উলুবাতলি হাসান
উলুবাতলি হাসান | |
---|---|
الوباطلى حسن (উসমানীয় তুর্কি) | |
![]() ফরাসি জাতীয় গ্রন্থাগার থেকে উলুবাতলি হাসানের চিত্র | |
জন্ম | আনু. 1390 |
মৃত্যু | ২৯ মে ১৪৫৩ (৬৩ বছর বয়স) |
সমাধি | Fatih İskenderpaşa Neighborhood, ফাতিহ, ইস্তাম্বুল[১] |
নাগরিকত্ব | উসমানীয় |
পেশা | সেকবানবাসি |
উলুবাতলি হাসান (১৪২৮-২৯ মে ১৪৫৩) ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতান মুহাম্মাদ ফাতিহের অধীনস্থ একজন তিমারলি সিপাহি। কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের সময় তার বীরোচিত ভূমিকার কারণে তাকে স্মরণ করা হয়।[২]
তিনি বুরসা প্রদেশের অন্তর্গত কারাচাবের নিকটস্থ উলুবাত নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। “উলুবাতলি হাসান” নামের অর্থ “উলুবাতের হাসান”। স্কটিশ ইতিহাসবিদ লর্ড কিনরোজের লেখা “দ্য অটোমান সেঞ্চুরিস” অনুযায়ী তিনি খুব দীর্ঘদেহী ব্যক্তি ছিলেন।
২৫ বছর বয়সে তিনি কনস্টান্টিনোপল অবরোধে (৬ এপ্রিল ১৪৫৩-২৯ মে ১৪৫৩) অংশ নেন। তুর্কিরা ইতিপূর্বে কয়েকবার বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের এই শেষ শক্তঘাটি দখল করার চেষ্টা করে। কিন্তু এবার সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদের অধীনে বিজয় অতি সন্নিকটে এসে পড়ে। সুলতান মুহাম্মদ তার বিশ বছর বয়সের সময় দক্ষ সামরিক নেতার কৃতিত্ব অর্জন করেন। কিন্তু বেশ কয়েকটি আক্রমণ ও কামানযোগে হামলার পরও ৫৩ দিন পর্যন্ত কনস্টান্টিনোপলের দেয়ালগুলো টিকে ছিল।
২৯ মে অবরোধের শেষ দিন ফজরের নামাজের পর উসমানীয় সামরিক ব্যান্ড তাদের একটি গান বাজানো শুরু করে এবং শহরে এর প্রভাব পড়ে। শহরের দেয়ালে প্রথম যে সৈনিকরা উঠতে সক্ষম হয় হাসান ছিলেন তাদের অন্যতম। তার পরে প্রায় ৩০ জন তাকে অনুসরণ করে। এসময় তার হাতে ছিল একটি তলোয়ার, একটি ছোট ঢাল এবং উসমানীয়দের পতাকা। যুদ্ধের সময় চারপাশের গোলাগুলির ভেতরে তিনি দেয়ালে উঠে পড়েন এবং পতাকা স্থাপন করেন এবং তার ১২ জন বন্ধু আসা পর্যন্ত তিনি পতাকা রক্ষা করেন। এরপর তিনি আহতাবস্থায় পড়ে যান। এসময় তার শরীরে ২৭টি তীর বিদ্ধ ছিল। দেয়ালের নিজেদের পতাকা দেখে উসমানীয় সেনাদের মনোবল বৃদ্ধি পায় এবং বিজয় আসা পর্যন্ত তা বজায় থাকে।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Yilmaz, Hakan (২০১৯-০১-০১)। ""Bir 'Fetih Efsânesi' Olduğu Öne Sürülen Ulubatlı Hasan'ın Yeni Keşfedilen Kabri ve Bilinmeyen Gerçek Tarihî Kimliği", Toplumsal Tarih, Sy.: 305 (Mayıs 2019), s. 74-78"। Toplumsal Tarih Dergisi।
- ↑ The Companion Guide to Istanbul: And Around the Marmara By John Freely, Susan Glyn, pg. 356[সন্দেহপূর্ণ ]