উইকিপিডিয়া:উইকিপ্রকল্প হিন্দুধর্ম/কোথায় পাব তথ্যসূত্র?

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

উইকিপিডিয়ায় প্রদত্ত তথ্যের সত্যতা ও নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করা হয় তথ্যসূত্রের মাধ্যমে। এক কথায় বললে, প্রদত্ত তথ্য যেন "নিরপেক্ষ তৃতীয় উৎস" দ্বারা যাচাইযোগ্য হয়। এক্ষেত্রে তথ্যসূত্র দুই প্রকার হতে পারে: (১) ইন্টারনেট/ওয়েবসাইটে প্রদত্ত তথ্য এবং (২) বই, গবেষণা-পত্র ও পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য। ইন্টারনেট অনেক বেশি সুলভ মাধ্যম হওয়ায় এই মাধ্যমে পাওয়া অনেক তথ্য নির্ভরযোগ্য হয় না। হিন্দুধর্ম-সংক্রান্ত নিবন্ধগুলির তথ্যসূত্রগুলির ক্ষেত্রে তাই গ্রন্থাকারে ও পত্রিকায় প্রকাশিত বিশিষ্ট গবেষকদের রচনার উপর গুরুত্ব আরোপই সমীচীন। এই ধরনের তথ্যসূত্রগুলি সম্পর্কে কিছু পরামর্শ এই পৃষ্ঠায় দেওয়া হল:

বিশ্বকোষ[সম্পাদনা]

বিশ্বকোষ-জাতীয় গ্রন্থগুলি সকল ব্যবহারকারীর পক্ষেই সহায়ক হতে পারে। বিশ্বকোষের নির্ভরযোগ্যতা অন্য যে কোনও গ্রন্থের চেয়ে অনেক বেশি। সেই এগুলিকে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়। হিন্দুধর্ম-বিষয়ক যে বিশ্বকোষগুলি সমৃদ্ধ ও সহজলভ্য সেগুলির একটি তালিকা নিচে দেওয়া হল:

  1. পৌরাণিক অভিধান (দুই খণ্ডে), শশিভূষণ বিদ্যালঙ্কার সংকলিত, বলরাম প্রকাশনী, কলকাতা
  2. রামায়ণের চরিতাবলী, সুখময় ভট্টাচার্য, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলকাতা
  3. মহাভারতের চরিতাবলী, সুখময় ভট্টাচার্য, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলকাতা

তীর্থ-সংক্রান্ত[সম্পাদনা]

তীর্থস্থানগুলি হিন্দুধর্মের একটি বিশিষ্ট অঙ্গ। বাংলা ভাষায় প্রধান প্রধান হিন্দুতীর্থ-সংক্রান্ত অনেক নির্ভরযোগ্য বই সুলভ। ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে কয়েকটি বইয়ের নাম নিচে দেওয়া হল:

