বিষয়বস্তুতে চলুন

ইসমাইল ইবনে উসমান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইসমাইল
(আরবি): اسماعيل
জন্ম
ইসমাইল ইবনে উছমান

৭০০ হিজরী / ১৩০০ খ্রিষ্টাব্দ
মৃত্যু৭১৪ হিজরী / ১৩১৪ খ্রীষ্টাব্দ
মিসর
সমাধিকায়রো, মিসর
অন্যান্য নামরাশিদুদ্দীন আদ-দিমাশকী
সন্তানশায়খ ইউসুফ আল-কুরাইশী

ইসমাইল ইবনে উছমান (আরবি: اسماعيل بن عثمان) ইবনে আবদুল কারীম আল-কুরাইশী, রাশিদুদ্দীন আদ-দিমাশকী ইবনুল মুআল্লিম নামে পরিচিত। তিনি অসাধারণ মেধা ও কৃতিত্বের জন্য বিপুল যশ ও সম্মান অর্জন করেছেন। হাদীস, তাফসীর, ফিকহ, উসূল, কালাম, ন্যায়শাস্ত্র, দর্শন এবং আরবি ভাষা ও সাহিত্যের একজন বিশেষজ্ঞ ইমাম হিসাবে তিনি সুখ্যাত ছিলেন।

তিনি ৬২৩ হিজরী মোতাবেক ১২২৬ সনে জন্মগ্রহণ করেন।

শিক্ষালাভ

[সম্পাদনা]

তিনি দামিশকের খ্যাতনামা আলিমদের নিকট তিনি বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষালাভ করেন। বাল্যকালে ফিকহশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন শায়খ জামালুদ্দীন আল-হুসায়নীর কাছে। ইমামুল কুবরা আলী ইবনে মুহাম্মদ আল-হামদানী আস-সাখাবীর নিকট তাজবীদসহ কুরআন কারীমের সাত কেরাত গভীরভঅবে অধ্যয়ন করেন। এতদ্ব্যতীত তিনি ফিকহশাস্ত্র এবং আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিশেষভাবে ইবনুস যুবায়দীর কাছে অধ্যয়ন কনের।

কায়রো গমন

[সম্পাদনা]

৭০০ হিজরী বা ১৩০০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কায়রো গমন করেন এবং অবশিষ্ট জীবন এইখানেই অতিবাহিত করেন।

কর্ম জীবন

[সম্পাদনা]

অধ্যাপনা ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ফাতওয়া দান ছিল তার প্রধান কাজ।

ছাত্র

[সম্পাদনা]

তার অসংখ্য শাগরিদের মধ্যে তার পুত্র শায়খ ইউসুফ আল-কুরাইশী, তাকিউদ্দীন ও শায়খ ইবনে হাবিব বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

প্রশংসা

[সম্পাদনা]

আল্লামা যাহাবী ও আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতী তার বিদ্যাবত্তা ও নিরাসক্ত সহজ সরল জীবন যাপনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

৭১৪ হিজরী মোতাবেক ১৩১৪ খ্রীষ্টাব্দে ৯১ বৎসর বয়সে ইনতিকাল করেন। ইনতিকালের দুই বৎসর পূর্বে তার স্মৃতিবিভ্রম ঘটে ছিল। []

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. বিশ্বকোষ, ইসলামী। ইসমাইল ইবনে উসমান (পিডিএফ)। ইসলামিক ফাউন্ডেশন। পৃষ্ঠা ৪৬৯। সংগ্রহের তারিখ ১০-০৫-২০২০  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)