উর্মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
دانشگاه اروميه | |
ধরন | সর্বজনীন |
---|---|
স্থাপিত | ১৮৭৮-১৯০৫ & ১৯৬৫-present |
সভাপতি | রহিম হোবাঙ্গী |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | about ৪৮১ |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | about ৮০০ |
শিক্ষার্থী | ১৫,০০০ |
স্নাতক | ১৪,০০০ |
স্নাতকোত্তর | up to ১,০০০ |
অবস্থান | , , ৩৭°৩৯′২৪.৮২″ উত্তর ৪৪°৫৯′১২.৪২″ পূর্ব / ৩৭.৬৫৬৮৯৪৪° উত্তর ৪৪.৯৮৬৭৮৩৩° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে এবং উপবেশন |
Athletics | ? teams |
পোশাকের রঙ | turquoise and white ; |
ওয়েবসাইট | www.urmia.ac.ir |
উর্মিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (ফার্সি: دانشگاه ارومیه তুর্কি : اورمو بیلیم یوردو) (এছাড়াও পরিচিত ইউনিভার্সিটি অব উর্মিয়া নামে) ইরানের পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশে অবস্থিত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। উর্মীয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ক্যাম্পাসটি উর্মির পাশাপাশি নাজুমুতে অবস্থিত। এখানে ছয়টি ক্যাম্পাস, সাতটি স্কুল, ১৪ হাজারেরও বেশি ছাত্র ছাত্রী রয়েছে এবং বিভিন্ন একক গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে, যেমন: মাইক্রো ইলেক্ট্রনিক, অ্যান্টেনা এবং মাইক্রোওয়েভ ল্যাবরেটরি, ন্যানোপ্রযুক্তি, এমইএমএস, এবং আর্টিমিয়া। উর্মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের খাই ও মিয়াডায়াব শহরে দুটি স্যাটেলাইট ক্যাম্পাস রয়েছে। উর্মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাজু ক্যাম্পাস ইরানের উত্তর-পশ্চিম এলাকার বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হিসেবে পরিচিত। ইরানি বিজ্ঞান বিভাগের ইরানি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইরানের "গ্রেড এ" বা প্রথম শ্রেণির বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম একটি হিসেবে স্থান দখল করে আছে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]ওয়েস্টমিনিস্টার মেডিকেল কলেজ (১৮৭৮-১৯০৫)
[সম্পাদনা]উর্মিয়া শহরের পশ্চিমে মিনস্টার মেডিকেল কলেজের যায়গায় ১৮৭৮ সালে [জোসেফ কোচারান] প্রতিষ্ঠা করে উর্মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। উর্মির উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য ওয়েস্টমিনিস্টার কলেজ সর্বার্ধিক প্রচেষ্টা করে। উর্মিয়ায় জন্মগ্রহণকারী একজন আমেরিকান নাগরিক ডাঃ কোচারান উরমিয়ার মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে নির্মান করেন এবং তার মাধ্যমে তার পেশাগত জীবনকে উন্নত করেন।[১]
ড. কোচারান এবং [মোজাফফর আদ-দিন শাহ কাজার] যৌথভাবে ওয়েস্ট মিনস্টার মেডিকেল কলেজের স্নাতক সনদে স্বাক্ষর করেন । ১৯০৫ সালে ডঃ কোচারানের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই কলেজটি মেডিকেল বিজ্ঞানবিভাগের শিক্ষাদান চালিয়ে যায়। ড. কোচারান মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাসে উর্মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠাম নির্মান করেন।। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে কোচরান এবং তার দল কাজ করে সম্মানিত হয়।তারা তাদের মাতৃভূমিতে শান্তিতে বসবাস করে, এবং তাদের সমাধিতে শ্রধাঞ্জলি ও মানবতার বিকাশ ঘটায়।
পরবর্তী উন্নয়ন (১৯৬৫)
[সম্পাদনা]১৯৬৫ সালে উর্মিয়া বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিক ভাবে ভিত্তিপ্রস্তর হয়, যখন রেজায়ি কৃষি প্রতিষ্ঠিত হয়। নবনির্মিত কলেজের প্রথম কাউনসিলর হিসেবে জনাব শাবানি নিযুক্ত হন। ১৯৬৯ সালে জাফর রাসি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রসারণের জন্য চ্যান্সেলর নিযুক্ত হন। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজকে আরও উন্নয়নের জন্য নিয়োগ দেয়।
