উমাইর ইবনে আবি আমর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উমাইর ইবনে আবি আমর

যু-শিমালাইন
মুহাম্মাদের সাহাবা
জন্মখুযায়া গোত্র, মক্কা
মৃত্যু৬২৪ খ্রিস্টাব্দ
বদরের প্রান্ত
যার দ্বারা প্রভাবিতমুহাম্মাদ
পিতামাতা
  • আবদে আমর ইবনে নাদলা (পিতা)

উমাইর ইবনে আবি আমর বা যু-শিমালাইন উমাইর ইবনে আবি আমর(মৃত্যু- ০২ হিজরি) নবী মুহাম্মদের অন্যতম সাহাবা ছিলেন। তিনি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং এই যুদ্ধে মারা গিয়েছিলেন ।

নাম ও বংশ পরিচয়[সম্পাদনা]

উমাইর ইবনে আবি আমর এর মূল নাম উমাইর, ডাক নাম আবু মুহাম্মাদ ও উপাধি যু-শিমালাইন।[১] তার পিতার নাম আবদু আমর ইবন নাদলা। তিনি খুযায়া গোত্রের সন্তান। উমাইর সকল কাজ দু হাত দিয়ে করতেন বলে যু-শিমালাইন (অর্থ দুখানি দক্ষিণ হস্তের অধিকারী) বলে উপাধিতে লাভ করেন ।[২] উমাইর এর বোন রায়তা নামে একটি বোন ছিল ।[৩]

ইসলাম গ্রহণ[সম্পাদনা]

যু-শিমালাইন কখন এবং কীভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন সে সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায় না। তবে ইসলাম গ্রহণের পর মদিনায় হিজরত করে সাদ ইবন খাইসামার অতিথি হন। নবী মুহাম্মদ ইয়াযীদ ইবন ‍হারেস সাথে তার ভাতৃ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে দেন। মুহাম্মদ একবার চার রাকাত নামাজের স্থলে দুই রাকাত আদায় করলে তিনিই একমাত্র ভুল ধরেন এবং তিনি সেই নামাজ সংশোধন করে আদায় করেন।[৪]

বদরের যুদ্ধ[সম্পাদনা]

মদিনায় আসার পর তিনি ও তার দ্বীনি ভাই ইয়াযীদ বদর যুদ্ধে যোগদান করেন। এ যুদ্ধে তিনি সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করেন এবং কুরাইশদের মধ্যে আবু উসামা যুহাইর ইবন মুয়াবিয়া আল জুশামীর হাতে নিহত হন।[৫]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

তিনি ২য় হিজরিতে বদরের যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৩০ বছর। তার দ্বীনী ভাই ইয়াযিদ ইবনে হারেস এ যুদ্ধে মারা যায়।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. তাবাকাত - (৩/১৬৭) 
  2. আল ইসাবা - (৩/৩৩) 
  3. তাবাকাত ইবন সাদ - (৩/১৬৭) 
  4. বুখারী শরীফ -- আযান অধ্যায়, অনুচ্ছেদঃ ইমামের সন্দেহ হলে তিনি কি মুকতাদিদের কথা গ্রহণ করবেন  
  5. আনসাবুল আশরাফ - (১/২৯৫) 
  6. তাবাকাতঃ (৩/১৬৮)