ইব্রাহীম শাহ শরকী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইব্রাহীম শাহ
সুলতান শামসুদ্দীন
জৌনপুরের তেসরা সুলতান
রাজত্ব১৪০১ – ১৪৪০
পূর্বসূরিমালিক কর্ণফুল
উত্তরসূরিমাহমূদ শাহ শরকী
বংশধরমাহমূদ শাহ শরকী

শমসুদ্দীন ইব্রাহীম শাহ শরকী ছিলেন জৌনপুর সলতনতের তেসরা সুলতান, ১৪০১ থেকে ১৪৪০ খ্রীষ্টাব্দে তাঁর ইন্তেকাল পর্যন্ত হুকুমৎ করেছিলেন।[note ১]

প্রারম্ভিক হায়াৎ এবং পটভূমি[সম্পাদনা]

জৌনপুর সলতনত কায়েমকারী সুলতান মালিক সরওয়ার মালিক কর্ণফুল ও ইব্রাহিম ভাইদ্বয়কে দত্তক নিয়েছিলেন। মালিক কর্ণফুল ১৩৯৯ খ্রীষ্টাব্দে মুবারক শাহ খেতাব কবূল করে মালিক সরওয়ারের স্থলাভিষিক্ত হন। ১৪০১ খ্রীষ্টাব্দে মুবারক শাহের মৃত্যুর পর, তার ছোট ভাই ইব্রাহীম শমসুদ্দীন ইব্রাহীম শাহ খেতাব কবূল করে সুলতান হন। [১] [২]

হুকুমৎ[সম্পাদনা]

সালামৎ[সম্পাদনা]

উজ্জৈনের ঘটনার বাদে ইব্রাহীম প্রায় দশ সাল সালামৎ উপভোগ করেন। এই সময়কালে, শিল্প ও ইমারতের বিকাশ ঘটে এবং হিন্দুস্থানের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি পারস্য থেকে অনেক ওলামা জৌনপুরে চলে আসেন। চাহার উংলি মসজিদ এবং ঝনঝরী মসজিদ এই সময়ে নির্মিত হয়েছিল।

মাহমূদাবাদ[সম্পাদনা]

১৪৩৩ সালে, ইব্রাহীম শাহ মাহমূদাবাদের দিকে অগ্রসর হন এবং তিন মাস শহর অবরোধ করেন। মালওয়ার হুশং শাহ এই অবস্থা জানতে পেরে মাহমূদাবাদের দিকে অগ্রসর হন। ইব্রাহীম অবরোধ তুলে যমুনা নদী পার হয়ে শহরের অপর পারে শিবির কায়েম করেন। ততক্ষণে হুশং শাহ শহরে দাখিল হয়ে জলাল খানকে তখতে বসিয়েছে। ইব্রাহীম শাহ জৌনপুরে ফিরে আসেন। [৩]

অনেক মাহমূদাবাদী মুরব্বীরা, জলাল খার হুকুমতে গোসসা, ইব্রাহীম শার মদদ চাইতে জৌনপুরে আসেন। ইব্রাহীম শাহ আবার মাহমূদাবাদের দিকে অগ্রসর হন এবং আবার হুশং শাহও অগ্রসর হন এবং জালাল খানের সাথে যোগ দেন। জৌনপুর এবং মালওয়ার ফৌজদ্বয় একটি বেফয়সালা জঙ্গে লিপ্ত হয়েছিল, মালবীদের ক্ষতি সামান্য বেশি ছিল। দারাজ জঙ্গ এড়াতে হুশং শাহ জালাল খানকে মাহমূদাবাদের মাঝে রেখে চলে যান এবং ইব্রাহীম শাহ অবরোধ করেন। জালাল খান নিকটবর্তী একটি শহরে পালিয়ে যান এবং ইব্রাহীম শাহ জগীর খানকে তখতে বসিয়ে মাহমূদাবাদ শহর দখল করেন। জগীর বাদে তার ভাইয়ের পক্ষে ত্যাগ করেন এবং ইব্রাহীম শাহ অবশেষে জলালকে তখতে বসান। [৪]

দিল্লী[সম্পাদনা]

১৪৩৭ খ্রীষ্টাব্দে, দিল্লির সুলতান মহম্মদ শার কমজোর হালতে মওকা নিয়ে তিনি দিল্লি সলতনতের বিশাল অংশ দখল করেন এবং দিল্লি অবরোধ করেন। মহম্মদ শাহ সালামৎ কামনা করেন এবং একটি বৈবাহিক জোটের সুপারিশ দেন এবং তার সাহেবজাদী বিবি রাজী সুলতান ইব্রাহীম শার সাহেবজাদা মাহমূদ খাঁর সাথে শাদী বন্ধনে আবদ্ধ হন।[৫]

মন্তব্য[সম্পাদনা]

  1. নিজামউদ্দীন আহমদ তার ইন্তেকাল তারিখ ১৪৩৬ বলে বাখান করেছেন। যাইহোক, সংখ্যাতাত্ত্বিক দলীল ১৪৪০ এর দিকে ইশারা করে। (Saeed 1972)


তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Saeed 1972, পৃ. 20, 36–41।
  2. Haig 1928, পৃ. 251।
  3. Saeed 1972, পৃ. 57–58।
  4. Saeed 1972, পৃ. 58–59।
  5. Saeed 1972, পৃ. 60।

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Jaunpur Sultanate navbox