ক্যাম্পাস
[সম্পাদনা]উর্মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ টি ক্যাম্পাস রয়েছে, ক্যাম্পাস গুলি পশ্চিম আজারবাইজান প্রোভেন্সে অবস্থিত। আজারবাইজান প্রোভেনস মূল ক্যাম্পাসটি উর্মি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরো পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার রাস্তা যা নাজলুতে অবস্থিত। সমস্ত ক্যাম্পাসের তালিকা নিম্নে দেওয়া হল:
- নাজ্লু গ্রামের প্রধান ক্যাম্পাস নাজু ক্যাম্পাস
- উর্মিয়া শহরের সিটি ক্যাম্পাস
- উর্মিয়া শহরের অভ্যন্তরে সহত্য ক্যাম্পাস।
- স্কুল অফ ইকনমিক্স ক্যাম্পাসটি ১.৫ কি.মি. দূরে সরো সড়কে অবস্থিত।
- উর্মিয়া শহরের ভিতর স্কুল অফ আর্টস ক্যাম্পাসটি অবস্থিত।
- খায় ক্যাম্পাস
ভবন
[সম্পাদনা]উর্মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত ভবনটির হচ্ছে মূলত একটি কাঠের স্থাপনা যেটি শহরের ক্যাম্পাসের প্রাচীনতম ভবন হিসেবে বিবেচিত। নাজু ক্যাম্পাসটি হলো বর্তমানে উর্মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ভবন। নিম্নে অন্যান্য ভবনগুলি উল্লেখ করা হল:
- কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার
- বিজ্ঞান স্কুল
- স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং
- কৃষি স্কুল
- মেডিকেল বিজ্ঞান স্কুল
- প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগ
- প্যারামেডিক্স বিভাগ
- পশু বিজ্ঞান বিভাগ
- ভেটেরিনারি সায়েন্স ভবন
- ক্লাসরুম ভবন
- নাম্বার অফিস ভবন
- আজাদগন ব্যায়ামাগার
- চামারা অডিটোরিয়াম
- মসজিদ
- প্রযুক্তি উদ্যান
- কেন্দ্রীয় রেস্তোরাঁ
- উত্তর ক্যাম্পাস (ছেলেদের বাসভবন)
- দক্ষিণ ক্যাম্পাস (মেয়েদের বাসস্থান)
স্কুল
[সম্পাদনা]উর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি স্কুল রয়েছে:
প্রকৌশল স্কুল
- মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
- বৈদ্যুতিক প্রকৌশল বিভাগ
- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
- কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগ
- জরিপ বিভাগ
- খনি বিভাগ
- কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
- স্থাপত্য বিভাগ
- শিল্প প্রকৌশল বিভাগ
বিজ্ঞান স্কুল
- পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ
- গণিত বিভাগ
- রসায়ন বিভাগ
- ভূগোল বিভাগ
- জীববিজ্ঞান বিভাগ
- পরিসংখ্যান বিভাগ
- পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ
মানবিক বিজ্ঞান ও সাহিত্য স্কুল
- ইসলামী ইতিহাস বিভাগ
- ভূগোল বিভাগ
- দর্শন বিভাগ
- শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ
- ইংরেজি সাহিত্যে বিভাগ
- ফার্সি সাহিত্যে বিভাগ
- তুর্কী সাহিত্যে বিভাগ
- ইসলামী রহস্যবাদ বিভাগ
- মনোবিজ্ঞান বিভাগ
- পেন্টিং বিভাগ
কৃষি স্কুল
- কৃষি সম্প্রসারণ ও শিক্ষা বিভাগ
- কৃষিবিদ্যা ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ
- প্রাণী বিজ্ঞান বিভাগ
- খাদ্য শিল্প বিভাগ
- উদ্যানপালন বিভাগ
- সেচ বিভাগ
- উদ্ভিদ সুরক্ষা বিভাগ
- মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ
অর্থনীতি স্কুল
- অর্থনীতি বিভাগ
- ব্যবস্থাপনা বিভাগ
- অ্যাকাউন্টিং বিভাগ
পশুচিকিত্সক অনুষদ
কলা অনুষদ
উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী
[সম্পাদনা]- ঈসা কালানতরি, ইরানে সাবেক কৃষি মন্ত্রী।
- মোহাম্মদ ওরাজ, ইরানের প্রথম ইরানি এমটি এভারেস্ট।
গবেষণা কেন্দ্র
[সম্পাদনা]- আর্টেমিয়া ও জলজ প্রাণী গবেষণা কেন্দ্র [১][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ][২](ইংরেজি)
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউসিএএএ থেকে প্রফেসর হাদিডি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মাইক্রো ইলেকট্রনিকস রিসার্চ সেন্টার [৩][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]