আল-মনসুর মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ৬°০৮′৪৬.৫″ দক্ষিণ ১০৬°৪৮′২২.৮″ পূর্ব / ৬.১৪৬২৫০° দক্ষিণ ১০৬.৮০৬৩৩৩° পূর্ব / -6.146250; 106.806333
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আল-মনসুর মসজিদ
মসজিদ জামি আল মনসুর
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিসুন্নি ইসলাম
অবস্থান
অবস্থানজেম্বাতান লিমা, তামবোরা, পশ্চিম জাকার্তা, জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া
আল-মনসুর মসজিদ ইন্দোনেশিয়া-এ অবস্থিত
আল-মনসুর মসজিদ
ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে প্রদর্শিত
স্থানাঙ্ক৬°০৮′৪৬.৫″ দক্ষিণ ১০৬°৪৮′২২.৮″ পূর্ব / ৬.১৪৬২৫০° দক্ষিণ ১০৬.৮০৬৩৩৩° পূর্ব / -6.146250; 106.806333
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
প্রতিষ্ঠাতারাদেন আবদুল মালিক
প্রতিষ্ঠার তারিখ১৭১৭

আল-মনসুর মসজিদ (ইন্দোনেশীয়: মসজিদ জামি আল মনসুর) হলো ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার প্রাচীনতম মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। মসজিদটি তামবোরার জেম্বাতান লিমায় অবস্থিত। এটি জাকার্তার তালিকাভুক্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম।[১] মসজিদটির নামকরণ করা হয় খ. মোহাম্মদ মনসুর এর নামে, যিনি 'গুরু মনসুর' নামে পরিচিত এবং ডাচ ঔপনিবেশিক নিয়মের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য পরিচিত ব্যক্তিত্ব।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

রাদেন আব্দুল মালিক, যাকে 'প্রিন্স চক্রজয়া আদিনিংগ্রাত'ও বলা হয়, তিনি ১৮ শতকে (১৭১৭ খ্রিস্টাব্দ) উপাসনার উদ্দেশ্যে এবং আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক মানসিক শিক্ষা প্রদানের জন্য এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। পূর্বে এর নাম ছিল 'জামি কাম্পুং সাওয়াহ'। খ. মোহাম্মদ মনসুর এর নেতৃত্বে ডাচ ও জাপানিদের বিরুদ্ধে ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রামে এই মসজিদটির ভূমিকা রয়েছে। যখন জাতীয়তাবাদী বাহিনী এবং এনআইসিএ সৈন্যদের মধ্যে ১৯৪৭-১৯৪৮ সালে একটি বন্দুক-যুদ্ধ হয়, তখন মনসুর মসজিদের মিনারগুলোতে একটি লাল-সাদা পতাকা স্থাপন করার চেষ্টা করেন, যা এখনো পুরাতন মসজিদটিতে দেখা যায়। মোহাম্মদ মনসুর ১৯৬৭ সালের ১২ই মে মারা যাওয়ার পর মসজিদটির নাম রাখা হয় 'মসজিদ জামি আল-মনসুর'। গভর্নরের ফরমান নং: সিবি. ১১/১/১২/৭২ (রাষ্ট্রীয় গেজেট নং: ৬০/১৯৭২) অনুসারে মসজিদটিকে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়।[২]

স্থাপত্য[সম্পাদনা]

মসজিদটির মূল হল (যা প্রাচীনতম ভবনও) এর দৈর্ঘ্য ১২ মিটার এবং প্রস্থ্য ১৪.৪০ মিটার (৩৯.৪ ফুট × ৪৭.২ ফুট)। স্ট্রাইকিং উপাদান দ্বারা চারটি শক্ত স্তম্ভ দেয়ার কারনে এর মাঝখানে নিরেট দেখায়। কলামগুলোর তলদেশ অষ্টভুজাকার এবং উপরে বাফার, বেল পেলেট আর সমতল। মাঝখানের প্রধান স্টেমটি গোলাকার এবং পাশাপাশি সীম দ্বারা সজ্জিত। উপরের অংশটি আয়তাকার এবং সীম দ্বারা সীমাবদ্ধ। ছাদের দিকে যাওয়ার দুটি সিঁড়িকে সহনক্ষম করার জন্য চারটি স্তম্ভের মধ্যে অর্ধ-উচ্চতায় কাঠের বিম রয়েছে। উপরের দিকে ৫৫ সেন্টিমিটার (২২ ইঞ্চি) চওড়া বিমের ডান ও বাম পাশে ৮০ সেন্টিমিটার (৩১ ইঞ্চি) ব্যাসের উঁচু বেড়া লাগানো হয়। এই বেড়ার নকশা রম্বস আকৃতির। এর গঠন এবং আকৃতি পশ্চিমা শৈলী সোকোগুরুর প্রতিলিপি। এই মসজিদের ছাদ লিমাসন আকারে আংশিকভাবে প্রসারিত করা। পুরনো মসজিদের সামনে একটি নতুন ঘরে নলাকার আকৃতির ১২ মিটার (৩৯ ফুট) উঁচু একটি টাওয়ার অবস্থিত। টাওয়ারের চতুর্থ এবং পঞ্চম অংশে লোহার বেড়ার একটি চত্বর রয়েছে। মিনারের ছাদ অর্ধবৃত্তাকার গম্বুজ।[৩]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Masjid Jami al-Mansyur, Kampung Sawah Lio - Jakarta"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-১২ 
  2. "Kisah Tuan Guru Mansur dan Masjid Berusia 300 Tahun di Jakarta Barat"Kumparan। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-১২ 
  3. "Masjid Al Mansyur: Aksi Nekat di Atas Menara"Kompasiana। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-১২