আসামে মদপানে বিষক্রিয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের আসাম রাজ্যে বিষাক্ত মদপানে গোলাঘাট ও জোড়হাট জেলায় অন্তত ১৬৮ জন মারা যায়।

বর্ণনা[সম্পাদনা]

আসামের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে গোলাঘাট জেলার সালমারা চা-বাগানে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শুরু হয় বিষাক্ত মদপানে মৃত্যুর মিছিল। হতাহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই চা-বাগানের শ্রমিক। বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত লোকেরা প্রচন্ড বমি করছিল, তারা বলছিল যে তাদের বুকে তীব্র ব্যথা হচ্ছে এবং শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে তৈরি এই মদের বিষক্রিয়ার কারণ জানতে পুলিশ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠায়।[১]

প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া যায় ভুক্তভোগীরা যে মদ পান করেছেন, তাতে মিথানল (মিথাইল অ্যালকোহল) পরিমান বেশি ছিল। বেশি পরিমাণে মিথানল পান করলে মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়৷ এই ঘটনায় একটি স্থানীয় মদ তৈরির কারখানার মালিকসহ মদ প্রস্তুতের সঙ্গে যুক্ত ১১ জনকে আটক করা হয়েছে৷

ভারতের সরকারি হিসেবে অবৈধভাবে প্রস্তুতকৃত মদ পান করে বছরে গড়ে এক হাজার মানুষ মারা যায়৷ খুবই নিম্নমানের এই মদে শিল্পে উৎপাদনে ব্যবহৃত অ্যালকোহল ও বিষাক্ত পদার্থ মেশানো হয়৷[২] ১৯৯২ সালে ওড়িশা রাজ্যে এমন এক ঘটনায় দু'শ জন মারা যান৷ ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে মারা যান ১৮০ জন৷

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "আসামে মদে বিষক্রিয়ায় মৃত বেড়ে ৮২"দৈনিক প্রথম আলো। ১ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১৯ 
  2. "ভারতের আসাম রাজ্যে বিষাক্ত মদ খেয়ে এত লোক মারা গেল কীভাবে?"বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১৯