ওয়াংখেম সন্ধ্যারানি দেবী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সন্ধ্যারানি দেবী ওয়াংখেম
রাষ্ট্রপতি প্রতিভা দেবীসিংহ পাতিল উশুর জন্য ওয়াংখেম সন্ধ্যারানি দেবীকে ২০১১ সালের অর্জুন পুরস্কার প্রদান করছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য
জাতীয়তাভারতীয়
জন্ম১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩ (1983-02) (বয়স ৪১)
মণিপুর, ভারত
ওজন৬০ কেজি
ক্রীড়া
দেশভারত
ক্রীড়াউশু
বিভাগসান্দা
পদকের তথ্য
মহিলাদের সান্দা
 ভারত-এর প্রতিনিধিত্বকারী
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ
ব্রোঞ্জ পদক - তৃতীয় স্থান ২০১৩ কুয়ালালামপুর ৬০ কেজি
এশিয়ান গেমস
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ২০১০ কুয়াংচৌ ৬০ কেজি
এশিয়ান মার্শাল আর্ট গেমস
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ২০০৯ ব্যাংকক ৫৬ কেজি

সন্ধ্যারানি দেবী ওয়াংখেম (জন্ম ১লা ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩)[১] হলেন মণিপুরের একজন ভারতীয় মার্শাল আর্ট অ্যাথলিট।[২] যিনি মহিলাদের সানশৌ (উশু) ৫৬ কেজি বিভাগে অংশগ্রহণ করেন। আগে তিনি একজন বক্সার ছিলেন, কিন্তু পরে তিনি উশুর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই খেলা শুরু করেন। তিনি একজন পেশাদার খেলোয়াড়।[৩]

খেলোয়াড় জীবন[সম্পাদনা]

সন্ধ্যারানি ২০০৩ সালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বক্সিং ক্যাম্পে ছিলেন। কিন্তু প্রশিক্ষকের সাথে কিছু সমস্যার কারণে সাতটি মেয়ে ক্যাম্প ছেড়ে চলে যায়। মেরি কমও সেই দলে ছিলেন। তাঁর শৈশবের এক বন্ধু সেই সময় উশু ক্রীড়ায় ছিলেন এবং তিনি তাঁকে এই খেলায় অংশগ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।[৪]

উশু[সম্পাদনা]

সন্ধ্যারানি চীনের কুয়াংচৌতে ২০১০ সালের এশিয়ান গেমসে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন। পায়ের গুলে আঘাত নিয়ে লড়াই করে, তিনি ইরানের খাদিজেহ আজাদপুরের কাছে পরাজিত হন। খাদিজেহ ৬০ কেজি বিভাগে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। লাওসের পালোয় বারকামের বিপক্ষে সেমিফাইনালে জয়ের সময় তিনি আঘাত পেয়েছিলেন, যার কারণে তাঁর পা চালানোর ক্ষমতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছিল।[৫] সেজন্য ফাইনালে তাঁকে রক্ষণাত্মকভাবে খেলতে হয়েছিল। সন্ধ্যারানী ৬০ কেজি বিভাগে প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন, কারণ ৫৬কেজি বিভাগ খেলার সূচীতে অন্তর্ভুক্ত ছিল না।

তিনি এর আগে মাকাওতে, ২০০৮ সালের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক এবং ২০০৯ এশিয়ান মার্শাল আর্ট গেমসে মহিলাদের সানশৌ ৫৬ কেজি বিভাগে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন।

সন্ধ্যারানি কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের একজন কনস্টেবল এবং তিনি পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরের বাসিন্দা। তিনি থৌবাল জেলা থেকে এসেছেন, যেখানে সানশৌয়ের ফ্রিস্টাইল রূপটি জনপ্রিয়।[৬] সন্ধ্যারানি একজন বক্সার ছিলেন কিন্তু পরে উশুতে চলে আসেন কারণ এটি আরও সর্ববিষয়ে দক্ষতার খেলা।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "- Sandhyarani devi Profile"। ৮ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০২৩ 
  2. - Asian Games wushu: Sandhyarani settles for a silver
  3. "W. Sandhyarani Devi: Biography, Age, Career, Awards, & Family"Birthdays in sports (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-১০-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-২০ 
  4. "Boxing to wushu: An incredible journey for Sandhyarani"। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০২৩ 
  5. - Sandhyarani Devi Wangkhem Wins Silver for India in Women’s Wushu Sanshou in the Asian Games 2010 : Guangzhou[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. - Wushu Wonder Girl - IndianExpress
  7. "Mumbai reports 1,011 new Covid-19 cases, 2 deaths; active tally at 5,852"। Mid-day.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১৯