এল কাইমানো
এল কাইমানো | |
---|---|
পরিচালক | নান্নি মোরেত্তি |
প্রযোজক | অ্যাঞ্জেলো বার্বাগাল্লো |
রচয়িতা | নান্নি মোরেত্তি হেইনদ্রুন শ্লিফ ফেদেরিকা পোনত্রেমোলি ফ্রান্সেসকো পিকোলো |
শ্রেষ্ঠাংশে | সিলভিও অরলান্দো মার্গেরিতা বাই জেসমিন ত্রিনকা মিশেল প্লাচিদো গিউলিয়ানো মন্তালদো নান্নি মোরেত্তি |
সুরকার | ফ্রাঙ্কো পিয়েরসান্তি |
চিত্রগ্রাহক | আর্নাল্দো কাতিনারি |
পরিবেশক | সাচের ফিল্ম |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১১২ মিনিট |
দেশ | ইতালি |
ভাষা | ইতালীয় |
দি কাইমান (এল কাইমানো বা কুমির) ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ইতালীয় হাস্যরসাত্মক নাট্য চলচ্চিত্র। নান্নি মোরেত্তি ছবিটি পরিচালনা করেছেন। ২০০৬ সালের সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগে ছবিটি মুক্তি পায়। উক্ত নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুসকোনি পরাজিত হন। বেরলুসকোনির জীবনের উত্থান-পতনই ছবিটিতে চিত্রিত হয়েছে। ২০০৬ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবেও ছবিটি দেখানো হয়।[১]
কাহিনীসংক্ষেপ[সম্পাদনা]
সাম্যবাদী দলের দুইজন তরুণ সদস্যের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে । দলেরই একজন কর্মকর্তা বিবাহ অনুষ্ঠানের পৌরোহিত্য করছেন। মাও সে তুং এর পোস্টারের নিচে কনে বরকে অকস্মাৎ বল্লম দিয়ে আঘাত করে। এর ফলে পুলিশ তাকে ধাওয়া করে। - এটা হলো কাত্তারাত্তে (চোখের ছানি) ছবির সমাপ্তিদৃশ্য। এটি একটি ১০ বছর পুরনো অ্যাকশনধর্মী চলচ্চিত্র, যেটি অদ্ভুত চরিত্রের চিত্র প্রযোজক ব্রুনো বনোমোর সম্মানে সিনেমা হলে প্রদর্শিত হচ্ছিল। ১৯৭০ এর দশকে তার স্ত্রী পাওলাকে অভিনেত্রী করে সে কিছু বস্তাপচা ছবি নির্মাণ করে। তার দুইজন তরুণ পুত্রসন্তান রয়েছে, যাদের সে ও পাওলা ভালোবাসে। প্রদর্শনীর সময় একজন তরুণ নারী তাকে একটি চিত্রনাট্য দেয়, যা অবলম্বনে নারীটি ব্রুনোর সহায়তায় চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চান।
আমেরিকা আবিষ্কারের পর কলম্বাসের প্রত্যাবর্তন নিয়ে সে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু পরিচালক ফ্রাঙ্কো কাসপিও কম বাজেটের কারণে পদত্যাগ করে। হঠাৎই ব্রুনোর কাছে কোনো প্রকল্প নেই ; কোনো অর্থায়ন নেই।
মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা - ব্রুনোর স্ত্রী পাওলা তার কাছ থেকে আলাদা হয়ে যেতে চায়। সে শিল্পভিত্তিক কর্মজীবন গড়ে তুলতে চায়।
ব্রুনো তরুণ নারী প্রদত্ত চিত্রনাট্যটি পড়ে বুঝতে পারে, এটি সিলভিও বেরলুসকোনির জীবনী নিয়ে লেখা। বেরলুসকোনি একজন বিত্তশালী ব্যবসায়ী, যিনি তার মালিকানাধীন টিভি চ্যানেলগুলো ব্যবহার করে রাজনৈতিক জীবনে সাফল্য অর্জন করেছেন। ব্রুনো বুঝতে পারে, ছবিটি নির্মাণ করতে গেলে রাজনৈতিক ও আইনি ঝামেলা পোহাতে হবে। এতৎসত্ত্বেও সে মেয়েটির কথায় ছবি বানাতে রাজি হয়। ছবিটি দেখায়, গোপন অর্থ, তহবিল কিংবা সুইস ব্যাংকের টাকা কীভাবে আবাসিক উন্নয়ন ব্যবসায়ী হিসেবে কাইমানোর ভিত্তি গড়ে দেয়। মেয়েটি আশা করে, ছবিটি ২০০৬ সালের নির্বাচনে ভোটারদের প্রভাবিত করবে।
ক্রমশই ব্রুনো চিত্রনাট্যকারের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু নেদারল্যান্ড ভ্রমণে গিয়ে সে আবিষ্কার করে, লেখিকা সমকামী। সে আরেকজন মহিলাকে বিয়ে করেছে এবং তাদের "মেড" নামে একজন পালিত ছেলেও আছে।
মুখ্য অভিনেতা মার্কো পুলিচি ছবিতে আর কাজ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে ছবিটির প্রযোজনা আরো সমস্যাজর্জরিত হয়ে পড়ে।
ছবিটি সম্পূর্ণ করার সব সম্ভাবনা একসময় অন্তর্হিত হয়। তবে ব্রুনো ছবিটির শেষ দৃশ্য চিত্রায়িত করার সিদ্ধান্ত নেয়। বেরলুসকোনি (মোরেত্তি নিজেই এ চরিত্রে অভিনয় করেন) বিচারালয় কক্ষে তার বিরুদ্ধে রায় শোনার জন্য প্রবেশ করে। বিচারকরা তাকে সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। ক্ষুব্ধ জনতা বিচারকদের দিকে মলোটভ ককটেল নিক্ষেপ করেন।
বেরলুসকোনির বিচারক-কাণ্ড এবং জনসংযোগ ক্ষমতা এ চলচ্চিত্রের অন্যতম বিষয়বস্তু। মোরেত্তির মতে, বিতর্কিত অতীত পেছনে ফেলে জনসংযোগের মাধ্যমেই বেরলুসকোনি ইতালীয় জনগণের সমর্থন আদায় করেন।
চরিত্রায়ণে[সম্পাদনা]
- সিলভিও অরলান্দো- ব্রুনো
- মার্গেরিতা বাই -পাওলা
- জেসমিন ত্রিনকা - তেরেসা
- মিশেল প্লাচিদো - মার্কো পুলিচ্চি/সিলভিও বেরলুসকোনি
- নান্নি মোরেত্তি- নান্নি মোরেত্তি/সিলভিও বেরলুসকোনি
- গিউলিয়ানো মন্তালদো - ফ্রাঙ্কো কাসপিও
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "এল কাইমানো"। কান চলচ্চিত্র উৎসব। ৯ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০২০।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে The Caiman (ইংরেজি)