRI Trade Register"। Stockholm International Peace Research Institute। ১৪ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ Dominguez, Gabriel (৬ মার্চ ২০১৮)। "PN, PAF successfully test-fire C-802 anti-ship cruise missiles"। IHS Jane's 360। ১২ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Dominguez
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Dominguez, Gabriel (২৮ নভেম্বর ২০১৯)। "Pakistan launches fourth Azmat-class fast attack craft"। janes.com। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ United States Office of Naval Intelligence: page 17
- ↑ Binnie, Jeremy (২৯ অক্টোবর ২০১৫)। "Yemeni rebels claim third anti-ship missile attack"। IHS Jane's 360। ৮ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০১৬।