আলফ্রেড ফোর্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অম্বরীশ দাস
জন্ম
আলফ্রেড ব্রাশ ফোর্ড

(1950-02-22) ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫০ (বয়স ৭৪)
ডেট্রয়েট, মিশিগান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
পেশাব্যবসায়ী
ফোর্ড মোটর কোম্পানি বোর্ডের সদস্য
দাম্পত্য সঙ্গীশর্মিলা ফোর্ড
সন্তানআনিশা ফোর্ড
অমৃতা ফোর্ড
পিতা-মাতাজোসেফাইন ক্লে ফোর্ড
ওয়াল্টার বুহল ফোর্ড II
আত্মীয়এলেনর ক্লে ফোর্ড , ওয়াল্টার বুহল ফোর্ড , জোসেফাইন ক্লে ফোর্ড

আলফ্রেড ব্রাশ ফোর্ড (জন্ম 1950), যিনি অম্বরীশ দাস নামেও পরিচিত ( IAST: Ambarīśa Dāsa )[১],  ফোর্ড ফর্চুনের একজন আমেরিকান উত্তরাধিকারী। তিনি ফোর্ড মোটর কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ফোর্ডের প্রপৌত্র ।[২]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

আলফ্রেড ফোর্ডের পিতা ছিলেন ওয়াল্টার বি. ফোর্ড II (1920-1991)। তার মা জোসেফাইন ক্লে ফোর্ড (1923-2005) ছিলেন এডসেল ফোর্ডের কন্যা (1893-1943)।[৩]

আলফ্রেড ফোর্ড বর্তমানে ব্যক্তিগতভাবে পরিচালিত ডিজিটাল মার্কেটিং ফার্ম চ্যানেলনেটের পরিচালনা পরিষদে কাজ করছেন , যেখানে তিনি একজন বিনিয়োগকারীও।[৪]

আলফ্রেড ফোর্ড ভারতের কলকাতার বাঙালি মেয়ে শর্মিলা ভট্টাচার্য কে ১৯৮৪ সালে বিয়ে করে। তারা তাদের দুই মেয়ের নামও বাংলায় রাখেন- অমৃতা ও আনিশা।[৫]

হরে কৃষ্ণ আন্দোলনের সাথে সম্পর্ক[সম্পাদনা]

তিনি ১৯৭৪ সাল থেকে এসি ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ (শ্রীলা প্রভুপাদ) এর একজন দীক্ষিত শিষ্য ।[৬] তার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে ভক্তিবেদান্ত স্বামীর সাথে প্রথম দেখা করেছিলেন । আলফ্রেড ফোর্ড ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘে (ISKCON) যোগদান করেন এবং সেই বছরই তিনি প্রভুপাদের সাথে প্রথম ভারত সফর করেন। তিনি হাওয়াইতে প্রথম হিন্দু মন্দির প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছিলেন এবং ডেট্রয়েটে ভক্তিবেদান্ত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনে সাহায্য করার জন্য $500,000 দান করেছিলেন।[৭] যা ১৯৮৩ সালে সম্পন্ন হয়েছিল। আলফ্রেড ফোর্ড বিগত বছরগুলিতে ইসকনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনুদান দিয়েছেন যা প্রভুপাদের পুষ্প সমাধি মন্দির নির্মাণের চলমান প্রকল্পগুলিতে সহায়তা করেছে। তিনি মস্কোতে আনুমানিক 10 মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে একটি বৈদিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করেছে বলে জানা গেছে।[৮] হনলুলুতে হরে কৃষ্ণ মন্দির ও শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপনের জন্য তিনি $600,000 দিয়ে একটি প্রাসাদও কিনেছিলেন ।

এখন তিনি ইসকন প্রকল্প ও বৈদিক প্ল্যানেটোরিয়ামের মন্দিরের চেয়ারম্যান।[৯][১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Cheshes, Jay (২০১৫-১১-২৩)। "Alfred Ford is Building a Multi-Million Dollar Monument in India"Town & Country (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩ 
  2. Mar 6, Malavika Sangghvi | TNN |; 2005; Ist, 11:32। "Alfred Ford: The billionaire bhakt - Times of India"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩ 
  3. Cheshes, Jay (২০১৫-১১-২৩)। "Alfred Ford is Building a Multi-Million Dollar Monument in India"Town & Country (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩ 
  4. "Directors & Advisors"www.channelnet.com। ২০২২-০৫-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩ 
  5. P, Jhimli Mukherjee; Feb 27, ey / TNN /; 2013; Ist, 03:12। "A Bengali bou at the Ford home | Kolkata News - Times of India"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩ 
  6. Shah, Manu। "The Ford who loves Lord Krishna"Rediff (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩ 
  7. Krebs, Albin; Jr, Robert Mcg Thomas (১৯৮১-১১-০৯)। "NOTES ON PEOPLE; Alfred Ford Takes a Turn to the Spiritual"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩ 
  8. "VNN World - Alfred Ford Lobbies For Vedic Centre In Moscow"web.archive.org। ২০০৭-০৮-০৫। Archived from the original on ২০০৭-০৮-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩ 
  9. "Alfred B Ford On Gujarat Tour To Raise Funds For Iskcon Temple – Vishwagujarat"web.archive.org। ২০১৭-১১-১০। Archived from the original on ২০১৭-১১-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩ 
  10. Jan 29, Bharat Yagnik / TNN / Updated:; 2017; Ist, 08:57। "ISKCON Temple: Ford scion in Gujarat to raise funds for Iskcon temple | Ahmedabad News - Times of India"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