আহসান সেলিম হায়াত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আহসান সেলিম হায়াত
জন্ম (1948-01-10) ১০ জানুয়ারি ১৯৪৮ (বয়স ৭৬)
সারগোদা, পাঞ্জাব, পাকিস্তান
আনুগত্য পাকিস্তান
সেবা/শাখা পাকিস্তান সেনাবাহিনী
কার্যকাল১৯৬৮-২০০৭
পদমর্যাদা জেনারেল
সার্ভিস নম্বরপিএ - ৯৫৭২
ইউনিটসাঁজোয়া শাখা
নেতৃত্বসমূহউপসেনাপ্রধান (পাকিস্তান)
৫ম কোর অধিনায়ক (করাচী)
সেনাসদরে হামলা পরিকল্পনা পরিদপ্তরের মহাপরিচালক
জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রশিক্ষক
সেনাসদরে কোয়ার্টারমাস্টার জেনারেল
যুদ্ধ/সংগ্রামভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৭১
২০০১-২০০২ ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের অবনতি
উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে যুদ্ধ
পুরস্কার নিশান-ই-ইমতিয়াজ (সামরিক)
হিলাল-ই-ইমতিয়াজ (সামরিক)

আহসান সেলিম হায়াত (জন্মঃ ১০ জানুয়ারী ১৯৪৮) পাকিস্তানের একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল যিনি পাকিস্তানের উপসৈন্যবাহিনীপ্রধান ছিলেন ২০০৪ থেকে ২০০৭ এ অবসর গ্রহণ পর্যন্ত। এর আগে তিনি ৫ম কোরের অধিনায়ক ছিলেন এবং ইসলামাবাদে অবস্থিত 'জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়'-এর অধ্যাপক ছিলেন।

সেনাজীবন[সম্পাদনা]

সেলিম সামরিক পরিবারে জন্ম নেন। তিনি তার মাতা-পিতার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাকিস্তান বিমান বাহিনী পরিচালিত পাঞ্জাব প্রদেশের পাবিবা উচ্চ বিদ্যালয়ে (পিএএফ হাই স্কুল) লেখাপড়া করেন।[১] স্কুল শেষে তিনি ১১তম যুদ্ধ কোর্সে পাকিস্তান সামরিক একাডেমীতে যোগ দেন। তাকে পাকিস্তান সৈন্যবাহিনীর সাঁজোয়া শাখায় কমিশন দেওয়া হয় ১৯৬৮ সালে এবং তিনি 'ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৭১' চলাকালে পশ্চিম পাকিস্তানে কর্মরত ছিলেন। ব্রিগেডিয়ার হিসেবে তিনি ৩য় স্বতন্ত্র সাঁজোয়া ব্রিগেডের অধিনায়ক ছিলেন ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত, ব্রিগেডটি ছিল লাহোরে। '৯৩ সালে তিনি বদলী হন সেনা স্টাফ কলেজ (কোয়েটা) এ, ওখানে তার নিয়োগ ছিল উপপ্রধান কর্মকর্তা এবং প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে। তিনি সেনাপ্রধানের সচিবালয়ে সামরিক হামলা পরিকল্পনা পরিদপ্তরের পরিচালক ছিলেন। ২০০০ এর ডিসেম্বর মাসে লেফটেন্যান্ট-জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার আগে সেলিম ইসলামাবাদের 'জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়' এর অধীনস্থ সেনা যুদ্ধ মহাবিদ্যালয়ের প্রধান প্রশিক্ষক ছিলেন।[২]

হত্যা চেষ্টা[সম্পাদনা]

উপসেনাপ্রধান হওয়ার আগে সেলিম করাচীর ৫ কোরের অধিনায়ক ছিলেন। এই ৫ম কোরের দায়িত্ব শুধু করাচী শহরেই নয় পুরো সিন্ধু প্রদেশে ন্যাস্ত (করাচী সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী)। কোরটির অধিনায়ক থাকাকালীন সময়ে জেনারেল সেলিমের গাড়ি একদিন জঙ্গী সংগঠন 'জুন্দাল্লাহ' এর সদস্যদের হামলার কবলে পড়ে। তার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ১১ সৈন্য নিহত হয়, কিন্তু তিনি বেঁচে যান।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "'PAF Public School Sargodha Alumni'"। ৬ মার্চ ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৮ 
  2. "Chief Instructors Gallery" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে National Defence University, Islamabad accessed 6 October 2009
  3. 'Appointment of new CJCSC and VCOAS'