বিষয়বস্তুতে চলুন

আলী জুমা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডক্টর
শেখ
আলী জুমা
علي جمعة
২০০৪ সালে জুমা
মিশরের প্রধান মুফতি
কাজের মেয়াদ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ – ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩
রাষ্ট্রপতিহোসনি মুবারক
মোহামেদ হুসেইন তানতায়ুই (দায়িত্বাধীন)
মুহাম্মাদ মুরসি
পূর্বসূরীআহমাদ আল-তায়িব
উত্তরসূরীশওকি আল্লাম
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1952-03-03) ৩ মার্চ ১৯৫২ (বয়স ৭২)
বনী সুয়েফ, মিশর
জাতীয়তামিশরীয়
প্রাক্তন শিক্ষার্থীআল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় (বি.এ.) (এম.এ.) (পি. এইচ. ডি.)
আইন শামস বিশ্ববিদ্যালয় (বি. কম.)
লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয় (এইচ. ডি.)
পেশাইসলামি পণ্ডিত
ওয়েবসাইটdraligomaa.com

আলী জুমা (আরবি: علي جمعة, ইংরেজি: Ali Gomaa) হলেন একজন মিশরীয় ইসলামি পণ্ডিত, আইনজ্ঞ ও সাধারণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যিনি বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক অবস্থানের জন্য বিতর্কিত হয়েছেন। [] [] [] [] [] [] [] [] তিনি ইসলামি আইনি তত্ত্ব বিশেষজ্ঞ। তিনি ইসলামী আইনশাস্ত্রের শাফিঈ মাযহাব [] এবং আকিদার ক্ষেত্রে আশআরি ধর্মতাত্ত্বিক মাযহাব অনুসরণ করেন। [১০] [১১] তিনি একজন সুফিবাদী ইসলামি ব্যক্তিত্ব। [১২]

তিনি আহমেদ আল-তায়েবের উত্তরসূরি হিসেবে দার আল-ইফতা আল-মিসরিয়ার মাধ্যমে মিশরের অষ্টাদশ প্রধান মুফতি (২০০৩-২০১৩) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড ও [১৩] দ্য ন্যাশনাল [১৪] তাকে একজন সম্মানিত ইসলামি আইনবিদ হিসেবে বিবেচনা করেছে এবং দ্য নিউ ইয়র্কারের রিপোর্টে তাকে "উদারপন্থী ইসলামের ব্যাপকভাবে প্রচারিত একজন নেতা (বা ব্যক্তিত্ব)" হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। [১৫] যাইহোক, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পশ্চিমা পর্যবেক্ষকরা তাকে স্বৈরাচারী সরকারের সমর্থক হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে শাওকি ইব্রাহিম আবদেল-করিম আল্লাম গ্র্যান্ড মুফতি হিসাবে তার স্থলাভিষিক্ত হন।

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

আলী জুমা ১৯৫২ সালের ৩ মার্চ মিশরের বেনী সুয়েফ প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিবাহিত এবং তার ৭টি সন্তান রয়েছে।

শিক্ষা

[সম্পাদনা]

আলী জুমা ১৯৬৯ সালে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং মিশরের রাজধানী কায়রোতে আইন শামস বিশ্ববিদ্যালয়-এ ভর্তি হওয়ার আগেই কুরআন হিফজ করা শুরু করেন। তিনি ইসলামী শিক্ষার প্রতি গভীর আগ্রহী ছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর অবসর সময়ে হাদিসশাফেয়ী ফিকহ অধ্যয়ন করতেন। ১৯৭৩ সালে আইন শামস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.কম পাশ করার পর তিনি পৃথিবীর প্রাচীনতম সক্রিয় ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কায়রোর আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি ইসলামী শিক্ষায় দ্বিতীয় বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন, পরে এমএ এবং অবশেষে ১৯৮৮ সালে উসূল আল-ফিকহ-এ পিএইচডি সম্পন্ন করেন।[১৬] তবে তখনও তিনি আল-আযহারের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রম পড়েননি, তাই সেসব মূল পাঠ্য মনে রাখার জন্য তিনি নিজ থেকেই সেই পাঠ্যক্রম অধ্যয়ন করেন।

