ইসমাইল ইবনে উসমান
ইসমাইল | |
---|---|
(আরবি): اسماعيل | |
জন্ম | ইসমাইল ইবনে উছমান ৭০০ হিজরী / ১৩০০ খ্রিষ্টাব্দ |
মৃত্যু | ৭১৪ হিজরী / ১৩১৪ খ্রীষ্টাব্দ মিসর |
সমাধি | কায়রো, মিসর |
অন্যান্য নাম | রাশিদুদ্দীন আদ-দিমাশকী |
সন্তান | শায়খ ইউসুফ আল-কুরাইশী |
ইসমাইল ইবনে উছমান (আরবি: اسماعيل بن عثمان) ইবনে আবদুল কারীম আল-কুরাইশী, রাশিদুদ্দীন আদ-দিমাশকী ইবনুল মুআল্লিম নামে পরিচিত। তিনি অসাধারণ মেধা ও কৃতিত্বের জন্য বিপুল যশ ও সম্মান অর্জন করেছেন। হাদীস, তাফসীর, ফিকহ, উসূল, কালাম, ন্যায়শাস্ত্র, দর্শন এবং আরবি ভাষা ও সাহিত্যের একজন বিশেষজ্ঞ ইমাম হিসাবে তিনি সুখ্যাত ছিলেন।
জন্ম
[সম্পাদনা]তিনি ৬২৩ হিজরী মোতাবেক ১২২৬ সনে জন্মগ্রহণ করেন।
শিক্ষালাভ
[সম্পাদনা]তিনি দামিশকের খ্যাতনামা আলিমদের নিকট তিনি বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষালাভ করেন। বাল্যকালে ফিকহশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন শায়খ জামালুদ্দীন আল-হুসায়নীর কাছে। ইমামুল কুবরা আলী ইবনে মুহাম্মদ আল-হামদানী আস-সাখাবীর নিকট তাজবীদসহ কুরআন কারীমের সাত কেরাত গভীরভঅবে অধ্যয়ন করেন। এতদ্ব্যতীত তিনি ফিকহশাস্ত্র এবং আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিশেষভাবে ইবনুস যুবায়দীর কাছে অধ্যয়ন কনের।
কায়রো গমন
[সম্পাদনা]৭০০ হিজরী বা ১৩০০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কায়রো গমন করেন এবং অবশিষ্ট জীবন এইখানেই অতিবাহিত করেন।
কর্ম জীবন
[সম্পাদনা]অধ্যাপনা ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ফাতওয়া দান ছিল তার প্রধান কাজ।
ছাত্র
[সম্পাদনা]তার অসংখ্য শাগরিদের মধ্যে তার পুত্র শায়খ ইউসুফ আল-কুরাইশী, তাকিউদ্দীন ও শায়খ ইবনে হাবিব বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
প্রশংসা
[সম্পাদনা]আল্লামা যাহাবী ও আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতী তার বিদ্যাবত্তা ও নিরাসক্ত সহজ সরল জীবন যাপনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মৃত্যু
[সম্পাদনা]৭১৪ হিজরী মোতাবেক ১৩১৪ খ্রীষ্টাব্দে ৯১ বৎসর বয়সে ইনতিকাল করেন। ইনতিকালের দুই বৎসর পূর্বে তার স্মৃতিবিভ্রম ঘটে ছিল। [১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ বিশ্বকোষ, ইসলামী। ইসমাইল ইবনে উসমান (পিডিএফ)। ইসলামিক ফাউন্ডেশন। পৃষ্ঠা ৪৬৯। সংগ্রহের তারিখ ১০-০৫-২০২০। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)