আরেফ আল-দাজানি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আরেফ বাশা আল-দাজানি

আরেফ আল-দাজানি (আরবি: عارف الدجاني) (১৯৫৬ - ১৪ এপ্রিল, ১৯৩০) একজন আরব ফিলিস্তিনি রাজনীতিবিদ, যিনি ১৯১৭-১৯১৮ সালে জেরুজালেম শহরের মেয়র ছিলেন।

আরেফ আল-দাজানি ১৮৫৬ সালে জেরুজালেম জন্মগ্রহণ করেন।[১]

রাজনৈতিক সক্রিয়তা[সম্পাদনা]

১৯১৮ সালে জেরুজালেমের মেয়র হিসেবে এক বছর দায়িত্ব পালনের পর আল-দাজানি মুসলিম-খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের (এমসিএ) প্রশাসনিক কমিটিতে যোগ দেন এবং জেরুজালেম এলাকা ও তারপর সংগঠনটির আঞ্চলিক সভাপতি হন। আরেফ আল-দাজানি এবং ইজ্জত দারওয়াজার নেতৃত্বে ২৭ জানুয়ারি - ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৯ তারিখে জেরুজালেম কংগ্রেস আহ্বান করা হয়। এই সম্মেলনের প্রস্তাবগুলো ফিলিস্তিনের আরবদের পক্ষ থেকে প্যারিস শান্তি সম্মেলনে তারবার্তায় উল্লেখ করা হয়, বেলফোর ঘোষণা বাতিল এবং "সিরিয়ার স্বাধীন আরব সরকার...এর অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে ফিলিস্তিনকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছিল।"[২]

জেরুজালেম কংগ্রেসের চেয়ারম্যান হিসেবে আল-দাজানি রাজনৈতিক জায়নবাদ প্রত্যাখ্যান করেন এবং ফিলিস্তিনে আরব সার্বভৌমত্বের উপর প্রভাব না ফেলার শর্তে ব্রিটিশ সহায়তা গ্রহণে সম্মত হন। তিনি ফিলিস্তিনকে হাশেমাইট পরিবারের ফয়সাল পরিচালিত স্বাধীন সিরীয় রাষ্ট্রের একটি অংশ হিসেবে কল্পনা করেন।[৩]

১৯১৯ সালে কিং-ক্রেন কমিশনের কাছে একটি বক্তৃতায়, মুসলিম-খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি দলের নেতা হিসাবে তিনি বলেছিলেন,

“আমাদের পক্ষে তাদের [ইহুদিদের] সাথে বোঝাপড়া করা বা তাদের একসাথে বসবাস করা অসম্ভব… তাদের ইতিহাস এবং তাদের সমস্ত অতীত প্রমাণ করে যে তাদের সাথে বসবাস করা অসম্ভব। তারা বর্তমানে যে সমস্ত দেশে আছে সেখানে তারা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অবাঞ্ছিত, কারণ তারা সর্বদা সবার রক্ত চুষতে এবং অর্থনৈতিক ও আর্থিকভাবে বিজয়ী হতে আসে। লিগ অফ নেশনস আরবদের দাবী না শুনলে এই দেশ রক্তের নদীতে পরিণত হবে।”[৪]

১৯২০ সালের সেপ্টেম্বরে, আল-দাজানি প্যান-ইসলামিক আন্দোলন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একটি কমিটির ডেপুটি প্রেসিডেন্ট হন। তার উদ্বোধনী বক্তৃতায়, তিনি তুরস্ক এবং ভারত থেকে প্রাপ্ত চিঠিগুলি পড়েন এবং প্যান-ইসলামিক আদর্শ ফিলিস্তিনি মুসলমানদের গ্রহণ করার আহ্বান জানান।[৫]

১৯২১ সালে আল-দাজানি হেক্রাফট কমিশন অফ ইনকোয়ারি ক্রস এক্সামিনেশন সাক্ষীদের যাচাই করার জন্য মুসলিম মূল্যায়নকারী ছিলেন।[৬]

ব্রিটিশ ম্যান্ডেটের সময় পাবলিক সিকিউরিটির সহকারী পরিচালক ই. কুইগলি আরেফ আল-দাজানিকে ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন।[৭]

তিনি ১৯২২ সাল পর্যন্ত আরব নির্বাহীর সদস্য ছিলেন। রাঘিব আল-নাশাশিবির সাথে একত্রে ১৯২০-এর দশকের শুরুতে, ১৯২৬ সালে বিভক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি বিরোধী দলের নেতৃত্ব দেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Palestine Facts: Personalities - Alphabetical Listing"। ২০০৭-১০-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-১৫ 
  2. "From Wars to Nakbeh: Developments in Bethlehem, Palestine, 1917-1949, Adnan A. Musallam"। ২০১১-০৭-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১২ 
  3. Palestine Factionalism in the National Movement (1919-1939)
  4. "Aref Pasha Dajani, Speech to the King-Crane Commission, June 18, 1919. - Center for Online Judaic Studies"Center for Online Judaic Studies (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ 
  5. British Pan-Arab Policy, 1915-1922: A Critical Appraisal, Isaiah Friedman
  6. Luke, Sir Harry (1953) Cities and Men. An Autobiography. Volume II. Aegean, Cyprus, Turkey, Transcaucasia & Palestine. (1914-1924). Geoffrey Bles. London. p.223
  7. British Pan-Arab Policy, 1915-1922: A Critical Appraisal, Isaiah Friedman