বিষয়বস্তুতে চলুন

এ হাউস অফ পমিগ্রেনেটস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
১৮৯১ এ প্রকাশিত মূল বইয়ের প্রচ্ছদ

এ হাউস অফ পমিগ্রেনেটস হল অস্কার ওয়াইল্ডের লেখা রূপকথার একটি সংকলন যা ১৮৯১ সালে দ্য হ্যাপি প্রিন্স অ্যান্ড আদার টেলস (১৮৮৮) এর দ্বিতীয় সংগ্রহ হিসাবে প্রকাশিত হয়েছিল। ওয়াইল্ড একবার বলেছিলেন যে এই সংগ্রহটি "ব্রিটিশ শিশু বা ব্রিটিশ জনসাধারণের জন্য নয়।"[]

প্রভাব

[সম্পাদনা]

ওয়াইল্ডের রূপকথাগুলি ব্রাদার্স গ্রিম এবং হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসেনের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছিল।[] তিনি তার প্যারাডক্সের দ্বান্দ্বিক কৌশল এবং প্লেটো থেকে পেডেরাস্টিক কোডের ধারণাটিও অর্জন করেছিলেন।[] অধিকন্তু, ওয়াইল্ড ওয়াল্টার প্যাটার দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। তিনি প্যাটারস এর লিখিত বই দ্য রেনেসাঁ: স্টাডিজ ইন দ্য হিস্ট্রি অফ আর্ট অ্যান্ড পোয়েট্রিকে তাঁর "সোনার বই" বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি একবার জনসম্মুখে বলেছিলেন যে তিনি দ্য রেনেসাঁ: স্টাডিজ ইন দ্য হিস্ট্রি অফ আর্ট অ্যান্ড পোয়েট্রি নামক বই ছাড়া কোথাও যাননি।[] প্যাটারের প্রস্তাবিত নান্দনিকতা ওয়াইল্ডকে এ হাউস অফ পমিগ্রেনেটস এর মধ্যে সৃষ্টিশীল রচনা তৈরিতে নির্দেশিত করেছে প্রতিটি গল্পই ক্ষয়িষ্ণু বিষয়গুলিকে প্রতিফলিত করে এবং তাদের নিজস্ব আনন্দ ইন্দ্রিয়গুলিকে খুঁজে বের করে।

এই সংকলনটিকে একইভাবে ক্ষয়িষ্ণু থিম দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা সত্ত্বেও এটি ইন্দ্রিয়গত অভিজ্ঞতা এবং নৈতিক জ্ঞানার্জনের উপর বিশেষভাব্র ফোকাসের মাধ্যমে একটি শিক্ষামূলক নীতিকে প্রকাশ করে। তিনি একটি গোঁড়া খ্রিস্টান নৈতিকতাও প্রচার করেন।[] তাঁর রূপকথাগুলি শিশুদের জন্য উপযুক্ত নয় বলে সমালোচনার মুখোমুখি হয়ে তিনি লিখেছেন যে, "ব্রিটিশ শিশুকে খুশি করার অভিপ্রায়ে তিনি ব্রিটিশ জনসাধারণকে খুশি করার চেয়েছিলেন।"[] যাই হোক না কেন, ওয়াইল্ড পাঠকদের অনমনীয় নির্দোষতা থেকে দূরে টেনে আনেন এবং তার রূপকথার মধ্যে নতুন আনন্দের পরিচয় দেন। সর্বোপরি তিনি নিজ লেখায় একটি আদর্শবাদী ধরনের আনন্দ প্রদান করেন।

ওয়াইল্ডের সৌন্দর্যের বিশদ বিবরণ অন্যান্য রূপকথায় পাওয়া গুণাবলী এবং সামাজিক বিষয়গুলি সম্পর্কে তাদের ঐতিহ্যগত ধারণা থেকে আলাদা।[] "দ্য ইয়াং কিং"-এ একটি প্রধান চরিত্র রয়েছে যিনি সুন্দর জিনিস খোঁজেন, এমনকি তা অন্যের জিনিস হলেও। "দ্য বার্থডে অফ দ্য ইনফ্যান্টা"-এ সৌন্দর্যের আদর্শগুলি শেষ পর্যন্ত অগভীর রয়ে যায়। কারণ টাইটেলার রাজকন্যাকে আদর্শ সৌন্দর্য বলে মনে করা হলেও শেষে দেখা যায় তিনি নিষ্ঠুর। তৃতীয় গল্প "দ্য ফিশারম্যান অ্যান্ড হিজ সোল" নান্দনিক আবেশের বিপজ্জনক প্রকৃতিকে নির্দেশ করে। এই সংগ্রহের শেষ গল্প, "দ্য স্টার-চাইল্ড"-এ সৌন্দর্যের বিশদ বিবরণ রয়েছে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Encyclopædia Britannica 
  2. "Wilde, Oscar (1854–1900) | The Oxford Companion to Fairy Tales - Credo Reference"search.credoreference.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-২৩ 
  3. Wood, Naomi (২০০২)। "Creating the Sensual Child: Paterian Aesthetics, Pederasty, and Oscar Wilde's Fairy Tales": 156–170। আইএসএসএন 1521-4281 
  4. Beckson, Karl E. (১৯৭০)। Oscar Wilde: the critical heritage। The Critical heritage series। Barnes & Noble। আইএসবিএন 978-0-389-04059-0 
  5. Hou, Jing (২০১৪-১০-০১)। "The Aesthetic Experiment of Oscar Wilde in A House of Pomegranates"আইএসএসএন 1799-2591ডিওআই:10.4304/tpls.4.10.2168-2172