আল ইসলাহ পার্টি (ইয়েমেন)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ইয়েমেনি কনগ্রেগেশন ফর রিফর্ম (ইয়েমেনি সংস্কারপন্থী দল), বা ইয়েমেনের ইসলাহ পার্টি (التجمع اليمني للإصلاح, প্রায়শই আল-ইসলাহ নামে পরিচিত) হলো মধ্যপ্রাচ্যে ইয়েমেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। এই দলটি ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইয়েমেনের শীর্ষ সুন্নি মুসলিম ধর্মীয় নেতা শায়খ আব্দুল মাজিদ আল জিন্দানী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[১] এ দলটি ইয়েমেনের সুন্নি মুসলিমদের অন্যতম বৃহৎ প্লাটফর্ম।

ইসলাহ পার্টির লোগো ও পতাকা

ইয়েমেনের হুথি শিয়ারা,হিযবুল হক,দক্ষিনপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনসমূহ,তাকফিরী ওয়াহাবি নজদী ও অনেক মাদখালী সালাফিরা এ দল এর প্রচন্ড বিরোধিতা করে।

এটি নিজেকে "একটি জনপ্রিয় রাজনৈতিক সংগঠন যা ইসলামী নীতি ও শিক্ষার ভিত্তিতে জীবনের সকল দিকের সংস্কার চায়" হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে।[২]

এটির উৎপত্তি ইসলামিক ফ্রন্ট থেকে। এটি স্নায়ুযুদ্ধের সময় মার্কসবাদী ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সৌদি আরব সমর্থিত একটি মুসলিম ব্রাদারহুডের সহযোগী মিলিশিয়া।[৩] ১৯৯০ সালে ইয়েমেনের একীভূত হওয়ার পর ইসলাহ পার্টির ব্যানারে সৌদি আরবের যথেষ্ট আর্থিক সহায়তায় ইসলামিক ফ্রন্ট পুনরায় সংগঠিত হয়।[৪]

ইসলাহ অন্যান্য ইসলামপন্থী দলগুলোর চেয়ে আলাদা, কারণ এটি একটি রাজনৈতিক দলের চেয়ে মুসলিম ব্রাদারহুডের ইয়েমেনি শাখা বলে বেশি বিবেচিত হয়, যেটিকে সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন, আরব আমিরাত, রাশিয়া ও সিরিয়া একটি সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করে।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "قيادي بالإصلاح: صنعاء لم تسقط بل سُلمت للحوثيين"الجزيرة نت (আরবি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-২০ 
  2. Day, Stephen W. (২০১২)। Regionalism and rebellion in Yemen: a troubled national union। Cambridge Middle East studies। Cambridge New York Melbourne, Madrid Cape Town Singapore Saõ Paulo Delhi Mexico City: Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-1-107-60659-3 
  3. "Yemeni Sheikh al-Zindani's New Role as a Healer"Jamestown (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-২০ 
  4. Tayler, Letta (২০১১-০৯-২৬)। "Yemen's Hijacked Revolution"Foreign Affairs (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0015-7120। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-২০ 
  5. "Egypt's Muslim Brotherhood declared 'terrorist group'"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-১২-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-২০