উদয়ী বামনরাঙা
উদয়ী বামনরাঙা Ceyx erithaca | |
---|---|
ব্যাঙ মুখে Ceyx erithaca | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Chordata |
উপপর্ব: | Vertebrata |
শ্রেণী: | Aves |
বর্গ: | Coraciiformes |
পরিবার: | Alcedinidae |
গণ: | Ceyx |
প্রজাতি: | erithaca |
দ্বিপদী নাম | |
Ceyx erithaca (Linnaeus, 1758) | |
প্রতিশব্দ | |
|
উদয়ী বামনরাঙা বা বুনো মাছরাঙা (Ceyx erithaca)[২], যা কালো-চক্ষু মাছরাঙা বা তিন-পায়ের মাছরাঙা নামেও পরিচিত, এক ধরনের অ্যালসেডিনিডি গোত্রের পাখি।[৩] ভারতীয় উপমহাদেশে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বিপন্ন এই প্রাণিটিকে দেখতে পাওয়া যায় বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রুনেই, কম্বোডিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ডে।
শারীরিক গঠন
[সম্পাদনা]উদয়ী বামনরাঙা মূলত আগুনরঙের মাছ শিকারি পাখি। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট মাছরাঙা। দেহের দৈর্ঘ্য ১৩ সেন্টিমিটারের মত। প্রাপ্তবয়স্ক পাখির মাথা, মাথরা চাঁদি ও ঘাড় কমলা রঙের হয়। পিঠ, কাঁধ, ডানা-ঢাকনি ও ডানার পালক নীলচে কালো। গলা সাদা, কোমর ও লেজ কমলা রঙের, পেট কমলা হলুদ, চোখ গাঢ় লাল, ঠোঁট ও পায়ের পাতা লাল। ছেলে ও মেয়ে পাখির চেহারা একইরকম।[৪]
বাসস্থান
[সম্পাদনা]বামনরাঙা পাতাঝরা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ও চিরসবুজ বনের ছায়াময় ছড়া ও নদীতে বিচরণ করে। সাধারণত একা ঘুরে বেড়ায়, দলবেঁধে না। পানির কাছে এরা দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকে এবং সুযোগ পেলে পানিতে ডুব দিয়ে শিকার ধরে খায়।[৫]
প্রজনন
[সম্পাদনা]জুন মাসে মৌসুমী বায়ু#দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ুর আবির্ভাবের সাথে সাথে এর প্রজনন মৌসুম শুরু হয়। এর বাসা প্রায় এক মিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট একটি মাটির সমান্তরালে নির্মিত টানেলের ন্যায়। একসাথে প্রায় চার থেকে পাঁচটি ডিম থাকে। ডিম সাদারঙের হয়।[৪] ছেলে-মেয়ে উভয় পাখি মিলেই গড়ে ১৭দিন তা দেয়ার পরে বাচ্চা ফোটে। ২০ দিন পর বাচ্চারা উড়তে পারে। যদি এই প্রজন্ম ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় এক প্রজন্মের জন্ম দেয়া হয়। এরা শামুক, ব্যাঙ, ঝিঁ ঝিঁ পোকা, গঙ্গাফড়িং, কাঁকড়া, স্কিঙ্ক বা গেকো জাতীয় টিকটিক খেয়ে থাকে।[৬] লালচে-বাদামি পিঠের মাছরাঙাকে এর উপপ্রজাতি হিসেবে ধরা হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Ceyx erithaca"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2012.2। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। 2012। সংগ্রহের তারিখ 24/10/2012। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ David N & Gosselin M. 2000. "The supposed significance of originally capitalized species-group names." BBOC. 120(4):262 note that erithaca is the correct ending but erithacus is claimed to be correct in Handbook of the Birds of the World
- ↑ Ali, S. (১৯৯৩)। The Book of Indian Birds। Bombay: Bombay Natural History Society। আইএসবিএন 0195637313।
- ↑ ক খ সৌরভ মাহমুদ (৬ জানুয়ারি ২০১৫)। "উদয়ী বামনরাঙা"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০২০।
- ↑ Meyer de Schauenesee; Rodolphe & S D Ripley (১৯৩৯)। "Zoological results of the George Vanderbilt Sumatran expedition, 1936-1939. Part 3- Birds from Nias Island"। 91। Proceedings of the Academy of Natural Sciences: 399–414।
- ↑ Palkar, SB, Katdar VD, Lovalekar RJ, Mone RV & VV Joshi (২০০৯)। Breeding biology of Oriental Dwarf Kingfisher Ceyx erythaca। 4। Indian Birds। পৃষ্ঠা 98–103।