আল আলম প্রাসাদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আল আলম প্রাসাদ 

আল আলম প্রাসাদ হলো ওমানের সুলতান কাবুসের আনুষ্ঠানিক প্রাসাদ, ওমানের শহর পুরাতন মাস্কাটে এটি অবস্থিত। বর্তমান সুলতানের রাজকীয় বাসভবন গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

আরবি ভাষায় "আল আলম" শব্দের অর্থ বাঙলায় "পতাকা"।[১] ওমানের ক্ষমতাসীন রাজার ছয়টি রাজকীয় বাসস্থানের মধ্যে  এই প্রাসাদ একটি।[২] এই প্রাসাদের ইতিহাস প্রায় ২০০ বছরের পুরনো। এটি নির্মাণ করেন বর্তমান সুলতানের সপ্তম পূর্বপুরুষ ইমাম সুলতান বিন আহমেদ। অট্টালিকার সদরের বহির্ভাগ স্বর্ণ ও নীল পাথর দিয়ে তৈরি। ১৯৭২ সালে রাজকীয় বাসস্থানের জন্য এই প্রাসাদ পুনর্নির্মিত করা হয়। পুরাতন স্থাপত্যে আধুনিক সাজসজ্জা ও সুবিধা যুক্ত করা হয়।[৩] এই প্রাসাদে সবাই প্রবেশ করতে পারে না। প্রাসাদের ভেতরে যাওয়ার সীমাবদ্ধতা আছে। তবে দর্শকরা এর সদর দরজার কাছাকাছি পর্যন্ত যেতে পারেন। তারা চাইলে সেখানে ছবিও তুলতে পারেন।[৪]  আল আলম প্রাসাদের চারিদিকে দুইটি দুর্গ আছে। একটি দুর্গের নাম মিরানি ও অন্যু দুর্গের নাম জালালি দূর্গ। দুর্গ দুইটি ১৬ শতকে পর্তুগিজরা তৈরি করেছিলো।[৫][৬]

এই প্রাসাদ সরকারী কার্যাবলী সম্পাদন ও সুলতানের বাসভবনের জন্য ব্যবহার করা হয়। এছাড়া বিশেষ অতিথিদের জন্যেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ২০১২ সালের জানুয়ারী মাসে নেদারল্যান্ডের রানী ওমানে তার রাষ্ট্রীয় সফরে এসেছিলেন। তখন তাকে এই প্রাসাদের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো।[৭] এছাড়া বিভিন্ন রাজকীয় অনুষ্ঠান পালনের জন্য এই প্রাসাদ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

স্থাপত্য[সম্পাদনা]

এই ওমানের অতীত সমৃদ্ধি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। এর সৌন্দর্য্য পর্যটকদের মুগদ্ধ করে। লেখক পিটার জে ওশ আল আলম প্রাসাদের সৌন্দর্য্য বর্ণ্না করে লিখেছেন, "যখন আপনি আল আলম প্রাসাদের প্রধান দরজায্র কাছাকাছি যাবেন, তখন দেখে মনে হবে এর আগে আপনি যত রাজধানী শহর ভ্রমণ করেছেন, এটি তার চেয়ে ব্যতিক্রম। আপনি এর আগে এমন জায়গা ভ্রমণ করেন নি। এই প্রাসাদ নিজেই মার্জিত, কিন্তু নিচু ডিজাইন থেকে ভিন্ন। অন্য রাজধানীর মত সুবিশাল কাঠামো নেই, তবে খুব সুন্দর।"।[৮] প্রাসাদে অত্যন্ত পালিশ মার্বেল দিয়ে উপরিভাগ তৈরি করা হয়েছে। এখানে প্রথাগত ওমানী বারান্দা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি একটি আনুষ্ঠানিক প্রাসাদ, তবে এখানে অতিথিদের জন্য ভবন রয়েছে, এর সাথে আছে একটি জলাশয় ও দেয়াল ঘেরা সুন্দর বাগান। প্রাসাদের মূল ভবনে ওমানের জাতীয় পতাকা উড়ানো হয়।[৯]

গ্যালারি[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Moosa, Matti (১৯৯৭)। The Origins of Modern Arabic Fiction। Lynne Rienner Publishers। পৃষ্ঠা 297। আইএসবিএন 978-0-89410-684-2 
  2. Thomas, Gavin (১৭ অক্টোবর ২০১৩)। The Rough Guide to Oman। Rough Guides Limited। পৃষ্ঠা 75। আইএসবিএন 978-1-4093-5065-1 
  3. Enchanting Oman by S Kay published by Motivate Publishing 1988, p. 27
  4. Walker, Jenny; Ham, Anthony (১ আগস্ট ২০১৬)। Lonely Planet Oman, UAE & Arabian Peninsula। Lonely Planet। পৃষ্ঠা 313। আইএসবিএন 978-1-78657-305-6 
  5. Darke, Diana (১৪ নভেম্বর ২০১৩)। Oman। Bradt Travel Guides। পৃষ্ঠা 100। আইএসবিএন 978-1-84162-471-6 
  6. Ricasa, Lourdes Odette Aquitania (২৮ ডিসেম্বর ২০১০)। Running With Echoes of Desire। Author House। পৃষ্ঠা 440। আইএসবিএন 978-1-4567-0062-1 
  7. Oman News Agency (১১ জানুয়ারি ২০১২)। "His Majesty receives Netherlands Queen in Oman"। Times of Oman। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  8. Ochs, Peter J. (১ নভেম্বর ১৯৯৯)। Maverick Guide to Oman। Pelican Publishing। পৃষ্ঠা 212। আইএসবিএন 978-1-56554-687-5 
  9. Mckenna, Lindsay; Lovelace, Merline (২ জুন ২০১৫)। Course of Action: Crossfire: Hidden Heart Desert Heat। Harlequin। পৃষ্ঠা 225। আইএসবিএন 978-0-373-27923-4