শিক্ষা প্রদান

[সম্পাদনা]

তিনি এম.এ. সম্পন্ন করার পর আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামি ও আরবি বিজ্ঞান অনুষদে প্রথমে একজন সহকারী অধ্যাপক হিসেবে এবং পরে একজন পূর্ণাঙ্গ অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষাদান করেন, যতক্ষণ না তিনি মিশরের প্রধান মুফতি হিসেবে নিযুক্ত হন। আলী জুমা আকিদা, তাফসির, হাদিস, ফিকহ এবং ইসলামী ইতিহাসের শিক্ষক হওয়ার পাশাপাশি একজন সুফি হিসেবেও সম্মানিত ও মর্যাদাপ্রাপ্ত ছিলেন।[১৭][১৮][১৯]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Kirkpatrick, David D. (২৫ আগস্ট ২০১৩)। "Egypt Military Enlists Religion to Quell Ranks"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  2. Fadel, Mohammad (১ জানুয়ারি ২০১৬)। "Islamic Law and Constitution-Making: The Authoritarian Temptation and the Arab Spring": 472–507। আইএসএসএন 0030-6185 
  3. al-Azami, Usaama (২৩ ডিসেম্বর ২০১৫)। "Muslim Scholars and Autocrats (Part I)"HuffPost (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  4. Warren, David H. (আগস্ট ২০১৭)। "Cleansing the Nation of the 'dogs of Hell': ʿali Jumʿa's Nationalist Legal Reasoning in Support of the 2013 Egyptian Coup and its Bloody Aftermath" (পিডিএফ): 457–477। আইএসএসএন 0020-7438ডিওআই:10.1017/S0020743817000332 
  5. Dorsey, James (২১ জুন ২০১৯)। "Al-Azhar Struggles to Balance Politics and Tradition"LobeLog (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৯ 
  6. "Ali Gumah: Sisi's most loyal Islamic scholar"Middle East Eye। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৯ 
  7. Elmasry, Mohamad (২৭ জুন ২০১৫)। "Ali Gumah: Sisi's most loyal Islamic scholar"Middle East Eye। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৯ 
  8. "Ali Gomaa: Kill them, they stink"Middle East Monitor। ২৭ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৯ 
  9. Asthana, N. C.; Nirmal, Anjali (২০০৯)। Urban Terrorism: Myths and Realities। Pointer Publishers। পৃষ্ঠা 117। আইএসবিএন 978-8171325986 
  10. Maged, Amani (৩ নভেম্বর ২০১১)। "Salafis vs Sufis"Al-Ahram Weekly Online। ১ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  11. el-Beheri, Ahmed (৯ মে ২০১০)। "Azhar sheikh warns West against double standards"Egypt Independent। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  12. Islamopedia: "Ali Goma" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে retrieved 20 January 2015
  13. Jay Tolson (২ এপ্রিল ২০০৮)। "Finding the Voices of Moderate Islam"U.S. News & World Report। ১১ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১৭ 
  14. al-Hashemi, Bushra Alkaff; Rym Ghaza (ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "Grand Mufti calls for dialogue about the internet"The National। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  15. Wright, Lawrence (২০০৮-০৫-২৩)। "The Rebellion Within"The New Yorker (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0028-792X। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২১ 
  16. Grewal, Zareena (২০১০)। Islam Is a Foreign Country: American Muslims and the Global Crisis of Authority। New York University Press। পৃষ্ঠা 191। আইএসবিএন 1-4798-0090-2 
  17. Marranci, Gabriele (২০১৩)। Studying Islam in Practice। Routledge। পৃষ্ঠা 54। আইএসবিএন 1-317-91424-4 
  18. El-Din, Mai Shams (২০১৩-০২-২৫)। "Opposing currents: Internal rifts may risk the credibility of Egypt's religious institutions"Egypt Independent (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২৮ 
  19. Carnegie Endowment: "Salafis and Sufis in Egypt" by Jonathan Brown ডিসেম্বর ২০১১ | পৃষ্ঠা ১২ | "।..বর্তমান মিশরের প্রধান মুফতি এবং আল-আযহারের সিনিয়র আলেম আলী গোমা একজন অত্যন্ত সম্মানিত সুফি শিক্ষক।