এম. কে. বিনোদিনী দেবী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মহারাজ কুমারী বিনোদিনী দেবী
জন্ম৬ ফেব্রুয়ারি ১৯২২
মণিপুর
মৃত্যু১৭ জানুয়ারি ২০১১[১]
সমাধিস্থলমণিপুর
পেশাঔপন্যাসিকা, ছোটগল্পকার, নাট্যকার
নাগরিকত্বভারত
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারযামিনী সুন্দর গুহা স্বর্ণপদক (১৯৬৬)
পদ্মশ্রী (১৯৭৬)
সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৭৯)
সন্তানলৈফুংবাম দেবব্রত রায়
লৈফুংবাম সোমি রায়

মহারাজ কুমারী বিনোদিনী দেবী ছিলেন একজন ভারতীয় ঔপন্যাসিকা, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং মণিপুর রাজপরিবারের সদস্যা। [১][২][৩][৪]

তিনি বিনোদিনী নামেই লেখালেখি এবং বই প্রকাশ করেছিলেন। [২]

জীবনীক্রম[সম্পাদনা]

তিনি মণিপুরের রাজা স্যার মহারাজ চুড়াচাঁদ সিংহের এবং মহারাণী ধনমঞ্জুরী দম্পতির ঘরে ১৯২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। [৫] রাজবাড়িতে তিনি ওয়াঙ্গোলসানা বা সানা ওয়াঙ্গোল নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি মণিপুরের প্রথম স্নাতক ডিগ্রিধারী নারী। পড়াশোনা শেষ করার পরেই তিনি ড. লৈফুংবাম নন্দলাল রায়কে বিয়ে করেছিলেন। লৈফুংবাম দেবব্রত রায় এবং লৈফুংবাম সোমি রায় নামে তাঁদের দুটি পুত্রসন্তান রয়েছে।

লেখিকা হিসাবে জীবন[সম্পাদনা]

তিনি ১৭ বছর বয়সে একটি ছোট গল্প ইমাতন দিয়ে লেখালেখি শুরু করেছিলেন। তাঁর প্রথম বই নুংগাইরক্ত চন্দ্রমুখী প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৫ সালে ১৬টি ছোটগল্পের সংকলন নিয়ে। তিনি বইটির জন্য যামিনী সুন্দর গুহ স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন। ১৯৭৯ সালে তাঁর মহাগ্রন্থ বড় সাহেব ওঙ্গবি সনাতম্বির জন্য তিনি সম্মানজনক সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন।[৬] উপন্যাসটি ছিল তার খালা সনাতম্বি সম্পর্কে যিনি মণিপুরের একজন রাজনৈতিক প্রতিনিধি ছিলেন।

তিনি কয়েকটি নাটকও লিখেছেন। একটি উল্লেখযোগ্য নাটক হ'ল আশংবা নংজবি (রক্তিম বৃষ্টির মেঘ) যেটি চিত্রশিল্পী গৌতমের গল্প নিয়ে লেখা। তিনি অমাসং ইন্দ্রজিৎ নামে বাদল সরকার রচিত একটি নাটক অনুবাদ করেছিলেন, যা পরে ইম্ফলে মণিপুর নাটক সংঘের (এমডিইউ) শিল্পীরা পরিবেশন করেছিলেন। বিনোদিনী মণিপুরী চলচ্চিত্রের গল্পও লিখেছিলেন। তাঁর নাটক আশংবা নংজবি থেকে পরবর্তীতে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। তাঁর সর্বশেষ বইটি হল মহারাজ চুড়াচাঁদগি ইমুং নামের একটি উপন্যাস যা ২০০৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।

জনপ্রিয় মাধ্যমে[সম্পাদনা]

২০০১ সালে মহারাজ কুমারী বিনোদিনী দেবীর জীবনীকে কেন্দ্র করে অরিবম শ্যাম শর্মা বিনোদিনী: এ রাইটার্স লাইফ নামে একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র তৈরি করেছিলেন। [৭]

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "A Slice of Royalty"The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। India: The Indian Express। ২০১৫-০২-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১২ 
  2. "Binodini's Women: The three strong characters of My Son, My Precious."The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। India: The Indian Express। ২০১৮-০৩-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১২ 
  3. "M.K. BINODINI DEVI"Festival de Cannes 2019 (ইংরেজি ভাষায়)। Cannes, France: Cannes Film Festival। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১২ 
  4. "Maharaj Kumari Binodini Devi"The Times (ইংরেজি ভাষায়)। London, UK। ২০১১-০৩-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১২ 
  5. https://www.indulgexpress.com/culture/books/2020/may/04/iconic-manipuri-novelist-mk-binodinis-the-princess-and-the-political-agent-to-release-on-may-11-24655.html
  6. http://www.e-pao.net/epSubPageExtractor.asp?src=reviews.books.Bor_Saheb_Ongbi_Sanatombi_by_MK_Binodini_A_Book_review
  7. https://nenow.in/north-east-news/mk-binodini-devi-anniversary-memorial.html

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]