ইসরাফিল মাম্মাদভ
ইসরাফিল মাহারাম অগলু মামেদভ | |
---|---|
জন্ম | ৩০ মে ১৯১৯ ছাপারলি, শামখির, গনতন্ত্রী আজারবাইজান প্রজাতন্ত্র |
মৃত্যু | ১ মে ১৯৪৬ ইয়ালতা, ক্রাইমিন এএসএসআর, রাশিয়ান এসএফএসআর | (বয়স ২৬)
আনুগত্য | টেমপ্লেট:ইউএসএসআর |
সার্ভিস/ | লাল বাহিনী |
কার্যকাল | ১৯৩৯ – ৪৩ |
পদমর্যাদা | ল্যাফটেনেন্ট |
ইউনিট | ১৮০ তম রাইফেল বিভাগ |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | ২য় বিশ্বযুদ্ধ |
পুরস্কার | ![]() ![]() |
ইসরাফিল মহারাম ওলু মমেদভ ( বা মাম্মাদভ, আজারবাইজান: ইসরাফিল মররমাম ওঘলু মেমডভ, আজারে সিরালিক: ইসরাফিল মররম ওমুলু মাজম্মোভ, রাশিয়ান: ইসরাফিল মররম ওমলু মেমদভ; ৩০ মে, ১৯১৯ - ৫ মে, ১৯৪৬) ছিলেন একজন আজারি লাল বাহিনী লেফটেন্যান্ট এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন এর নায়ক। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময় সোভিয়েত ৪২ তম রাইফেল রেজিমেন্ট প্লাটুন এর সহকারী কমান্ডার ছিলেন। ১৯৪১ সালের ১১ ডিসেম্বারে তিনি আজারবাইজানের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়ন এর নায়ক হিসেবে ভূষিত হন। মেমদভকে ৭০ জন জার্মান সেনা ও তিনজন কর্মকর্তার হত্যার জন্য উক্ত উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
প্রাথমিক জীবন [সম্পাদনা]
মামেদভ ১৬ মার্চ ১৯১৯ সালে চপারলী অঞ্চলে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কিরওয়াবাদ শিল্পকলা কলেজ থেকে স্নাতক লাভ করেন। তিনি একটি টেক্সটাইল মিলে কাজ করেন। মামেদভ ১৯৩৯ সালে লাল বাহিনী (রেড আর্মি) এর জন্য স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেন।[১][২]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ [সম্পাদনা]
মামেদভ সিনিয়র সার্জেন্টের পদে নিযুক্ত হন এবং ১৮০ তম রাইফেল বিভাগের ৪২ তম রাইফেল রেজিমেন্ট এর সহকারী পল্টন নেতা হিসাবে উত্তর পশ্চিম ফ্রন্টে অনেক সামরিক অভিযানে লড়াই করেন। তিনি ১৯৪১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। মামেদভ নভগরোদের যুদ্ধে নিজে যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি নভোযরোড ওব্লাস্ট এর পস্টিনকা বন্দোবস্তের কাছাকাছি কমান্ড পোস্ট করেন এবং কমিউনিকেশন লাইনের রক্ষায় ২০ জন সৈন্যকে নেতৃত্ব দেন। তার সৈন্যদের প্রধান সোভিয়েত বাহিনী থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সোভিয়েত বাহিনী দুর্বল হয়ে পড়েছে এই ভেবে জার্মানরা গোলা বারুদ প্রস্তুতি করার পরে একটি নতুন আক্রমণ শুরু করে। তাদের কৌশল বুঝতে, মামেদভ তার সৈন্যদের শত্রু পক্ষের ১০ থেকে ১৫ মিটারের মধ্যে আগুন ধরানোর আদেশ দেন। তিনজন জার্মান আক্রমণের পর, তিনি বায়োনেট দিয়ে একটি পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন।জার্মানরা এই যুদ্ধে তাদের ৩০০ সৈন্য হারায় এবং পিছু হটে যায়। মামেদভ ব্যক্তিগতভাবে তিনজন কর্মকর্তা সহ প্রায় ৭০ জন শত্রু সৈন্য হত্যা করেন। তার এই দুঃসাহসিক কাজের জন্য, ১১ ই ডিসেম্বর, ১৯৪১ এ পাভেল কুরুচিন থেকে মমিভোভকে সোভিয়েত ইউনিয়নের নায়ক উপাধিতে এবং অর্ডার অফ লেনিন এ ভূষিত করা হয়। তিনি প্রথম আজারবাইজানি হিসেবে উক্ত শিরোনামে ভূষিত হন।
যুদ্ধোত্তর সময় [সম্পাদনা]
১৯৪৪ সালে, মামেদভ অবসর নেন। তিনি কিরভাবাদে বসবাস করতেন, সেখানে আজারবাইজান কোমসমোল সেন্ট্রাল কমিটিতে কাজ করতেন। ১৯৪৬ সালের ১ মে ইউলাতের একটি সামরিক হাসপাতালে তিনি মারা যান এবং কেরোভাবাদে তাকে সমাহিত করা হয়।
ব্যক্তিগত জীবন [সম্পাদনা]
মাহমুদভ ইয়েভডকোভিয়া ইয়াভোভনা কে বিয়ে করেন এবং তার দুই কন্যা ছিলঃ গালিনা ও সাভেতলানা।
উত্তরাধিকার[সম্পাদনা]
গাঞ্জাতে মামেদভের নামে একটি সড়কের নামকরণ করা হয় এবং সেখানে তার একটি স্মৃতিস্তুম্ভ এবং জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়। গাঞ্জাতে একটি বিদ্যালয় এবং ছাপারলিতে একটি বিদ্যালয়েরও নামকরণ করা হয় তার নামে।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ টেমপ্লেট:Ruheroes
- ↑ Shkadov, Ivan, সম্পাদক (১৯৮৮)। Герои Советского Союза: Краткий биографический словарь [Heroes of the Soviet Union: A Brief Biographical Dictionary] (Russian ভাষায়)। 2 Lyubov-Yashchuk। Moscow: Voenizdat। পৃষ্ঠা 31। আইএসবিএন 5203005362।
- (রুশ)
Легендарные герои-комсомольцы. Вып. V и VI, 1973.