একশিলা স্থাপত্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পঞ্চরথ, ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে অবস্থিত ৭ম শতকের শেষভাগে নির্মিত একটি শিলাকর্তিত একশিলা মন্দির

একশিলা স্থাপত্য বা একখণ্ডীয় স্থাপত্য বলতে সেইসব ভবন ও স্থাপনাকে যেগুলিকে একটি মাত্র উপাদান বা তার কোনও খণ্ডকে, বিশেষত কোনও শিলা বা শিলাখণ্ডকে কেটে-কুঁদে, ঢালাই করে বা খনন করে নির্মাণ করা হয়।

একশিলা স্থাপত্যের সবচেয়ে মৌলিক রূপটি হল শিলাকর্তিত ভবন, যেমন ইথিওপিয়াতে জাগওয়ে রাজবংশের আমলে নির্মিত একশিলা গির্জাগুলি কিংবা ভারতের তামিলনাড়ুতে অবস্থিত পঞ্চরথ ভবনসমবায়। এই ভবনগুলিকে কঠিন শিলা কেটে বের করে আনা হয়েছে এবং ভবনগুলি ভিত্তিশিলার সাথে এখনও সংযুক্ত আছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রের চারপাশের অবশিষ্ট শিলা থেকে আঁচ করা যায় যে শিলা কর্তন করা হয়েছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোনও ভবনকে মাটির উপরে উদ্গত হওয়া শিলার উদ্ভেদ (outcrop) কেটেও বানানো হতে পারে (যেমন তামিলনাড়ুর তটমন্দির), যেক্ষেত্রে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণের পরেই বোঝা সম্ভব যে ভবনটি একশিলা-জাতীয়।

কোনও ভবনকে নির্দিষ্ট ছাঁচে নির্মাণ উপাদান (যেমন কংক্রিট) ঢেলে একবারে তৈরি করা হলে সেটিকেও সম্প্রসারিত অর্থে একশিলা-জাতীয় বা একখণ্ডীয় বলে চরিত্রায়িত করা হতে পারে। এরকম স্থাপত্যের একটি চরম উদাহরণ হল সেইসব একশিলা গম্বুজ, যেগুলিতে নির্মাণ উপাদানটিকে কোনও কাঠামোর ভেতরের পৃষ্ঠে ছিটিয়ে দিয়ে একটি পাতলা, শক্ত কাঠামো উৎপাদন করা হয়। আর সাধারণ একশিলা গম্বুজের একটি প্রাচীন উদাহরণ হিসেবে ইতালির রাভেন্না শহরে অবস্থিত তেওদোরিকো সমাধিমন্দির উল্লেখ্য, যেটির ছাদ একটিমাত্র শিলাখণ্ড কেটে বানানো হয়েছে।

যখন বৃহৎ একখণ্ড শিলাকে ভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন করে কোনও বস্তু নির্মাণে ব্যবহার করা হয়, তখন একশিলাএকশিলা স্তম্ভ পরিভাষাগুলি ব্যবহার করা হয়। এগুলি উৎস শিলার অবস্থান থেকে অনেক দূরে কোথাও পরিবহন করে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। যেমন প্রাচীন মিশরের ওবেলিস্ক নামক লম্বা ও সূঁচালো চতুষ্কোণ স্মৃতিস্তম্ভগুলিকে (এক ধরনের একশিলা স্তম্ভ) বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  • Russell Sturgis, Sturgis' Illustrated Dictionary of Architecture and Building

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Arch-style-stub