  1. কালীক্ষেত্র কালীঘাট, সুমন গুপ্ত, দীপ প্রকাশন, কলকাতা
  2. তারাপীঠের তারা মা, সুমন গুপ্ত, দীপ প্রকাশন, কলকাতা
  3. বাংলার প্রাচীন কালীকথা, শিবশংকর ভারতী, সাহিত্যম, কলকাতা
  4. পশ্চিমবঙ্গের কালী ও কালীক্ষেত্র, দীপ্তিময় রায়, মণ্ডল বুক হাউস, কলকাতা
  5. কলকাতার ৫১ কালীবাড়ি, অরুণ মুখোপাধ্যায়, মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলকাতা
  6. একান্নপীঠ, পূর্বা সেনগুপ্ত, মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলকাতা
  7. হিন্দুতীর্থ কামরূপ কামাখ্যা, অরুণ মুখোপাধ্যায়, মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলকাতা
  8. দাক্ষিণাত্যের হিন্দুতীর্থ, অরুণ মুখোপাধ্যায়, মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলকাতা [এই বইটিতে রামেশ্বরম, ধনুষ্কোটি, কন্যাকুমারী, নাগেশ্বর, শুচীন্দ্রম, মারুতমালাই, তিরুভাত্তুর, জনার্দন, তিরুবনন্তপুরম, কোভালাম, পদ্মনাভপুরম ও মাদুরাই-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।]
  9. হিন্দুতীর্থ পুরীধাম, অরুণ মুখোপাধ্যায়, মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলকাতা
  10. জয় জগন্নাথ, তাপস প্রামাণিক, দীপ প্রকাশন [পুরী বিষয়ক বই]
  11. হিন্দুতীর্থ গয়া, অরুণ মুখোপাধ্যায়, মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলকাতা
  12. হিন্দুতীর্থ কাশী-বারাণসী, অরুণ মুখোপাধ্যায়, মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলকাতা
  13. হিন্দুতীর্থ পরিক্রমা, অরুণ মুখোপাধ্যায়, মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলকাতা [এই গ্রন্থে দেওঘর, কাশী, তারকেশ্বর, বিহারীনাথ, পুরী, নবদ্বীপ, মাহেশ, গয়া, রামপ্রসাদ ও কমলাকান্তের সাধনপীঠ ও রাজারাপ্পার ছিন্নমস্তা-সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে।]
  14. ৫১ পীঠ, হিমাংশু চট্টোপাধ্যায়, দীপ প্রকাশন, কলকাতা [এই গ্রন্থে একচল্লিশটি সতীপীঠের বিবরণ রয়েছে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে অবস্থিত পীঠগুলিই প্রাধান্য পেয়েছে।]
  15. পুণ্যতীর্থ ভারত, স্বামী দিব্যাত্মানন্দ, উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা
  16. দেবী চণ্ডী: নানা রূপে নানা স্থানে, গৌতম বিশ্বাস, গিরিজা লাইব্রেরী, কলকাতা
  17. উপ ও সিদ্ধপীঠ পরিক্রমা, গৌতম বিশ্বাস, গিরিজা লাইব্রেরী, কলকাতা
  18. হিন্দুতীর্থ ব্রজমণ্ডল পরিক্রমা, বরুণ দত্ত, মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলকাতা
  19. নর্মদা - উৎস থেকে উজানে, বরুণ দত্ত, মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলকাতা

দেবদেবী-সংক্রান্ত গ্রন্থাবলি[সম্পাদনা]

হিন্দুধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা হল "দেবতা"। হিন্দু দেবদেবী-সংক্রান্ত বই অঢেল রয়েছে। তার মধ্যে থেকে বাছাই করা কয়েকটি বইয়ের নাম দেওয়া গেল। এই বইগুলি যথেষ্ট তথ্যবহুল এবং ব্যবহারকারীদের কাছেও যথেষ্ট উপকারী।

