ঈশ্বরের নামে (ভাস্কর্য)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কেনিয়াতে ঈশ্বরের নামে

ঈশ্বরের নামে হল জেনস গ্যালশিয়ট দ্বারা নির্মিত কিছু ভাস্কর্যের একটি ধারাবাহিক, যেগুলি খ্রিস্টান চার্চের কঠোর যৌন শিক্ষার উপর একটি ভাষ্য হিসাবে উদ্দিষ্ট হয়েছে। তামার ওপর তৈরি ভাস্কর্যগুলিতে প্রমাণ আকারের একটি গর্ভবতী কিশোরীকে একটি বড় ক্রুশে ক্রুশবিদ্ধ অবস্থায় দেখানো হয়েছে।[১] এই ভাস্কর্যগুলি বিশেষ করে গর্ভনিরোধক এবং যৌন শিক্ষা সংক্রান্ত খ্রিস্টান চার্চের শিক্ষার বিরুদ্ধে এবং জর্জ ডব্লিউ বুশপোপ ষোড়শ বেনেডিক্টের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একটি প্রতিক্রিয়া।

কোপেনহেগেন[সম্পাদনা]

২০০৬ সালের ১লা ডিসেম্বর তারিখে, বিশ্ব এইডস দিবসের সময়, কোপেনহেগেনের ক্যাথিড্রালের সামনে "গর্ভবতী কিশোরী" সহ তামার তৈরি একটি ৫ মিটার উঁচু ক্রুশ স্থাপন করা হয়েছিল। গর্ভনিরোধ সংক্রান্ত চার্চের শিক্ষার প্রতিবাদ হিসেবে এটিই ছিল ভাস্কর্যটির প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রদর্শন।

নিকারাগুয়া[সম্পাদনা]

২০০৭ সালের মার্চ মাসে, মাতৃমৃত্যুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নিকারাগুয়ার মহিলা গোষ্ঠীগুলির দ্বারা পরিচালিত একটি প্রচারণার একটি মাইলফলক ছিল ঈশ্বরের নামে ভাস্কর্য। ২০০৭ সালের প্রথম তিন মাসে ৩৭ জন গর্ভবতী মহিলার মৃত্যু হয়েছিল, কারণ তাঁদের গর্ভপাত করতে দেওয়া হয়নি, এই ক্ষেত্রে প্রসবের সময় জীবনের হুমকি থাকা সত্ত্বেও। মায়েদের মৃত্যু হবার ফলে ৮০টি শিশু অনাথ হয়ে গিয়েছিল।

১৭ই মে সুপ্রিম কোর্টের সামনে এবং মোটরওয়েতে (একটি প্রধান রাস্তা যা বিশেষভাবে দীর্ঘ দূরত্বে দ্রুত ভ্রমণের জন্য তৈরি করা হয়েছে) সংবাদ সম্মেলন ও অবরোধের মাধ্যমে এই প্রচারণা শুরু হয়। ২০শে মে থেকে "গর্ভবতী কিশোরী" ভাস্কর্যটি প্রচারাভিযানের নজরকাড়া মূর্তি হিসাবে সারাদেশে তার সফর শুরু করে। এছাড়াও, ভাস্কর্যটির শত শত ছোট প্রতিরূপ সংসদ সদস্য, বিচার বিভাগের সদস্য এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার জন্য তৈরি হয়েছিল।[২]

নাইরোবি, কেনিয়ার বিশ্ব সামাজিক সম্মেলন[সম্পাদনা]

কেনিয়াতে ঈশ্বরের নামে

২০০৭ সালে, জেনস গ্যালশিয়ট ক্রুশবিদ্ধ কিশোরীর দুটি মূর্তি নাইরোবির বিশ্ব সামাজিক সম্মেলনে নিয়ে আসেন। অনাকাঙ্খিত বিতর্ক এড়াতে, এই মূর্তিগুলি কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।

বিশ্ব সামাজিক সম্মেলনের (ডব্লিউএসএফ) সময় ঈশ্বরের নামে ভাস্কর্যগুলি তিনটি কাজে জড়িত ছিল, সেগুলি হলো: [৩]

  1. এই সম্মেলনে উগান্ডা, কেনিয়া এবং অন্যান্য দেশের বেশ কয়েকজন শিল্পী, স্থানীয় এবং বৈশ্বিক সমস্যাগুলি তুলে ধরার জন্য থিয়েটার, পেইন্টিং এবং ভাস্কর্যের ব্যবহার সম্পর্কে কথা বলেছিলেন।
  2. ডব্লিউএসএফ-এর কেন্দ্রীয় সাইটে ঈশ্বরের নামে ভাস্কর্যের একটি প্রদর্শনী।
  3. উগান্ডা থেকে আইএটিএম ইন্টারন্যাশনালের (দুর্নীতি বিরোধী নাট্য আন্দোলন) সহযোগিতায়, ভাস্কর্যটির চারপাশে একটি নাট্যাভিনয় পরিবেশিত হয়েছে। থিয়েটার গোষ্ঠীটি যৌন অধিকার, গর্ভনিরোধক এবং এইডস নীতিতে ধর্মের হস্তক্ষেপ সম্পর্কিত একটি সংলাপে জনসাধারণকে জড়িত করার লক্ষ্যে ছিল।

এছাড়াও, বিশ্বব্যাপী স্থায়িত্বকে উন্নীত করার জন্য ডেনিশ ইকোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ইকো-নেট ডব্লিউএসএফ -এ দুটি ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট ভাস্কর্য (জেনস গালশিয়ট-এর আরেকটি সৃষ্টি) প্রদর্শন করেছে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. [১] Danish magazine interview
  2. http://www.fyens.dk/article/804500:Odense--Galschioets-gravide-teenager-i-Nicaragua danish newspaper about the happening in nicaragua
  3. http://www.aidoh.dk/?categoryID=201 Jens Galschøts official homepage with photos

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]