ওমর ফারুক চৌধুরী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ওমর ফারুক চৌধুরী
১০ম জাতীয় আসনের
বাংলাদেশ সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
২০০৮ জানুয়ারি – বর্তমান
পূর্বসূরীবাংলাদেশি
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1960-01-02) জানুয়ারি ২, ১৯৬০ (বয়স ৬৪)
রাজশাহী, বাংলাদেশ
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
বাসস্থানরাজশাহী
শিক্ষাএলএলবি
পেশাব্যবসায়ী, পরামর্শক
ধর্মইসলাম

ওমর ফারুক চৌধুরী (০২ জানুয়ারি ১৯৬০) হলেন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। [১]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

ওমর ফারুক চৌধুরীর পৈতৃক বাড়ি রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলা তিনি এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

পেশায় আইনজীবী ও পরামর্শক ওমর ফারুক চৌধুরী রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত আছেন। তিনি দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৯ সালে উপজেলা নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচন কমিশন সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীকে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দেয়। চিঠিতে বলা হয়, তিনি একজন প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাচ্ছেন। কিছু ভোটারকে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার নির্দেশ এবং একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হত্যার হুমকি দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। তাই ১০ মার্চে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগ অবধি তিনি যেন এলাকায় না যান।[২] যদিও ফারুক এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।

শিক্ষক নির্যাতন[সম্পাদনা]

৭ জুলাই ২০২২ গোদাগাড়ীর রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে বেপরোয়াভাবে ওমর ফারুক লাথি, কিল-ঘুসি ও হকি স্টিক দিয়ে ১৫ মিনিট ধরে আঘাত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এতে শিক্ষকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালশিরা জমেছে। প্রত্যক্ষদর্শীর সুত্রে জানা গিয়েছে রাতে নগরীর নিউমার্কেট সংলগ্ন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর মালিকানা ওমর থিম প্লাজার চেম্বারে এ ঘটনা ঘটেছে।[৩]

১৪ জুলাই এমপি ফারুকের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে ফারুকের পাশে বসে অধ্যক্ষ সেলিম দাবি করেন, অধ্যক্ষ ফোরামের সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে নিজেরা নিজেরাই ধাক্কাধাক্কি করেছেন। সংসদ সদস্য তাঁদের নিবৃত্ত করেছেন। তিনি এমপি কর্তৃক নির্যাতিত হয়েছেন এ খবরটি মিথ্যা বলে দাবী করেন এবং জানান শিক্ষকরা মারামারি করে যে আঘাত পেয়েছেন তার জন্যই তিনি চিকিৎসা নিতে গিয়েছেন। তবে বাংলাদেশ কলেজশিক্ষক সমিতির রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি শফিকুর রহমান বলেছেন, অধ্যক্ষ সংসদ সদস্যের কাছে মার খেয়েছেন বলে তাঁর কাছে স্বীকার করেছিলেন। পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার কারণে অধ্যক্ষ সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর ভয়ে এখন তিনি ঘটনা অস্বীকার করছেন। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা অধ্যক্ষ সেলিম রেজার চোখের নিচে কালো দাগ কেন জিজ্ঞেস করেন এবং বাঁ হাতের কনুইয়ের ক্ষত দেখতে চান। এ সময় অধ্যক্ষ তাঁর হাত দুটি টেবিল থেকে নিচে নামিয়ে নেন। তিনি কিছুতেই কনুই দেখাতে রাজি হননি। [৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-১। "Constituency 35_10th_Bn"। ২০১৮-০২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-২৪ 
  2. "সাংসদ ফারুককে নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশ, ওসিকে বদলির আদেশ"SAMAKAL (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৪ 
  3. "সবার সামনে ১৫ মিনিট ধরে অধ্যক্ষকে পেটালেন এমপি"Jugantor (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৩ 
  4. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "সংসদ সদস্যের পাশে বসে অধ্যক্ষ বললেন, নিজেরা নিজেরাই ধাক্কাধাক্কি করেছেন"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৪ 

বহি:সংযোগ[সম্পাদনা]