  1. হিন্দুদের দেবদেবী: উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, ১ম খন্ড, ২য় খণ্ড ও ৩য় খণ্ড, হংসনারায়ণ ভট্টাচার্য, ফার্মা কে এল এম প্রাঃ লিঃ, কলকাতা: হিন্দু দেবদেবী-সংক্রান্ত বইয়ের মধ্যে এই বইটির নামই প্রথম মনে আসে। বৈদিক, পৌরাণিক ও লৌকিক - তিন শ্রেণির দেবতাদের নিয়ে এত বিস্তারিত আলোচনা অন্য কোনও বইতে পাওয়া যায় না। বইটির ১ম খণ্ডে হিন্দুধর্মে ঈশ্বর, দেবতা ও অসুর নিয়ে ৭০ পৃষ্ঠার আলোচনার পর প্রায় পাঁচশো পাতা জুড়ে আলোচিত হয়েছেন বৈদিক দেবদেবীরা; চারশো পৃষ্ঠা-বিশিষ্ট দ্বিতীয় খণ্ডের আলোচ্য বিষয় হিন্দুধর্মের প্রধান তিন দেবতা ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব এবং অন্যতম প্রধান দুই দেবতা গণেশ ও কার্তিক; সোওয়া চারশো পৃষ্ঠা-বিশিষ্ট তৃতীয় খণ্ডে আলোচিত হয়েছেন পৌরাণিক ও তান্ত্রিক দেবীগণ এবং কয়েকজন লোকদেবতা।
  2. দেব-দেবী ও ঋষি বংশাবলী, শ্রীযুক্ত যোগেন্দ্রনাথ রায় জ্যোতিঃশাস্ত্রী, শ্রীসতীশচন্দ্র ঘোষ দ্বারা প্রকাশিত, কলকাতা: পৌরাণিক চরিত্রগুলো সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
  3. মহিষাসুরমর্দ্দিনী-দুর্গা: শাস্ত্রীয়, ঐতিহাসিক ও গবেষণামূলক আলোচনা, স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ, শ্রীরামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠ, কলকাতা: হিন্দুধর্মের অন্যতম প্রধানা দেবী দুর্গা-বিষয়ে সুবিস্তারিত আলোচনা এই গ্রন্থে পাওয়া যাবে।
শিব ও শিবলিঙ্গ-সংক্রান্ত বই
  1. বিবর্তনের ধারায় শিব ও শিবলিঙ্গ, অশোক রায়, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলকাতা
  2. ওঁ নমঃ শিবায়, স্বামী যুক্তানন্দ, ভারত সেবাশ্রম সংঘ, কলকাতা
বিষ্ণু-বিষয়ক বই
  1. শালগ্রাম শিলার সন্ধানে, অশোক রায়, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলকাতা

ধর্মীয় ব্যাক্তিত্বের জীবনী[সম্পাদনা]

  1. সিদ্ধজীবনী - শ্রীমদ্ ব্রহ্মানন্দ ভারতী, প্রকাশক: শ্রীদিগিন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায় চক্রবর্ত্তী ২৪বি যতিন্দ্রমোহন এভিনিউ, কলকাতা: শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর জীবনী
  2. দয়ানন্দচরিত - শ্রীদেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, বাবু মন্মথ নাথ চ্যটার্জি, ১৮৯৮।: স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর জীবনী।

শাস্ত্র আলোচনা-সংক্রান্ত[সম্পাদনা]

  1. বেদের পরিচয় - যোগীরাজ বসু, প্রকাশক: ফার্মা কে. এল. মুখোপাধ্যায়, কলকাতা। [বৈদিক শাস্ত্র, চার বেদ, শাখা, পঠন বিধি, ষড় বেদাঙ্গ, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক, উপনিষদ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা রয়েছে।]
  2. হিন্দুশাস্ত্র - শ্রীবিপিনবিহারী ঘোষাল, প্রকাশক: সংস্কৃত প্রেস ডিপজিটারি, কলকাতা। [বৈদিক শাস্ত্রের উপর তাত্ত্বিক আলোচনা। জ্ঞানকাণ্ড, কর্মকাণ্ড ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা রয়েছে।]
  3. বেদের আলোচনা - স্বামী সমর্পনানন্দ, রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয, ভারতের আধ্যাত্মিক ঐতহ্য, বেলুড় মঠ, অনুবাদক: অমিত রায় চৌধুরী।
  4. তুলনামূলক আলোচনায় রামায়ণ ও মহাভারত - ড. বিবেকানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়, সংস্কৃত বুক ডিপো, কলকাতা।
  5. হিন্দুশাস্ত্র পরিচয় - স্বামী অরুনানন্দ, প্রকাশক: স্বামী সারস্বতানন্দ ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ কলকাতা।

ধর্মীয় সম্প্রদায়-সংক্রান্ত[সম্পাদনা]

  1. ভারতবর্ষের উপাসক সম্প্রদায় ১ম ও ২য় ভাগ - শ্রী অক্ষয় কুমার দত্ত, নতুন সংস্কৃত, কলকাতা। [শৈব, শাক্ত, সৌর ও গাণপাত্য বিষয়ে ধারণা।]
  2. বাংলার বৈষ্ণব ধর্ম - পণ্ডিত প্রমথনাথ তর্কভূষণ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৩৯।